somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ন্যাংটো জনগণ, সাহসী রাখাল বালক এবং চতুর লোকদের গল্প।।

১৩ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ৯:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বাংলাদেশে আগে পুলিশের খাকী পোষাক ছিল৤ জনগণের বন্ধু বানানোর জন্য পুলিশের পোষাকে রঙের বাহার এনে পুরাতন সিস্টেমকে পিপুল’ফ্রেন্ডলি বানানোর চেষ্টাটা যে অপচেষ্টা ছিল সেটা এখন পরিস্কার৤ তবে এর মাধ্যমে পরোক্ষভাবে রাষ্ট্র স্বিকার করে নিয়েছে যে জনগণের পাহারাদার পুলিশ আসলে তাদের বন্ধু নয় বরং উল্টোটা৤ যেমন আজকাল ঢাকায় টাকাওয়ালা লোকজন মাইনে দিয়ে পাহারাদা পুষে নিজেদের রক্ষিত রাখার চেষ্টা করল্ওে মাঝে মাঝে খবরে শুনা যায় রক্ষক কর্তৃত ভক্ষন হবার কেচ্ছা৤ পুলিশ এবং তাদের মালিক জনগণের ঘটনা পুরোপুরি এখানটাতে মিলে যায়৤ জনগণ তাদের করের টাকায় এসব পাহারাদার পুষে ঠিকই কিন্তু কিভাবে প্রতিদিন সারাদেশে তারা নির্দয়ভাবে এদের দ্বারা র্নিযাতিত হয়ে চলেছে, র্নিমম সেই ঘটনাগুলো প্রতিদিনকার খবরের কাগজে চোখ রাখলেই বুঝা যায়৤ সেই লিমন (যদিও র্যা ব ঘটিয়েছে কিন্তু বৃহ্ত্তর অর্থে তারা্ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা) থেকে শুরু করে অধুনা রাজপথে নির্যাতিত সমাজের সম্মানিত ব্যক্তিত্ব আনু স্যার কিংবা বিরোধী দলীয় চীফ হুইপকে রাজপথে প্যাদানী (এবং আংশিকভাবে নগ্ন করার ঘটনা) অথবা নিরীহ ছাত্র কাদেরকে ডাকাত বানানোর চেষ্টা- কি ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে আমাদের বসবাস! পুলিশের কি ভয়াবহ অসীম ক্ষমতা। সে যাকে ইচ্ছে রাস্তা থেকে ধরে এনে থানার ভিতরে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে (অন্তত কাদেরকে সেটা করেছে) রাতারাতি ডাকাত বানিয়ে ফেলতে পারে। নিজের ইচ্ছায় পথচারী ধরে পুলিশের গাড়ীতে তুলে আবার তাকে হত্যার জন্য উন্মত্ত জনতার হাতে ছেড়ে দেয় এবং এক সময় তাকে জনত হত্যাও করে (এইতো সেদিন ৮ই আগস্ট 2011 কোম্পানীগঞ্জের ঘটনা)। চৌধুরী আলমের গুপ্ত হত্যার রেশ কাটতে না কাটতে ডিবি পুলিশের পরিচয়ে কিছু লোক তিন তরুণকে দয়াগঞ্জ বাজার মোড় থেকে ধরে নির্যাতনের পরে হত্যা করে লাশ রাস্তার পাশে ফেলে দেয় (খবর- প্রথম আলো, 9ই আগস্ট, 2011)। পুলিশ কিনা পারে! আলাউদ্দিনের চেরাগ্ও হার মানবে তাদের ক্ষমতার কাছে। ছাত্র, শিক্ষক, সংসদ সদস্য, সাধারণ মানুষ সবাই তার কাছে নস্যি! কি ভয়াবহ দানব! এ কেমন দেশে বসবাস!! মনে হয় এ যেন সভ্য দুনিয়ার বাইরের কোন ঘটনা। একাত্তর সালে পাক হানাদাররা নিরীহ বাংগালীদের হত্যা করতো নির্মমভাবে কারণ ওরা হানাদার বাহিনী ছিল। কিন্তু স্বাধীন দেশে স্বাধীন মানুষ রাস্ট্র যন্ত্রের কোন