somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান * পঞ্চদশ সংশোধনী এবং হ য ব র ল

১৫ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জাতি হিসাবে আমরা বাঙ্গালী,দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলি ।বাংলা ছাড়াও ছোট ছোট জনগোষ্ঠি তাদের নিজস্ব ভাষায় কথা বলে ।তারা নিজেদের বাঙ্গালী জাতিয়তাবাদের আন্তর্ভুক্ত বলে মনে করে না ;নিজেদের আদিবাসি বলে দাবি করে ।যদিও বাঙ্গালীরা এদেশে ৪০০০বৎসর পুর্ব থেকে বসবাস করছে ; ক্ষুদ্র জাতিসমুহ ৪০০বৎসর পুর্বে এসেছে । সেদিক দিয়ে তারা আদিবাসি নয় ।আন্তর্জাতিক ক্ষেত্র থেকে বিশেষ সুবিধা পাওয়ার জন্য সম্ভবত এ দাবি তুলেছে ।উপজাতি বলাও যুক্তিসংগত নয়,তারা নিজেদের পুর্নাংগ জাতি মনে করে ।এজন্য তারা চায় “বাঙ্গালী এবং ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠি তথা চাকমা ,মারমা,ত্রিপুরা ইত্যাদি সকলের নাগরিকত্ব বাংলাদেশী “হোক ।এটা করা যেতে পারে ।ইরাক আরব জাতিয়তাবাদি রাষ্ট্র যদিও সেখানে কুর্দি ও ফার্সি ভাষী জাতি বসবাস করে ।জর্মানের জাতিয়তা/নাগরিকত্ব জার্মান যদিও সেখানে আনেক তুর্কি ভাষী বসবাস করে ;তারা তুর্কি বংশদ্ভুত জার্মান ।আমরা ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠির প্রতি অধিক সহানুভুতিশীল হতে পারি ।
আমাদের চার মুল নীতির একটি ধর্মনিরপেক্ষতা ।অর্থাৎ রাষ্ট্র সকল ধর্ম ও ধর্মাবলম্বিদের প্রতি নিরপেক্ষ বা সম আচরন করবে । রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করে যদিও হিন্দু,বৌদ্ধ ও খৃষ্টান সহ সকল ধর্মের প্রতি সম আচরনের উল্লেখ আছে ;তবুও এখানে ইসলামের প্রতি পক্ষপাতিত্ব দেখানও হয়েছে ;যা ধর্ম্নিরপেক্ষতার সাথে সামঞ্জস্যপুর্ন নয় । আমরা চারটি ধর্মকেই রাষ্ট্রধর্ম করতে পারতাম ।
একই ভাবে শুরু “বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম” এর সাথে “ওঁম নমশ্বিবায়”,”বুদ্ধাং ধাধানাং গোস্বামী” এবং “প্রভু যীশুর নামে” এর কথা উল্লেখ থাকতে পারতো ।
পঞ্চম সংশোধনী বাতিলের পরও সর্ব্বচ্চ আদালতের পরামর্শে ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠির স্বার্থে আমরা নাগরিকত্ব হিসাবে বাংলাদেশী গ্রহন করেছি কিন্তু ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের পর উচ্চ আদালতের পরামর্শে আরও দুই মেয়াদের জন্য তত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বহাল রাখি নাই । এ দুই বিষয়ে আমরা ১৮০ডিগ্রি বিপরীত মুখি আচরন করেছি ;যা মোটেই গ্রহন যোগ্য নয় ।আরো দুই মেয়াদে তত্বাবধায়ক সরকারের আধিনে থেকে সরকারের ন্যুন্নতম সহায়তা নিয়ে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ নির্বাচন করতে সক্ষম হলে ;আমরা চুরান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম ।
আমাদের জাতীয় সংসদ এক কক্ষ বিশিষ্ট ।এক এলাকা থেকে একজন সাংসদ মাত্র ৩০ ভাগ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হতে পারেন ।দল ৩০ ভাগ ভোট পেয়ে ৮০ ভাগ আসন পেয়ে চরম ক্ষমতার অধিকারি হয়; যা অত্যন্ত বিপদ জনক ।আমরা সংসদ কে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট করতে পারি । উচ্চ পরিষদ ও নিম্ন পরিষদ । বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নাম আছে । যেমন ভারতে রাজ্যসভা ও লোকসভা ,বৃটেনে লর্ডসভা ও কমন্সসভা এবং আমেরিকায় সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদ । যেহেতু সংবিধান সংশোধনে ও আইন প্রনয়নে উভয় পরিষদে অনুমোদনের প্রয়োজন হয় ,সেজন্য অনেক স্থিতিশিলতা বজায় থাকে । যেহেতু উচ্চ পরিষদ –এ বিভিন্ন পেশার ব্যক্তি আঞ্চলিক পরিষদ কতৃক সংখ্যানুপাতে বা সমসংখ্যায় সদস্য প্রেরন করে এবং দুই বৎসর অন্তর এক তৃতিয়াংশ সদস্য নির্বাচনের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয় সেহেতু উচ্চ পরিষদ ও নিম্নপরিষদে একই মতের প্রতিফলন ঘটে না ।সংসদ বা বিভিন্ন পরিষদ-এ (ইউনিয়ন,উপজেলা,জেলা পরিষদ) যেখানে সকলে মিলে সিদ্ধান্ত গ্রহন করে সেখানে আনুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন হওয়া উচিত । এতে ৩০ভাগ নয় ৮০-৯০ভাগ মানুষের মতামত প্রতিফলিত হয় ।
তবে নির্বাহি পদসমুহে (রাষ্ট্রপতি,জেলা,উপজেলা,ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বা পৌর মায়র) এক এলাকায় একজন নির্বাচনের ক্ষেত্রে দেয় ভোটের ন্যুন্নতম ৫০ভাগ ভোট প্রাপ্তি বাদ্ধতামুলক থাকা বাঞ্ছনীয় । কেউ ৫০ভাগ বা তার অধিক ভোট না পেলে সর্ব্বচ্চ ভোট প্রাপ্তির দিক দিয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় ব্যক্তি দ্বিতীয় দফায় সরাসরি নির্বাচনে অংশ নিবেন ।

