somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

উলটো পথ উলটো বাংলাদেশী; উলটো মুসলিম সমাজ

০৯ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাঙ্গালী গায়ক নচিকেতা অনেক আগেই গেয়েছেন “কোন এক উলটো রাজা উলটো বুদ্ধি প্রজার দেশে, চলে সব উলটো পথে”। বাংলাদেশ এদেশে সবকিছুই উলটো দিকে চলে। যা হওয়ার কথা তা হয়না, যেসব জিনিস্কে আমাদের প্রাওরিটি দেওয়া দরকার তানাদিয়ে অন্যদিকে মিছে সময় ও শ্রোম নষ্ট হয়। কিছু উদাহরণ দিয়ে দেখা যাক –

১) আমাদের দেশের একজন মাস্টার্স পাশ কোয়ালিফিইড মানুষ ঠিকমত ইংরেজী বলতে বা লিখতে পারেননা কিন্তু বহু ক্লাসে তিনি ইংরেজীতে ভাল করেছেন, কিন্তু মাস্টার্স সার্টিফিকেট তার আছে। আমরা ছোটবেলা থেকে অনেক ক্লাসে আরবী পড়ি কিন্তু আরবী কখোনই পারিনা। এরমানে কি? আমাদের শিক্ষাব্যাবস্থা, বেসিক নলেজ কিছুই ভালনা। ফান্ডামেন্টালি আমাদের নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। এজাতি সার্টিফিকেট সর্বস্ব হয়ে পড়েছে।

২) আমাদের অবশ্যই নবী সাহাবাদের পরে বড়বড় অলি, আউলিয়া, পীরদের শ্রদ্ধার সাথে দেখতে হবে, তাদের ইসলামি শিক্ষা গ্রহন করব, ভক্তি থাকবে। কিন্তু যেকোন বিষয়ে সাহায্য একমাত্র আল্লাহর কাছেই চাইতে হবে, নবীর কাছে বা আউলিয়া, পীরদের কাছে বা তাদের ওছিলায় চাওয়া যাবেনা। বিয়ে, চাকুরী, সন্তান, ধন, পরীক্ষা সবকিছুর জন্যই আল্লাহর কাছে চাইতে হবে, অন্য কোন খাজাবাবা বা অন্য কারো কাছে চাওয়া শিরক হবে। অনেকে মাজ়ারে বা বাবার ডেগে টাকা/ধন সম্পদ দেয় ভক্তিতে, কিন্তু চিন্তা করেন মৃত আউলিয়া আপনার টাকা নিয়ে কি করবেন, সব খাবে তার তথাকথিত খাদেমরা, “খাজাবাবা গাজ়া খাবা, গাজ়া না খাওয়াইলে কিসের বাবা”। এরাসব ঠগবাটপারী ব্যবসা করা লোক। বরং মাজারে না দিয়ে যে মানুষ্টি জীবিত আছে গরীব, ফকির তাকে ঐ টাকা দান করুন। একবার চিন্তা করুন সিলেট শাহজালালের মাজারে কি পরিমান টাকা মানুষ অহেতুক ঢালে। হযরত শাহজালালের ঐ পয়সার কোন দরকার আছে? দরকার আছে একজন জীবিত দারিদ্রপীড়িত মানুষের, তখনি আল্লাহপাক খুশি হবেন। আল্লাহ বলেছেন “তোমাদের সম্পদে দারিদ্র অসহায় মানুষের হক আছে” বলেননি যে মৃত পীর,অলি,আউলিয়াদের হক আছে। তাই অতিভক্তি করে পরনের লুঙী খুলে পাগড়ি কি বাধতে হবে?