একটা অংশ দ্বারা দিনের পরে দিন আক্রান্ত হবে এটা কোনভাবেই মেনে নেয়া সম্ভব নয়। আশ্চর্য বিষয় হচ্ছে দু একটা ঘটনাবাদে এর কোন বিচার নেই। আমরা জনগণ ও বেশ ভাল! যাদের র্ব্যথতায় সমাজের শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হচ্ছে তার প্রতিক্রিয়া হিসেবে আমরা নিজেই আইন হাতে তুলে নিয়ে দোষী নির্দোষী নির্বিশেষে সবাইকে হত্যা করছি। অথচ পুলিশের বিচার বহির্ভূত হত্যা, ধর্ষন, নির্যাতনের কোন জন প্রতিক্রিয়া নেই। ভয়! চারিদিকে শুধু ভয়! সন্ত্রাসীর কাছে জীবন হারানো ভয়, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে জীবন এবং সম্মান হারানোর ভয়। ভয়ের সংস্কৃতিতে আমাদের বসবাস।
পুলিশ যতোটা না নিরীহ লোকদের লাঠিপেটা করায় উতসাহী তার চেয়ে বেশী তারা নিরুতসাহী অপরাধীদের ধরার ক্ষেত্রে৤ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে কিছুদিন আগে আমিনবাজারে গণপিটুনীতে এতোগুলো নিরীহ বালক জীবন বিসর্জন দিল৤ নৈরাজ্য নাটকের এখানেই শেষ নয়৤ বিগত দিনগুলির ইতিহাস থেকে দেখি, এধরনের বিপর্যয় থেকে শিক্ষা না নিয়ে চলে নানামুখী কূট খেলা। খেলা নাম্বার এক: যাদের র্ব্যথতায় জনগণ এই সামাজিক আত্নহণনের মতো বিপর্যয়গুলো ঘটে সেই পুলিশদের ব্যর্থতার বিষয়টি এখানে বেমালুম চেপে গিয়ে নিজেদের জীবন বাচাতে গিয়ে যারা এই সর্বনাশী অপরাধটি করে আদালত শুধু সেই জনগণেরই বিচার করতে অতি উতসাহী থাকে৤ র্ব্যথ পুলিশ থাকে ধরাছোয়ার বাইরে৤ বরং তাদের ইচ্ছাকৃত র্ব্যথতা তাদের চাকরী বহিরভূথ অবৈধ ঘুসের ব্যবসার চাকাকে এখন সচল করতে থাকবে৤ খেলা নাম্বার দুই; তদন্তের নামে পুলিশের নজর থাকে দোষী নির্দোষী নির্বিশেষে “যতো ধরবে ততো ইনকাম বাড়বে এই থিউরিতে অন্যসব দায়িত্ব ভুলে প্রকৃত এবং গায়েবী দুই ধরনের আসামী ধরায় ততপর হয়ে পরা। যতো আসামী ততো বাণিজ্য! আসামী বাণিজ্য কি শুধু পুলিশকে দিয়ে শেষ হবে! না, এরপর স্বিকারোক্তি আদায়ের নামে আদালত জেনেশুনে এদেরকে পার্থিব দোজখ রিমান্ডে পাঠাবে৤ রিমান্ডের ভয়াবহতা এবং রিমান্ড বাণিজ্য যে কতোবড় মানবাধিকার লংঘন যা শুনলে গা শিউরে উঠবে যে কারো৤ এটা একটা চক্রের মতো যে বাণিজ্য শুরু হয় পুলিশ দিয়ে শেষ হয় বিচারের স্থান আদালতে গিয়ে৤ পুলিশের প্যাদানী খেয়ে সেই রাজা নামক জনগণ বলতে বাধ্য হয় যেটা পুলিশ বাধ্য করে তাকে দিয়ে বলাতে৤ এর ভিতরেই ঘটতে থাকে অত্যাচারের মাত্রা কমানোর মহৈাষধী টাকার লেনদেন৤ কাছের লোককে বাচাতে জায়গা জমি বেচার হিড়িক৤ অর্থনীতিবিদরা বলে থাকেন বাজারে টাকার যতো লেনদেন হয় ততো নাকি দেশের অর্থনীতির চাকা সচল হয়৤ জানি না, পুলিশের ট্রেনিং সেন্টারে অর্থনীতির এই নিরীহ তত্ত্বের অপব্যবহার কিভাবে শেখানো হয়! এরপরে রাজা (জনগণ) গিয়ে পড়ে আরেক ফাপরে৤ অপরাধী না হয়েও যেহেতু অপরাধ স্বিকার করানো হয় তাই বিচারক তাকে জেলে পাঠিয়ে দেয়৤ পাঠক হয়তো ভাববেন যে, বিচারকের দোষ কি এখানে! বিচারকতো তার স্বিদ্ধান্ত নিবেন তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে! খুবই সরল কিন্তু যৈাক্তিক ভাবনা যদিও ভিতরের প্রক্রিয়া তার চেয়েও বেশী জটিল! মামলা বাণিজ্যের দোকান তখন পুলিশ চত্ত্বর থেকে আদালত চত্ত্বরে এসে র্দীঘ সময়ের জন্য ঘাটি গেড়ে বসে; যেমন ইষ্ট ইন্ডিয়ান কোম্পনী করেছিল আমাদের দেশে। এখানে জামিন পাবার শর্ত আসামীর অপরাধের গুরুত্ব নয় বরং টাকর ওজন এবং রাজনৈতিক তদবির৤ জামিন পেলেই কি রক্ষা! মামলা কতোদিন চলবে তা বিচারকও হয়তো বলতে পারবেন না (আসলে বলতে চান না বাণিজ্য হাত ছাড়া হবার ভয়ে)৤ প্রতি হাজিরায় আবারো টাকা গোণা৤ হয়তো এ কারনে কবি লিখেছিলেন বিচারের বাণী নিভৃতি কাদে৤ নিজেদের অপরাধকে ধরাছোয়ার বাইরে রাখার জন্য বিচারপতিরা নিজেদের সম্পর্কে মিথ্যা সম্মানের মীথ তৈরী করে নিজেদের অপকর্মকে সমালোচনার উধ্বে রাখছে। তাদের অপরাধের সমালোচনা করলেই নাকি আদালতকে অপমান করা হয়, কিন্তু বিচারের নামে নিজেরা ঘুস খেলে কিছু হয় না৤ বিচারকরা নিজেদের অবস্থান দেবতার কাছাকাছি নিয়ে গেছেন। তাদের সম্মন এতোটা ঠুনকো যে কেউ তাদের সম্পর্কে টু শব্দটি করলে সম্মানের প্রাচীর খান খান করে ভেঙগে পড়বে এবং তাতে নাকি জাতির কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিচারকরা্ও এখন লালা সালুর মজিদ এবং আদালত তাদের লাল সালুর মাজার। জবাবদিহিতার উর্ধ্বে তারা। কি যন্ত্রনাদায়ক পরিহাস যে বিচার ব্যবস্থার ব্যর্থতার জন্য র্যা বের মতো মানব বিধ্বংসী বাহিনীর জন্ম হয়েছে সেই র্যা বের নির্যাতনের বিচার পেতে আবার সেই আদালতেই সেই ব্যর্থ এবং দুর্নিতিবাজ বিচারকদের কাছেই যেতে হচ্ছে। কি নিষ্ঠুর রসিকতা জনগণের সংগে!
আইন সংশ্লিষ্ট সংস্থা এবং বিচার ব্যবস্থা যখন পচে যায় তখন জনগণেল শেষ ভরসা থাকে সংবাদ মাধ্যম এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো৤ পুলিশ তার দুস্টুমিতে (আসলে হবে অপরাধ) মাত্রা ছাড়িয়ে যাবার কারণে তাদের অপরাধা পুরোপুরি ধামাচাপা দিতে পারছে না; কিছুটা হলেও জানাজানি হয়ে যাচ্ছে৤ আদালত তাকে সমালোচনার উপরে মিথ্যা ট্যাবু আরোপ করে কিছুটা রক্ষা পাচ্ছে; কিন্তু ভাল মানুষের ছদ্মবেশে যারা এখনো দেশের রাজাকে (মালিকানা এবং অধিকারবিহীন) রেশমী কাপড়ের নামে ন্যাংটো করে রাখছে তাদের কথা কে বলবে! যেখানে মানবাধিকার সংস্থা এবং সংবাদ মাধ্যমের উদ্দেশ্য হবার কথা জনগণের র্স্বাথ সংরক্ষন এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠাং সহায়তা করা সেখানে এরা বিবেচনায় রাখে