somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সত্যি সেলুকাস! বিচিত্র এই দেশ…

১৪ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ২:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সত্যি সেলুকাস! বিচিত্র এই দেশ

হারাতে হলো দু’জন মুক্ত মনের মানুষকে। দুর্ঘটনায় প্রতিটি মৃত্যুই অনাকাঙ্খিত। আমরা শোকাহত। প্রসঙ্গত বলেতে বাধ্য হচ্ছি যে, এখন আর সাধারণ মোটর যান নিরাপদ নয়। নিরাপদ করবার জন্য যা যা দরকার তা নিশ্চিত হওয়ার কোন সম্ভাবনাই নেই আমাদের এই পোড়া কপালের দেশে। কাজেই ধীর গতির বাহন হিসাবে উটের প্রচলন করাই মনে হয় বাঞ্চনীয়। কেননা, গতিশীল হবার আশা না করে গতি কমিয়েই আমরা বাচতে চাই। গতি বাড়িয়ে মরতে চাইনা ভাই, বাচতে চাই; এটুকুই চাওয়া।

‘সংস্কৃতিক পশ্চাৎপদতা’ নামে একটি প্রত্যয় রয়েছে সমাজবিজ্ঞানে। সংস্কৃতির দুটি ধারা; একটি বস্তুগত অন্যটি অবসস্তুগত। যেমন- বস্তুগত উপাদানের মধ্যে রয়েছে মোটরযান। আর এটি চালনার জন্য যত আইন-কানুন ও লাইসেন্স পাওয়ার জন্য যেসকল পূর্বশর্ত রয়েছে সেগুলো হলো অবস্তুগত উপাদান। আমাদের মতন অনুন্নত সমাজে যেটা হয় তা হলো, আমরা প্রযুক্তির উন্নয়নের সুফল পাবার আশায় বস্তুগত সংস্কৃতিটির (অথবা অন্যভাবে বলা যায় – সংস্কৃতির বস্তুগত উপাদানের ব্যবহার) ব্যবহার বাড়িয়ে চলি; কিন্তু সেটি ব্যবহারের জন্য যেসকল অবস্তুগত সংস্কৃতির (নিয়ম-নীতি, মূল্যবোধ, শুধু নিজের নিরাপত্তা নয়, পাশাপাশি অন্যের নিরাপত্তাও নিশ্চিতকরণ সহ প্রভৃতি) প্রয়োজন সেগুলো মানতে আমরা খুবই অনাগ্রহী। ফলে সংস্কৃতির একটি ধারা দ্রুত এগিয়ে যায়, আর প্রয়োজনীয় ও সংশ্লীষ্ট অন্যটি পিছিয়ে পড়তে থাকে। গাড়ী বাড়ছে, চালক বাড়ছে, লাইসেন্সের চাহিদা বাড়ছে। লোইসেন্স দেওয়াও হচ্ছে, কিন্তু লাইসেন্স পাবার জন্য যা যা দরকার একজন চালকের, সেগুলো না থাকলেও লাইসেন্স পেয়ে যাচ্ছে অনেক চালক। দাড়ি-গোফ ওঠেনি এমন ছেলেদেরও ঢাকা নগরীতে গাড়ী চালাতে দেখা যায়।

সেদিন আমার প্রিয় একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘মীরাক্কেল’ এ একটি কৌতুক শুনলাম সেটি ছিল এরকম – একজন গাড়ী চালিয়ে যাচ্ছেন শহড়ের রাস্তা দিয়ে, ট্রাফিক পুলিশ তাকে থামিয়ে বললেন, “দাদা এটা ট্রাফিক সুরক্ষা সপ্তাহ, আপনি সিট বেল্ট পড়ে গাড়ী চালাচ্ছের এজন্য আপনাকে দু’হাজার টাকা পুরষ্কার দেওয়া হলো, এই নিন।” এই শুনে পিছনের সিটে বসা চালকের বাবা বলে উঠলেন, “হ্যা-রে! এই টাকা দিয়ে এবার ড্রাইভিং লাইসেন্সটা করিয়ে নিস!”

আবার অন্যদিকে, গত কয়েকদিন হলো দেশের একটি বৃহত্তর অংশের সঙ্গে সমগ্র দেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। হাজার হাজার কল-কারখানার কাচাঁমাল ও উৎপাদিত পন্যের পরিবহন ব্যবস্থা স্থবির হয়ে পড়েছে; সাধারণ যাত্রীদের কথা বাদ-ই দিলাম। আমরা সাধারণ মানুষও আবার মানুষ নাকি! যাইহোক, এই তৈরি পোশাক শিল্পের শিপমেন্ট বিষয়ক বেধেঁ দেওয়া সময়ের ব্যাপারে আমরা কম-বেশী সবাই জানি। এখন মহাসড়কের এহেন দুরাবস্থায় থেমে যাওয়া যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে এই শিল্পে যে ক্ষতি হবে, তার দায়ভার কে নেবে? দায়িত্বশীল একজন টেলিভিশনে বললেন, ফান্ড নেই! কি বিচিত্র এই দেশ! উড়াল রেল এর পরিকল্পনা করছেন আমাদের সরকার; আর এই এক কিলোমিটার সড়ক মেরামতের অর্থ নেই! অর্থ যদি নাই থাকে, তাহলে আমাদের আর কিছুই বলবার নেই। যাত্রীদের নিকট থেকে দুই টাকা করে চাঁদা তুলে সড়ক মেরামত করা যেতে পাড়ে!!! গ্রামে গঞ্জে ছোটবেলায় এমনটি দেখেছি, গ্রামের মানুষের কাছ থেকে চাঁদা তুলে সাঁকো নির্মান হত।

আইন শৃঙ্খলার বিষয়ে কিছু না বলাই ভাল। কে বিছড়ায় বর… নিজের বউ এর লাগি….!!! প্রাণের মায়া এই অধমেরও আছে….!!! আইন-শৃঙ্খলা উন্নয়নে আমাদের দেশ মাইল ফলক স্পর্শ করেছে…!!!….!!!

ভারতের সঙ্গে চুক্তি না কি যেন হবে…শুনেছিলাম…!!! আমি এবিষেয়ে কিছু জানি না…!!! …… লিখেছিলাম, মুছে দিলাম! ইচ্ছে করলে যে কেও মানচিত্র দেখতে পারেন আমাদের অবস্থান গত সুবিধার বিষয়টি নিশ্চিত হবার জন্য। ব্যবসায়ী হতে পারলাম না আমরা…!!! সেই প্রাচীনকাল থেকেই অন্য রাজ্য থেকে ব্যবসায়ীরা এসে ব্যবসা করে গিয়েছে…. দিয়েছে বিলাস দ্রব্য, আর নিয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য… নয়ত নগদ…. নয়ত মনি মুক্তা…..।

কলেজে পড়বার সময় শফিক রেহমান এর একটি লেখায় গঙ্গার পানি বন্টন চুক্তি বিষয়ে পড়েছিলাম ‘‘আসবে… যাবে… থাকবে না….”।

না! সাহস বাড়ছে!…. এখানেই ক্ষ্যন্ত দিলাম………

এ.এম. আহাদ
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আইনের ফাঁকফোকর-০৩

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২

যেকোনো চাকরির নিয়োগের পরীক্ষা চলছে। সেটা পাবলিক সার্ভিস কমিশন, বিভিন্ন সংস্থা, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক বা উপজেলা পর্যায়ের কোনো কার্যালয়ে হতে পারে। এই নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে পারে। একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৭

সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×