মৃত্যুদৃশ্য আমার জন্য খুব নতুন কিছু নয়। কাছের মানুষদের মৃত্যু বেশ কাছে থেকেই দেখেছি। কিন্তু গত কয়েক দিনের ব্যাবধানে দুইজন প্রখ্যাত মিডিয়া ব্যাক্তিত্বের মৃত্যু আমাকে যেন নতুন কিছু দেখাল। আমি দেখলাম, একজন খ্যাতিমান মানুষের মৃত্যু কিভাবে তাকে বদলে দেয়। মর্গে পড়ে থাকা ক্লোজআপ ওয়ান তারকা আবিদের বিবর্ণ মরদেহ, বা রাস্তায় মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে মেধাবী চলচ্চিত্র পরিচালকদের একজন তারেক মাসুদের নিথর দেহ শুধু কাঁদায় না, ভাবায়ও। মুহূর্ত আগে যিনি ছিলেন একজন উদীয়মান শিল্পী, বা একজন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক, মুহূর্ত পরেই সব পরিচয় হারিয়ে তিনি কেবলই একটি ‘লাশ’। তারেক মাসুদের পরিচয় আজ তাই মেলে ডেডবডির গায়ে সেঁটে দেয়া ছোট্ট একটি লেবেলেঃ তারেক মাসুদ। মৃত্যুর সময়ঃ…। কারণঃ…।
আমারও একটি নাম আছে, পাশাপাশি আমিও কারো ভাইয়া, কারো দোস্ত। আমার জীবনেও কি এমন একটা মুহূর্ত আসবে না, যখন কেউ আমায় নাম ধরে ডাকবে না, কেউ ডাকবে না ভাইয়া বা দোস্ত বলে, সবাই বলবে, এটা একটা ‘লাশ’? তবে কেন নিরন্তর এই ছুটে চলা? এই প্রশ্নের জবাব কি কখনো পাব?
না।
কারণ প্রকৃতি মানুষকে সব কিছু জানতে দেয় না, দেবে না।
এই অনিশ্চয়তার নামই কি জীবন?
তবে তাই হোক।