নিজেদের র্স্বাথ সংরক্ষণের৤ সংবাদপত্র সংবাদ ছাপে দুঠো উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে যেমন; এরা কোন বিখ্যাত লোকের সংবাদ ছাপতে চায় যাতে তাদের পত্রিকার কাটতি হয় এবং এর মাধ্যমে মুনাফা নিষ্চিত করা ৤ সর্বোপরি, সেই বিখ্যাত লোকের করুনাপ্রার্থি হয়ে ভবিষ্যতে ফায়দা লোটার সুযোগ থাকে। না হয় এমন লোমহর্ষক খবর ছাপতে হবে যাতে সবাইকে চমকে দিয়ে নিজের ক্যারিয়ারের উন্নতি করা যায় ভবিষ্যতে। সবশেসে টাকার বিনিময়ে খবর ছাপা মানে ঘুষের বিনিময়ে খবর। এই তিন প্রকারেই রয়েছে নিজ স্বার্থ রক্ষার ধান্দা মোটেই নিযাতিতের নয়। মানবাধিকার সংস্থার জন্য প্রথম দুটো সত্য। তারা্ও চায় কাদের কিংবা লিমনের মতো লোমহর্ষক ঘটনা যাতে জনগণের কাছে তারা বীর হিসেবে মর্যাদা পায়। অন্যান্য মানবাধিকার লংঘনের জন্য তাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই। এর মাধ্যমে তারা জনগণের আরো বড় সর্বনাশ করছেন। তারা পুলিশের মতো দানবীয় সংস্থাকে এভাবে নন ভারবাল ম্যাসেজ দিচ্ছে যে তোমরা মানবাধিকার লংঘন করতে পার এই নির্দিষ্ট মাত্রা পর্যন্ত যার মানে দাড়ায় নির্দিস্ট মাত্রা পর্যন্ত তারা মানবাধিকার লংঘনকে বৈধতা দিচ্ছে৤ আর মাঝে মাছে দু একটা কাদের লিমনের মতো ঘটনা ঘটিয়ে আমাদেরক্ওে পেটে ভাতে থাকার ব্যবস্থা করে দিও। যেন অনেকটা গিফ এন্ড টেক পদ্ধতি। এই মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কাছে সারা দেশের মানবাধিকার লংঘনের কতোটুকু তথ্য আছে কে জানে৤ আর থাকল্ওে তাদের পরবর্তী কর্ম পরিকল্পনা কি এই সব তথ্য ব্যবহার করে জনগণকে উদ্ধার করার৤ এদের নৈতিক অধিকার কতোটুকু আছে এধরনের মানবাধিকার বিষয় নিয়ে কাজ করার সেটাও বিবেচরার বিষয়। কারন জনগণের সত্যিকার অর্থে কতোটুকু জানার অধিকার আছে এদের কর্ম পদ্ধতি এবং ভবিষ্যত কর্ম পরিকল্পনা নিয়ে কিংবা তারা কতোটুকু জনগণের কাছে স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে নিজেদের জবাবদিহিতা নিশ্চেত করছেন সেটা আমাদের ভাবতে হবে৤ কাউকে টাকার অংক না বসিয়ে স্বাক্ষর করা চেক দেয়া যেমন বিপদজনক তেমনি কোন সংস্থাকে জবাবদিহিতার বাইরে রেখে কাজ করার সুযোগ দেয়া আরো বেশী ক্ষতিকর৤ বড় কথা, এই সব মানবাধিকার সংস্থাগুলো কতোটুকু জনগণকে সচেতন করতে পেরেছেন তাদের মানবাধিকার সংরক্ষণের তথ্য দিয়ে তা এখন পুনর্বিবেচনা করে দেখার সময় এসেছে৤ ঢাকায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে, মাঝে মাঝে দু একটা অন্তর্জাতিক সেমিনারে বক্তৃতা দিয়ে কিংবা কাদের লিমনের মতো দু একটা কেস তদারকি করে নিজেদের ভাগ্যের উন্নয়ন না ঘটিয়ে কবে তারা জনগণের মানবাধিকারকে সত্যি সত্যি নিশ্চিত করার জন্য সচেষ্ট হবেন কে জানে!