৩) আমাদের দেশে মাজার কালচার পাশের দেশগুলোর মত ব্যাপক। দেশের দুই বড়দলের নেত্রীই নির্বাচনের আগে সিলেট মাজার দিয়ে প্রচারণা শুরু করে। তারা করে এট লোক দেখানোর জন্য এবং ইসলামি বেসিক নাই বলে। ভেবে দেখুন নবী (সাঃ) যিনিকিনা আমাদের সমগ্রবিশ্ববাসীর শ্রেষ্ঠ মানব তার কবর মদীনাতে পর্যন্ত শুধুমাত্র জিয়ারতের জন্য যাওয়া নিষেধ। যেতে বলা হয়েছে মাসজিদে নববীতে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে কারণ ওখাঙ্কার এক ওয়াত্ত নামাজ ৫০,০০০ ওয়াত্ত নামাজের সমান। ওখানে নামাজের উদ্দেশ্যে গিয়ে তারপর নবীজির কবর জিয়ারাতে/সালাম প্রদানে কোন বাধা নেই। নবীজির ক্ষেত্রে যেমন তেমনি সিলেটের হযরত শাহজালালের মাজারের ক্ষেত্রেও একি নিয়ম। সিলেটে যেতে হবে অন্য যেকোন উদ্দেশ্যে, তারপর হযরত শাহজালালের মাজার জিয়ারাত করতে হবে, এতে কোন দোষ নাই।শুধুমাত্র হযরত শাহজালালের মাজার জিয়ারাতের উদ্দেশ্যে সিলেট যাওয়া যাবেনা। কিন্তু বাংলাদেশের অনেক মানুষ শুধুমাত্র হযরত শাহজালালের মাজার জিয়ারাতের উদ্দেশ্যে সিলেট যান, যা ইসলামের শিক্ষার সাথে সাংঘরশিক।

৪) নামাজ অনেকে পড়ে না কারণ নামাজ়ের নিয়ত (নাউয়াইতুয়ান উসাল্লিয়া......) জানে না, নিয়ত মুখস্ত না, মনে থাকে না। আসলে কিন্তু নামাজের নিয়ত লাগেনা, করণ ধরা যাক কেউ আসরের আযানের পর ওযু করে মসজিদে গেল বা বাসাতে নামাজ এর জন্য উদ্যগ নিল, তার মনেমনে কিন্তু সে তৈরী আসরের নামাজের জন্য, ঈশা বা ফজরের জন্য না। তাই নিয়ত মুখে উচ্চারণ করে বলা কোন প্রয়োজনই নাই। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ় সবার জন্য ফরজ, আল্লাপাকের বড় বিধান, ইসলামে প্রবেশের ও টিকে থাকার বড় মাধ্যম। তাই নিয়ত নিয়ে খামাখা চিন্তা করে মূল্যবান ফরজ, অয়াজীব নামাজ় কাযা বা নষ্ট বা রাকাত আমরা না করি।

৫) আমাদের মধ্যে অনেকে আমরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ় পড়িনা। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ় কিন্তু ফরয, অবশ্য পালনীয়। কিন্তু দেখা যায় সবে বরাত (যার তেমন কোন গুরুত্ত নাই), সবে কদর ও অনান্য নফল নামাজের সময় আমরা ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ি। আনেককে দেখা যায় গোশল করে, সুন্দর পাঞ্জাবী পরে মসজীদে অনেক রাত পর্যন্ত নামাজ পড়ে, বাড়ির গুরুজন্দের জিজ্ঞাসা করে, বিষেশ করে বাড়ির মেয়ে/মহিলারা গুরুজন্দের কাছে না পেলে ফোনালাপ চলে দীর্ঘসময় ধরে এই বিষয়-নামাজ কিভাবে পড়ব, দুই রাকাত করে কিনা, আত্তাহীয়্যাতু (আত্তাহীয়্যাতু, দরুদ শরীফ, দোয়ায় মাসূরা-৩ টিকে একসসাথে আত্তাহীয়্যাতু মনে করে)পুরা পড়ব কিনা, আরো নানান প্রশ্ন। আমাদের ফরজ নামাজ হলেই পরে নফল উপকারী, যার ফরজ় নামাজ় আদয় হচ্ছেনা নফল তার জন্য কিভাবে উপকার আনতে পারে।

