somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চিঠি পৌছে যাবে রঙ্গীন খামে, আসছে চিঠি হবে খিদের অবসান.... (পথশিশুদের সাহায্যার্থে ইভেন্ট : এ্যাকশন পিঁয়াজু-বেগুনী)

১৫ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রতিটা মানুষের জীবনের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত হল যখন তার কোলজুড়ে ফুটফুটে একটা সন্তান আসে। সেইসব দেবশিশুদের মুখে আধো আধো বুলিতে যখন আব্বু আম্মু ডাকটি শুনে তখন খুশিতে আত্নহারা হয়ে যায়। যে কেউই তাদের সন্তানের জন্য নিজের খুশিকে বিসর্জন দিতে দ্বিধাবোধ করে না। নিজের সকল কষ্ট সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে ভুলে থাকতে পারে।

প্রথমে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই আমি প্রতিদিন দুবেলা পেট ভরে খেতে পারি বলে। আমার এবং আমাদের মত কপাল অনেকেরই নেই। কিছু শিশুদের দূর্ভাগ্য বলবো কিনা জানিনা যারা রাস্তায় জন্মগ্রহন করে। যাদের আমরা পথ শিশু বলেই সম্বোধন করি। যারা দুবেলা পেট ভরে খেতে পায় না। পুষ্টিকর খাবারতো তাদের কাছে আকাশের চাঁদ বলতে পারেন। আমাদের মধ্যে অনেকেরই ইচ্ছে করে পথ শিশুদের জন্য কিছু করার। আমরা এটাকে একটা সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাতে পারি। প্রতিদিন আমরা কত টাকা নষ্ট করি কতভাবে। কেউ সিগারেট খেয়ে শতটাকা ছাই বানিয়ে ফেলি। সামনে ঈদ আসছে। ঈদ নিয়ে আমাদের কত পরিকল্পনা। নতুন পোষাক নিয়ে কতশত ভাবনা। আমরা চাইলে ঈদের বাজেট থেকে সামান্য পরিমান টাকা বাঁচিয়ে ওদের জন্য একদিনের পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করতে পারি। আপনারা হয়তো বলবেন একদিনে কি হয়? এর বেশী সামর্থ্য যে আমাদের নেই। আজকে আমরা একদিনের খাবার নিশ্চিত করতে পারলে ভবিষ্যতে আরো বড় কিছু করাও সম্ভব আমাদের।

সাহায্য করাটা আমাদের যাদের প্রধান উদ্দেশ্য আর তাই আমরা যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী সাহায্য করতে পারি। আমরা সকলেই জানি বিন্দু থেকে সিন্ধু হয়। সবাই যদি ১০০/২০০ টাকা করেও দেই তাহলেও অনেক টাকার যোগান দেয়া সম্ভব।

এবার আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে কিভাবে সাহায্য করবেন। ঠিক! হয়ত আমাদের পক্ষে সম্ভব নয় ফার্মগেটের ঐ ফুটপাথে ঘুমন্ত শিশুগুলোর জন্য একটা জায়গা করে দেয়া। হয়ত আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আরো ২০ বছর পরেও ঐ ফুটপাথে, ডিভাইডারের ওপরই ঘুমিয়ে থাকবে। ওদের এই অবস্থার পরিবর্তন করা হয়ত একবারেই আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। মৌলিক পাঁচটি চাহিদা আমরা হয়ত কখনোই একবারের প্রচেষ্টায় পূরণ করতে পারব না। কিন্তু একটু একটু করে সেই লক্ষ্যে হাঁটতে দোষ কী?

আমার পরিচিত কয়েকজন ভলান্টিয়ার এইভাবে হাঁটতে শুরু করেছে Community Action (CA) নামক Volunteer Organization এর একটি পরিকল্পনার মাধ্যমে আরো ২ বছর আগে থেকে। । আজ থেকে দুই বছর আগে তারা শুরু করে ‘Action: Piyaju-Beguni’ নামক ইভেন্টটি। এই ইভেন্টের আওতায় ২০০৯ সালে মাত্র ১৫ দিনে তারা ইফতারি করেছেন ১০০০ এরও বেশি পথশিশুদের সঙ্গে। ২০১০ সালে মাত্র ১৮ দিনে এই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৩৩০০ এর উপরে। আর এই বছর মাত্র ১০ দিনেই ২৫০০ এরও বেশি পথশিশুদের সাথে ইফতারি করেছেন। তাদের এই ক্ষুদে পায়ে হাঁটাহাঁটি এখনো চলছে। চলবে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত।

Action: Piyaju-Beguni 2011

ঢাকা, চটগ্রাম ও সিলেটে তাদের এ বছরের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। একেক দিন একেকটা জায়গায় ইফতারি বিতরণ করেন। যেমনঃ আজ ধানমন্ডি তো কাল মহাখালী, আর পরশু আজিমপুর। এভাবে পুরো ঢাকার সবগুলো জায়গাই একে একে ঘুরে ঘুরে চলছে তাদের পথচলা। চাইলে যে কেউ তাদের এই পথচলায় সাথী হতে পারেন। আপনার সুবিধাজনক একটি জায়গা বেছে নিয়ে সেই জায়গার এরিয়া লিডারের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে অংশ নিতে পারেন এই ক্ষুদে শিশুদের অনন্য হাসিমুখ দেখবার প্রক্রিয়ায়। চাইলে তাদেরকে আর্থিক সহায়তা দিতে পারেন। ফটোগ্রাফার হয়ে থাকলে ছবি তুলে, ব্লগার বা সাংবাদিক হলে লেখার মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে পারেন সচেতনতা। অথবা ছোট্ট এক টুকরো প্রার্থনা বা শুভকামনা-এই বা কম কী?

আপনারা কেউ চাইলে সরাসরি নিচের ব্যাংক এ্যাকাউন্টে সাহায্য পাঠাতে পারবেন। ডাচ বাংলা ব্যাংকে গিয়ে সাহায্যের জন্য অর্থ প্রেরন করতে পারেন অথবা আপনার আশেপাশের বন্ধুদের কাছ থেকেও যদি পারেন কিছু অর্থ সংগ্রহ করে এই উদ্যোগের সাথে যারা জড়িত তাদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের হাতে অর্থ পৌছে দিতে পারেন। এতটুকু কষ্ট করতে হবে আপনাদের। কি পারবেন না পথ শিশুদের জন্য জন্য হাসিমুখে এতটুকু কষ্ট করতে? অন্তত একদিনের জন্য তাদের মুখে হাসি ফুটিয়ে দিতে? খুব বেশী কি কষ্ট হবে আপনাদের?


নাম: হাসান মাহমুদ তুষার
ডাচবাংলা ব্যাংক
শন্তিনগর শাখা।
এ্যাকাউন্ট নাম্বার: ১০৮.১০১.৩৮৯৮৩১

আপনারা চাইলে কোন ধরনের জিজ্ঞাসার জন্য ই-মেইলেও যোগাযোগ করতে পারেন। ।

[email protected]


পথশিশুদের নিয়ে "শিরোনামহীন" ব্যান্ডের করা "চিঠি" গানটা চাইলে শুনতে পারেন। এই গানটা শুনে আমি আমার অশ্রু সংবরন করতে পারিনি। জানিনা আপনাদের কাছে কেমন লাগবে।সবাই ভালো থাকবেন। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। :)




সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:১১
২২টি মন্তব্য ২২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×