ভাবতে কেমন লাগে, একটা নিরীহ লোক স্বাধীন দেশের রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছে, পুলিশ ইচ্ছে হলেই তাকে ডাকাত, ছিনতাইকারী বানিয়ে বেধরক পেটাচ্ছে। আদালত্ও র্সাবজনীন মিথ্যাবাদী পুলিষের কথা বিশ্বাস করে নিরীহ লোকটার নিরপত্ত্বা নিশ্চিত না করে রিমান্ড নামের জাহান্নামে পাঠিয়ে দিচ্ছে। পুলিষ তাকে ন্যাংটো করলো, পেটালো, জাতে বেজাতে গালি দিল কিন্তু কেউ দেখার নেই। না আদালত, না মানবাধিকার গোষ্ঠী, না সংবাদপত্র! কেউ না! কি অসহায়ত্ব! কি লজ্জা! পুলিশ আদালত টাকার কাছে বন্দী। মানবাধিকার সংস্থা আর সংবাদপত্র ব্যস্ত লিমন আর কাদেরের মতো ঘটনার খোজে। তাদের কি বীভতস কামনা!! লোকটার সন্তান কাদছে বাবার জন্য, স্ত্রী কাদছে স্বামীর জন্য, মা কাদছে সন্তানের জন্য। কিন্তু কেউ নেই পাশে দাড়ানোর। তাদের একমাত্র উপায় অঢেল টাকা দিয়ে পুলিশ এবং আদালতকে কেনা অথবা আল্লাহর কাছে দোয়া করা হে আল্লাহ আমার বাবাকে অথবা স্বামীকে অথবা সন্তানকে লিমন অথবা কাদেরের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দা্ও যাতে আমরা মানবাধিকার (মানবাধিকারের জন্য সত্যি লজ্জা এরা) সংস্থা এবং সংবাদপত্রের নজরে আসতে পারি।
আমাদের সবারই সেই ন্যাংটো রাজার গল্প মনে থাকার কথা। পুরানো গল্পটা আবার নতুন করে উপস্থাপন করার কারণ হচ্ছে যে, তার প্রাসংগিকতা এখনো বZgvb| কেমন করে সেই চতুর লোক রাজাকে বোকা বানিয়ে ঠকিয়ে নিজের স্বার্থ উদ্ধারের ধান্দায় ছিল রুপক অর্থে জনগণ যদি রাষ্ট্রের মালিক হয় তবে আমরা্ও রাজ্যের বিভিন্ন শ্রেনীর চতুর লোক দ্বারা বিভিন্নভাবে প্রতিনিয়ত ন্যাংটো হয়ে চলেছি৤ ন্যাংটো রাজার গায়ে চমৎকার রেশমী পোষাক আবিস্কার করে ও তার সৌকর্যে মুগ্ধ হয়ে যে বা যারা স্তুতি করেন তাদের কোন ক্ষতি না হলেও রাজার লজ্জা কিন্তু ঠিকই দীর্ঘায়িত হয়। তবে গল্পের সংগে আমাদের সময়ের পার্থক্যটা হচ্ছে যে, সেই সময়ে চতুর প্রতারক এবং বোকা রাজার সংগে বুদ্ধিমান, সত্যবাদী, সাহসী রাখাল বালকও ছিল যে রাজাকে সাহসের সংগে সত্য কথাটা বলে দিয়ে প্রলম্বিত প্রতারনাকে থামিয়ে দিয়েছিল৤ বর্তমন সময়ে চতুর প্রতারকের সংখ্যা এবং পরিধি যেমন বেড়েছে কিন্তু তার সাথে রাখাল বালকের পুরোপুরি অনুপস্থিতি সেই তথাকথিত রাজা জনগণ পুন:পুন: কাপড় হারাতে হারাতে ক্লান্ত এবং অসহায়৤ বর্তমান পরিস্থিতিতে একজন সত্যিকার রাখাল বালক দরকার যে জনগণকে বুঝিয়ে দেবে কে তার শত্রু এবং কে তার সত্যিকার মিত্র৤ যাদের সেই রাখাল বালক হবার কথা ছিল সেই মানবাধিকার সংস্থাগুলো এবং সংবাদমাধ্যম তারা্ও যখন চতুর র্স্বাথান্বেসী লোকের মতো জনগণকে মিছে রেশমী কাপড় পড়াতে চায় তখন আমাদের বিব্রত না হয়ে উপায় থাকে না৤ আসলে সবাই আমাদের ন্যাংটো করে রেখে কি সুন্দর কিচ্ছা শুনাচ্ছে। আর আমরা্ও চোখে মোহের চশমা পড়ে নিজেদের বেআব্রুতা দেখেও বুঝতে পারি না কি নগ্নতা চারিদিকে। কখনো বুঝতে পারলেও ওদের গায়ে ঘৃণার থুতু দিয়ে স্বান্তনাও নিতে পারি না, কারণ যাবো কোথায়। সব শকুণের সংগে এক সাথে শত্রুতা করে কি বাচা যায়!

০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×