জীবনের ম্যাৎকারে জীবন অতিষ্ঠ!
কারাগার ! নির্মল বিশ্রামাগার!
এমনই ভাবছিলাম কেননা-
এমন ভাবতেই ভালো লাগছিলো
ব্যস!
দণ্ড যদি সশ্রম হয় মালির কাজ !
খুব একটা মন্দ নয়
একটা বাগানের কেয়ার টেকার।
ছেলেবেলায় ফুল ভালোবাসতাম তাই
ইচ্ছে ছিলো বড় হলে ফুলের দোকান দেব
লোকে বলবে ফুলদোকানী!
তরুণীরা লাজুক হাতে ফুল নিয়ে যাবে একান্তা কারো জন্যে..
সে ইচ্ছেটা অপূর্ণই রয়ে গেলো।
কারাগার!
ইচ্ছে মত পাঠের সামগ্রীও নাকি পাওয়া যায়
চাইলে লেখালেখিটাও চালিয়ে নেয়া যেতে পারে
সস্তা বিড়ি আর নেশাও করা যাবে একটু আধটু..
সময়ের কাটা গোণে তিনবেলা ভুরিভোজ
তাতে আলসারের সমস্যাটাও কমবে আশা করা যায়
সপ্তাহের শেষে থাকবে আমিষের ব্যবস্থা
আহা অমৃত! অমৃত!!
বাইরে বেঁচে থাকা অনেক ঝক্কি ঝামেলার
বাঁচার বোঝাটা টানতে হয় নিজেকে
আর ওখানে সেটা টানার দায়িত্ব অন্য কারো
নির্মল বেঁচে থাকাটাই শুধু আমার।
এমন ভাবতে ভাবতে কারাগার এ পৌছে দেখি
কারারক্ষিরা সেখানে বিরাট তালা ঝুলিয়ে পাহারারত
অনায়াশে আমার মনোবাসনা বলতেই
কারারক্ষি আমাকে একটা ছুরি হাতে ধরিয়ে
বাতলে দেয় ভেতরে ঢোকার ফন্দি ..
স্বর্গলোকের চাবি হাতে পাবার আনন্দে আত্বহারা..
তারপর ছোরা হাতে কারাগারের চারদিকে ষোলতম চক্কর দিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ি।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৪৯