উৎসর্গ: আমার অনেক কাছের একজন বন্ধুকে, যে আমাকে বৃষ্টির কবিতা লিখতে বলেছিলো
আকাশের নীলে বৃষ্টির অনুলিপি, শুন্যতর পরস্পর.....
মেঘের শার্ষিতে একঘেয়ে কাব্যিক অনুকরণ ভাঙ্গছে
ঝির-ঝির করে নেমে আসা শীতল বৃষ্টির ফোঁটায় ।
বৃষ্টিহীনতায় নিথর চুপচাপ আমার শহর,
নির্ঝর নৈ:শব্দ ভেঙ্গে চঞ্চল হয় পরিশুদ্ধ স্নানে,
মরা নদী-ঘাসফুল-পীচঢালা পথ ভিজে যায়,
ভেতরে কোথাও শুষ্ক পাথরে আড়মোড়া ভেঙ্গে
জেগে ওঠে সবুজ শ্যাওলা ।
ঘুমের ভেতর স্বপ্নের মতো জেগে থাকা স্মৃতির ধুলো,
বাতাসের সাথে কাঁপন তোলে হৃদপিন্ডের এগলি-ওগলিতে,
আমার নিথর চুলের ভাজে বিলি কেটে যাওয়া হাতের
উষ্ণ অবলম্বনে, মুগ্ধতার সম্মোহন কেটে গেলে, মন খারাপের
মেঘেরা জড় হয় বর্ষণের সাথে সন্ধি করবে বলে।
চোখের পাতায় তির তির করে কাঁপছে জল,
এমন অঝোর বর্ষনেও তার অবসর নেই পাপড়ি ভেজাবার,
জানালার গ্রীল ধরে দাঁড়িয়ে কৈশরে দেখা ধোয়াটে আকাশ
দুরত্ব পেরিয়ে প্রবল দৌরাত্বে কড়া নাড়ছে দরজায়;
সেই পুকুর পাড়ের মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো কদম গাছ,
তার শাখায় কোন এক বৃষ্টির দিনে চুপচাপ ভীজতে থাকা,
একটি ডানা ভাঙ্গা শালিকের জন্য ফোঁপানো আর্তনাদ;
আমি স্পষ্ট দেখতে পাই, হাঁটুজল সাতরে শামুক কুড়োতে যাওয়া শৈশব ।
কচি ধানক্ষেতের সরু আলের ফাঁক দিয়ে গড়াচ্ছে জল,
কল কল শব্দের সাথে ছোট-বড় বাহারী মাছেরা
মেতেছে বৃষ্টির গানে, কাদাঘাটা পথ মাড়িয়ে,
গায়ের স্কুল থেকে ফিরছে কয়েকজন দামাল কিশোর।
দৃশ্যপট এবং স্মৃতি দু’টোই বেশ বেয়াড়া,
শুদ্ধের ভেতর অশুদ্ধ,কাঙ্খিত ভোরে অনুশোচনা,
যত্ত্বসব বহুমাত্রিক জটিলতা;
এর চেয়ে
এই ভেজা পিচের সিমানা পেরিয়ে ঘুরে আসা যাক
সিমানাহীন-গন্তব্যহীন সারল্যে,
বৃষ্টিস্নাত কদমফুলের সুবাশ দু’চোখে মেখে
শুরুটাই আবৃত্ত্বি করা যাক কয়েকবার
“আকাশের নীলে বৃষ্টির অনুলিপি, শুন্যতর পরস্পর,
আকাশের নীলে বৃষ্টির অনুলিপি, শুন্যতর পরস্পর,
আকাশের নীলে বৃষ্টির অনুলিপি, শুন্যতর পরস্পর,” ।।
কৃতজ্ঞায়: আহমেদ আব্দুল হালিম ভাই যার কাছ থেকে কবিতাটির প্রথম লাইনটা পাওয়া
“আকাশের নীলে বৃষ্টির অনুলিপি, শুন্যতর পরস্পর”.
১.০৮.২০১১ অফিস ( মহাখালী)