কোথায় কাজ করবেন? পড়াশুনা শেষ করে সবাই তো কাজ খোজেন। অনেক সময়ই মানুষ বুঝতে পারে না কোথায় কাজ করতে যাবেন আর পেলেও কোনো জায়গায় কাজ করবেন কি না। আসলে কাজের ক্ষেত্রে সব জায়গাতে থাকলেও সব জায়গায় কাজ করে আনন্দ পাবেন না। যেমন একজন কৃষিবিদ যদি এলজিইডি বিভাগে কৃষিবিদ হিসাবে চাকরী পান তাহলে তার ১২টা বাজা সারা। আবার একজন প্রকৌশলী যদি কৃষিবিভাগের ভবন নির্মান বা তদারকীর জন্য নিয়োগ পান তারও অবস্থা শেষ।
আসল কথা হলো- যে বিষয়ে পড়াশুনা করেছেন তিনি সেই বিষয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগে চাকরীর জন্য চেষ্টা করলেই ভাল। যদিও দূর্মূল্যের বাজারে চাকরি পাওয়াটাই কঠিন।
আমি একজনকে জানি যিনি কৃষি বিভাগের ক্যামেরামান। এন্ট্রি পোস্টেই তাকে অবসরে যেতে হবে। অবশ্য তিনি যদি সরকারি বা বেসরকারি টিভি চ্যানেলে যান তাহলে তার উন্নতি হতে বাধ্য। আবার এলজিইডিতে অনেক কৃষিবিদ আছেন- তারা প্রকৌশলীদের কাছে নির্যাতনের স্বীকার।
আবার কৃষি বিভাগের মাঝে প্রবণতা এমন যে কৃষিবিদ ছাড়া কাউকে চাকরি দেওয়া যাবে না-- কৃষি বিভাগে। সফটওয়ার, সিস্টেম এনালিস্ট এগুলো ক্ষেত্রে কৃষিবিদ নেওয়া হচ্ছে। তথ্য অফিসারের পদগুলোও কৃষিবিদদের জন্য নির্ধারিত। এমনকি সেখানে যদি মেডিকেল অফিসার পদে কৃষিবিদ নেওয়া যেতো তাহলেও তাদের আপত্তি থাকতো না।
কৃষি বিপণন- এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়- অথচ সেখানে কৃষি অর্থনীতিবিদরা থাকলেও মার্কেটিং এর লোক সীমিত।
মৃত্তিকা বিজ্ঞান ইনস্ট্উটটে- কৃষি বিদ আর মৃত্তিকা বিজ্ঞানীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বিদ্যমান। আর মৎস্য বিভাগে প্রাণিবিজ্ঞানী এবং মৎস্যবিজ্ঞানীদের মাঝে পুরানো দ্বন্দ্ব। প্রতিটি বিভাগেই সংকীর্ণতা দিয়ে ভর্তি। হাসপাতালে ডাক্তার নয় এমন কারো দাম নেই- প্রকৌশল বিভাগে প্রকৌশলী ছাড়া আর কারো মূল্য নেই, কৃষি বিভাগে কৃষিবিদ ছাড়া আর কাউকে সম্মান দেয়ার অভ্যাসটা নাই। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ছাড়া আর কারো দাম আছে বলে জানা নেই। সবখানে সংকীর্ণতা দিয়ে ভরা।
অতএবং চাকরি কোথায় করবেন- একটু ভাল করে বুঝে করাটাই ভাল। আপনার যোগ্যতা যতই থাকুক ভুল জায়গায় পড়লে আপনার সহকর্মীরাই জীবনটাকে তামা তামা করে দেবে।