পরিশেষে এটুকু বলতে চাই আমাদের রাষ্ট্রিয় নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন কর্ম-পেশার প্রতিনিধি থাকা প্রয়োজন ।আমরা শান্তিতে বসবাস করতে চাই ।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১২:২৬
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অপরাধের সেকাল ও একাল

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:১০

সেকাল
--------------------------------------------------------
স্কটল্যান্ডের বাসিন্দা হেনরি বেভারিজ ছিলেন বৃটিশ-ভারতীয় সিভিল সার্ভিসের একজন সদস্য৷বেভারিজ ১৮৭০ সালের মার্চ হতে ১৮৭১ সালের মার্চ এবং ১৮৭১ সালের জুন থেকে ১৮৭৫ সাল পর্যন্ত বৃহত্তর বরিশালের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তির কোরাস দল

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৫



ঘুমিয়ে যেও না !
দরজা বন্ধ করো না -
বিশ্বাস রাখো বিপ্লবীরা ফিরে আসবেই
বন্যা ঝড় তুফান , বজ্র কণ্ঠে কোরাস করে
একদিন তারা ঠিক ফিরবে তোমার শহরে।
-
হয়তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাইডেন ইহুদী চক্তান্ত থেকে বের হয়েছে, মনে হয়!

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮



নেতানিয়াহু ও তার ওয়ার-ক্যাবিনেট বাইডেনকে ইরান আক্রমণের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলো; বাইডেন সেই চক্রান্ত থেকে বের হয়েছে; ইহুদীরা ষড়যন্ত্রকারী, কিন্তু আমেরিকানরা বুদ্ধিমান। নেতানিয়াহু রাফাতে বোমা ফেলাতে, আজকে সকাল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজ ২৫শে বৈশাখ। ১৬৩তম রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আমার গাওয়া কয়েকটি রবীন্দ্রসঙ্গীত শেয়ার করলাম। খুব সাধারণ মানের গায়কী

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ০৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০৫

আপনারা জানেন, আমি কোনো প্রফেশনাল সিঙ্গার না, গলাও ভালো না, কিন্তু গান আমি খুব ভালোবাসি। গান বা সুরই পৃথিবীতে একমাত্র হিরন্ময় প্রেম। এই সুরের মধ্যে ডুবতে ডুবতে একসময় নিজেই সুর... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্ব কবি

লিখেছেন সাইদুর রহমান, ০৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৭

বৈশাখেরি পঁচিশ তারিখ
কবি তোমার জনম
দিন,
বহু বছর পার হয়েছে
আজও হৃদে, হও নি
লীন।

কবিতা আর গল্প ছড়া
পড়ি সবাই, জুড়ায়
প্রাণ,
খ্যাতি পেলে বিশ্ব জুড়ে
পেলে নভেল, পেলে
মান।

সবার ঘরেই গীতাঞ্জলী
পড়ে সবাই তৃপ্তি
পাই,
আজকে তুমি নেই জগতে
তোমার লেখায় খুঁজি
তাই।

যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×