সংসদ ভবনে পৌছাতে পৌছাতে বেলা ৩ টা বেজে গেলো। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের অনেকেই চলে এসেছে। আমাকে ২ টার দিকেই পৌছানোর জন্য বারবার বলা হয়েছিলো। কিন্তু আলসেমী করে দেরী করে ফেললাম। দাওয়াতের কার্ডটা পকেটে রেখে প্রয়োজনীয় কথাবার্তা সেরে নিলাম।
পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সম্মানে বিএনপির চেয়ারপার্সন ও বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার ইফতার মাহ্ফিল কিছুক্ষণের মাঝেই লোকরণ্য হয়ে উঠলো ভিআইপিদের পদভারে। আমরা কয়েকজন মিলে উনাদেরকে রিসিভ করি।
স্থায়ী কমিটির সদস্য, বিএনপির নেতৃবৃন্দ, পেশাজীবী লোকজন সকলেই যেভাবে খুশী সেভাবেই আড্ডা দিচ্ছে। এর মাঝে গায়ক মনির খান, বেবী নাজনীন, চাষী নজরুল ইসলাম, নায়ক উজ্জল, মিশা সওদাগর আলাদাভাবে নজর কারছে।
হঠাৎ নিরাপত্তা প্রহরীদের তৎপরতায় বুঝা গেলো অনুষ্টানের মূল আকর্ষণ খালেদা জিয়া চলে এসেছে। আগে থেকেই রেডি করা কয়েকজন ফুল নিয়ে এগিয়ে গেলো। খালেদা জিয়া গাড়ি থেকে নেমে খুব ধীর পায়ে মূল অনুষ্টানস্থলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। খালেদা জিয়ার বাম দিক দিয়ে আমিও যাচ্ছি। খালেদা জিয়ার হাঁটা দেখে আমি অবাক হচ্ছিলাম। বুঝাই যাচ্ছে হাঁটতে খুব কষ্ট হচ্ছে। সেই কষ্টের তীক্ষ্নধারা হাসিমুখেও ফুটে উঠছে প্রায়ই। খালেদা জিয়া যথাসম্ভব চেষ্টা করছে হাসিমুখে সবার সালামের/কুশলাদীর জবাব দিতে। অবাক হচ্ছি উনার কর্ম তৎপরতায়।
ইফাতারের পর আমরা কয়েকজন মিলে আবারো বসলাম অনুষ্টানস্থলে। সেখানে বারবার খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গটায় উঠে আসলো। বিশেষ করে ১/১১ এর সময় বিএনপির চরম দুর্দিনে, এ বয়সেও অনেক অসুস্থা নিয়েও যেভাবে শক্তহাতে বিএনপির হাল ধরে রেখেছে সেজন্য জাতীয়তাবাদীর সমর্থকরা খালেদা জিয়াকে মনে রাখবে আজীবন।