আমাদের বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানের জন্য আমাদের টাগে´ট হওয়া উচিত লোডশেডিংমূক্ত বাংলাদেশ এর । যদি আমাদের টার্গেট হয় লোডশেডিংমূক্ত বাংলাদশের, তাহলে আমাদের পরিকল্পনার মধ্যে লোডশেডিং মূক্তির একটা ছাপ থাকা দরকার । এখনকার পরিকল্পনা দেখলে মনে হয়, আমাদের টার্গেট সমগ্র বাংলাদেশকে একসাথে লোডশেডিংমূক্ত করা ।কিন্ত আমরা যদি আমাদের টার্গেটকে একটু পরিবর্তন করে সিটি ভিত্তিক করতে পারি তাহলে দেশে একটা বিরাট পরিবর্তন সাধিত হতে পারে ।
যেমন, এক একটি সিটিকে টার্গেট করে লোডশেডিং মূক্ত করা । যেমন , ২০১2 সাল নাগাত ঢাকা লোডশেডিং মূক্ত হবে , ২০১3 সাল নাগাত চট্রগ্রাম লোডশেডিং মূক্ত হবে , ২০১৮ …. …. …. .. ইত্যাদি।
হিসাব মতে, পিক আওয়ারে , ঢাকার বিদ্যুৎ ঘাটতি ২০০ মেগাওয়াট । আমরা যদি একটা ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র করি, যার কাজ হবে ঢাকার বিদ্যুৎ ঘাটতি মিটিয়ে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ দেশের অন্য এলাকায় সরবরাহ করা । দেশের অন্য এলাকার বিদ্যুৎ এর কোন সমস্যা না করে, একটা ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র দিয়েই অথবা ভারত থেকে আমদানি করে ঢাকাকে লোডশেডিং মূক্ত করা যায় । লোডশেডিংমূক্ত সিটিতে বিদ্যুৎ এর দাম দেড়গুন বা দ্বিগুন করলেও জনগন আপত্তি করবে না ।এখনকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দামের তুলনায় বিদ্যুৎ এর দাম অনেক কম ।
বর্তমান এই যুগে একটি দেশের রাজধানীর বিদ্যুৎ এর এই হাল বিশ্বের কাছে কি বার্তা প্রেরণ করে তাও ভেবে দেখা দরকার । বৈদেশিক বিনিয়োগ, বৈদেশিক মর্যাদা সব কিছুতেই এর থেত্রেও এর কূপ্রভাব পড়ে ।
এবার কল্পনা করুন, ঢাকা লোডশেডিং মূক্ত হলে কি কি ঘটবে । ঢাকা পুড়োপুড়ি লোডশেডিং মূক্ত হলে একে একটি ২৪ ঘন্টা নগরি হিসাবে গড়ে তুলা সম্ভব । ঢাকাকে পোড়োপুড়ি একটা ২৪ ঘন্টা নগড়ী হিসাবে গড়ে তুলতে পারলেই এর যানজট সমস্যা , অতিরিক্ত জনসংখ্যা সমস্যা , বেকার সমস্যা ইত্যাদি দূর হবে । ঢাকা আবার বাসযোগ্য হবে । অন্যদিকে ঢাকা লোডশেডিং মূক্ত হলে, ঢাকার ছোট বড় অসখ্য জেনারেটরগুলোর কি হবে ? অল্প কিছু জেনারেটর ইমারজেন্সি পারপাস রেখে বাকি জেনারেটর গুলো অন্য জেলায় অল্প দামে বিক্রি করে দিবে । ঢাকায় যত জেনারেটর আছে, তা দিয়ে ছোট ছোট কয়েকটি জেলার বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান সম্ভব ।
একটু চিন্তা করে দেখুন, আমরা চাইলেই ঢাকাকে একটি ২৪ ঘন্টা নগরী হিসাবে গড়ে তুলতে পারি । এবং এর মধ্যেই আছে ঢাকার যানজট সমস্যা , অতিরিক্ত জনসংখ্যা সমস্যা , বেকার সমস্যা ইত্যাদি অনেক সমস্যার সমাধান ।
ডিজিটাল যুগে কোন ডাউন টাইম নাই ।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আগের বাংলাদেশ এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ এর একটা চোখে পড়ার মত একটা পরিবর্তন জনগন দেখতে চায়। দেখতে পাবে ।