একবার এক ব্যাটা বাংলা ২য় পত্র পরীক্ষা দিতে গিয়েছে। সব শেষ করে রচনা লিখতে গিয়ে দেখে কমন পড়ে নাই।
সে গরু, গাধা, ছাগল, জাতীয় পাখি দোয়েল এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে
আওউটসোর্সিংয়ের অবদান ইত্যাদি রচনা মুখস্ত করে গিয়ে দেখে পরীক্ষায় এসেছে ‘সময়ানুবর্তিতা’।
তো, যাই হোক, সে ঘাবড়াল না। কয়েকদিন আগেই বাংলা কোচিং-এ শিখে এসেছে যেকোন রচনাই আসুক না কেন “সূচনা”, “বর্ননা”, “উপকারিতা”, “অপকারিতা”, আর “উপসংহার” এই পার্ট গুলা লিখলে ভালো মার্ক্স পাওয়া যাবে। সেই সাথে বিভিন্ন মনিষীদের বাণী যোগ করতে পারলে তো কথাই নেই! আবার যদি এমন হয় কোন উক্তি মনে আছে কিন্তু কে ডেলিভার করেছিলেন এটা মনে নাই, তাহলেও উপায় আছে – সাধারণ ভাবে “মনিষীরা বলেছেন” দিয়ে দিবে। আর যাই লেখো, প্রচুর পরিমানে লিখবে যাতে অনেক পাতা লেখা হয়।
তো সে সময়ানুবর্তিতার “সূচনা”, “বর্ননা”, “উপকারিতা” ইত্যাদি লিখে “অপকারিতা” পার্টে এসে পৌঁছুল।
…
অপকারিতাঃ
অনেক উপকারিতার পাশাপাশি সময়ানুবর্তিতার অপকারিতাও আছে। সময়ানুবর্তি মানুষ সব সময় মানুষকে সিরিয়াস থাকে। মনিষীরা বলেছেন “হোয়াই সো সিরিয়াস?” এছাড়াও সমায়ানুবর্তি হতে গেলে সব সময় ‘সময়’ জানা লাগে। অর্থাৎ, ঘড়ি পরতে হয়। ঘড়ি কিনতে টাকা লাগে। এটাও সময়ানুবর্তিতার একটা অপকারিতা। ইদানিং, হাত ঘড়ির চল উঠে গিয়েছে। তাই সময় জানতে মোবাইল বের করতে হয়। মোবাইল বের করলে মোবাইলে গেম খেলতে ইচ্ছা করে। এতে সময়েরই অপচয় হয়। আবার রাস্তায় দাড়িয়ে মোবাইল বের করলে ছিনতাইকারীরা মোবাইল কেড়ে নিয়ে যেতে পারে। মোবাইল দামী হলে অর্থের ক্ষতিসাধন হয়। আবার মোবাইল কমদামী হলে ছিনতাইকারীর মনে কষ্ট হতে পারে, এতে তার মন ভেঙ্গেও যেতে পারে। মনিষীরা বলেছেন, “মানুষের মন ভাঙ্গা আর উপাসনালয় ভাঙ্গা একই কথা।” এছাড়াও সময় অনেক সময় ছলনাময়ী হতে পারে। মনিষীরা বলেছেন, “সময়ের ছলনায় ভুলে যাবে অভিমান।”…
…
ব্যাটা কত নম্বর পেয়েছিল আমার জানার খুব শখ!