৬) অনেকেই দেখা যায় মসজিদে ফরজ নামাজ জামাতে চলছে কিন্তু সে জামাতে অংশ নানিয়ে আগে তার মিস হয়ে যাওয়া সুন্নত পড়তেশুরু করে। নিয়ম হল যদি জামাত শুরু হয় তবে জামাতে ফরজ নামাজ আগে শেস করে তারপর নাপড়া সুন্নতটি পড়ে নেওয়া। ফরজ নামাজ জামাতে এর গুরুত্ত সবার আগে তারপরে সুন্নত নফল যা পারা যায়। মুসল্মান হিসাবে বাংলাদেশিদের বেসিক এতই দূর্বল, কারন মা বাবা ঠিকমত শিখাননা। একারনে এই গাফিলতির হিসাব কিন্তু তাদের দিতে হবে। আপ্নারা দেখবেন আরবদের সাথে যাদের মেলামেশা আছে, তারা কিন্তু ফরজ অয়াজীব নামাজের ব্যাপারে সতর্ক, কারণ তারা জানে কোন্টার প্রাওরিটি কি হবে। আমরা কোন্টার প্রাওরিটি কি হবে বুঝিনা বা এটানিয়ে ভাবিনা।

৭) অনেকেই দেখা যায় আল্লাহর কাছে মানত করেন, এটা জ়ায়েয আছে (যেমন তালাক ও কিন্তু সর্বনিকৃষ্ট জায়েয)। নবীজি কিন্তু মানত না করাকেই পছন্দ করেছেন; কারণ মানতে আমরা বলি “আল্লাহ তুমি যদি আমাকে এইটা দাও তবে আমি ঐটা দান করব” ভাষা/ধরন লক্ষ করুন। আপনি আল্লাহকে প্যাচে ফেলছেন যে-তুমি যদি আমাকে এইটা দাও তবে- নাহলে কিন্তু না। আপনি কিন্তু এতই একজন তুছমানব যে আল্লাহর সাথে সর্ত দেওয়া আপনার মানায়না। তাই নবীর শিক্ষা মানত না করে এমনি খাছ নিয়তে দান করুন, আল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়ে দোয়া করুন, নামাজ পড়ে দোয়া চান। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের যেকোন সমসসায় দুই রাকাত নামাজের আনেক ফজিলত।

৮) সমাজে এইযে এত বিশ্রিঙ্খলা, ইভটিজিং এর কারনে কিন্তু মেয়েরাও দায়ি, ইসলাম তাদের যেভাবে চলতে বলেছে তারা সেভাবে চল্লে সন্দেহ নাই যে সমাজের বিশ্রিঙ্খলা কমবে। এখনকার মেয়েদের পোষাক আসাক, চালচলন এতই ওয়েষ্টার্ন ধারকরা যে ভালতে লজ্জা হয় এরা বাংগালী মুসল্মান। ঘটনা খুবি পরিষ্কার, যতদিন তারা নিজেদেরনা সাম্লাবে ততদিন অবস্থার উন্নতি নাই। Because in the inbuilt circuit of men & women God gave desire from opposite sex normally, that is undeniable. মেয়ে/মহিলাদেয় ঐভাবে অশালিন চলাফেরা সমাজের বিশ্রিঙ্খলা সৃষ্টির উদগ্র বাসনাকেই উস্কে দেয়। এর থেকে বাচঁতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, সঠিক মন নিয়ে। নৈতিকতা ও ইস্লামিক নীতি ও শিক্ষাই সকল সামাজিক শক্তির উতস।

এরকম আরো অনেক বিষয়ে বলা যাবে। আপনার ও নিশ্চই এমন অনেক কিছুই নজরে আনতে পারবেন।

০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!

লিখেছেন ব্রাত্য রাইসু, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।

আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!

এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×