নির্বাচন কমিশন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার প্রস্তাবিত বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টকে "গমের শীষ" প্রতীক বরাদ্দ দিতে যাচ্ছে। দলটির নিবন্ধন চূড়ান্ত হয়েছে এবং কমিশন তাদের প্রতীক ডাটাবেইজ পরিবর্তন করে সেখানে গমের শীষকে অন্তর্ভুক্ত করতে যাচ্ছে।
১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবর রহমানের এক স্বাক্ষরে বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিলুপ্ত হওয়ার পর শহীদ President Ziaur Rahman-এর হাতেই সেই গণতন্ত্রের পুনরজ্জীবন ঘটেছিল। সেই শহীদ জিয়ার দল বিএনপি। অতএব গণতন্ত্রে ও সকল দল ও মতের স্বাধীন বিকাশে বিএনপির বিশ্বাস ও কমিটমেন্ট সন্দেহাতীত।
কিন্তু ধানের শীষের অত্যন্ত অনুরূপ এই গমের শীষ প্রতীক বরাদ্দ দিয়ে নির্বাচন কমিশন ইচ্ছাকৃত ভাবে ভোটারদের বিভ্রান্ত করার চক্রান্ত করছে। দীর্ঘ লাইন, প্রচন্ড ভীড় এবং তীব্র কর্মব্যস্ততার মাঝে যে ভোট গ্রহণ চলবে, সেখানে নানা কারণে ভোটাররা এই দুই প্রায় অনুরূপ প্রতীক দ্বারা বিভ্রান্ত হতেই পারে। নির্বাচন কমিশনের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত এই নিবন্ধন ইচ্ছাকৃত ভাবেই বিএনপিকে সেই বিভ্রান্তির জালে জড়াতে চাচ্ছে।
আমরা নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করছি। এর আগে সিটি নির্বাচনে বিএনপির ফাইভ নীল বিজয়কে মূলধন করে তারা প্রচার চালিয়েছে যে তারা নিরপেক্ষ। কিন্তু সেই নির্বাচনগুলোয় ছাত্রলীগ আর যুবলীগ নেতাদের সমন্বয়ে রিটার্নিং অফিসারদের টিম গঠনের নগ্ন চিত্র মানুষ দেখেছে। নির্বাচন কমিশনের এই জালিয়াতি নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে জেতাতে না পারলেও ব্যবধান কমাতে সমর্থ হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন কোন রাজনৈতিক দপ্তর নয়। এটি একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। এর হর্তাকর্তারা যদি পাতি রাজনৈতিক পরিচয় থেকে উপরে উঠে আসতে না পারেন, তাহলে নিজেদেরকে মানহীন অযোগ্য ঘোষণা দিয়ে সরে আসুন। পুরো জাতির সাথে বেঈমানি করার অধিকার আপনাদের কেউ দেয়নি।