বর্তমান দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বহুল ব্যবহৃত একটি বাক্য অর্জন এবং বর্জন। এই অর্জন এবং বর্জনের মেরুকরন চলছে দুটি রাজনৈতিক জোটে। ভোটের রাজনীতিতে এই অর্জন এবং বর্জন কতটুক প্রভাব ফেলবে তা দেখা নিয়েও সাধারন জনগনের মাঝে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। সরকারী দলীয় জোটের নেতাদের ভাষ্য দেশের ১৬ কোটি জনগন তাদের সাথে আছে, এবং তাদের সরকারের নেয়া প্রদক্ষেপের কারনে দেশের মানুষ উন্নয়নের জোয়ারে সুপারির খোলে ভাসছে। আদৌ কি সুপারির খোলে কেউ ভাসছে? অন্যদিকে বিরোধী জোট বলছে বর্তমান সরকারী জোট রাষ্ট্র পরিচালনায় পুরোপুরী ব্যর্থ, জনগন এই ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন চায়। এবং দেশের ১৬ কোটি জনগন তাদের সাথে। তারা ১৬ কোটি জনগনকে সাথে নিয়ে এই ফ্যাসিবাদী সরকার পতন ঘটাবে। তবে কি দেশের জনসংখ্যা ৩২ কোটি?
ভোটের হিসেবের দিকে যদি আমরা লক্ষ্য করি তাহলে দেখা যায় কোন দলই দেশের মোট জনসংখ্যার ৪০% মানুষের সাপোর্ট পায় না। সেদিক থেকে বলা যায় জনগনের বৃহত অংশই একক কোন দলের সাপোর্টার নয়। উন্নত বিশ্বে স্যোসাল মিডিয়া গুলো ভোটের রাজনীতিতে যতটা প্রভাব ফেলে আমাদের দেশে কিন্তু তা সম্ভব নয়। কেননা আমাদের দেশের স্যোসাল মিডিয়ায় যাদের বিচরন তাদের সংখ্যা মোট জনগনের ১% ও না। বর্তমান তরুন প্রজন্ম যদি সত্যিকারেই এই দুই স্বার্থপর রাজনৈতিক জোট ও অসভ্য রাজনৈতিক খেলা থেকে দেশ প্রেমে উদ্ভুদ্দ হয়ে দেশ ও জনগনের কল্যান করার ইচ্ছে পোষন করে তবে তাদেরকে দেশের মুল জনশক্তি অর্থাৎ কৃষক,শ্রমিক,মুজুর সহ খেটে খাওয়া জনগনের বৃহত অংশের কাছে পৌছাতে হবে। তবেই দেশ থেকে ঝেটিয়ে বিদায় করা সম্ভব হবে সকল অপশক্তিকে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৪১