সমাজের অনেক অংশে প্রক্সি বাণিজ্যের কথা শোনা যায়।পরীক্ষার হলে একজন আরেক জনের হয়ে পরীক্ষা দেয়।বিদেশী খেলোয়ারেরা টাকার বিনিময়ে ক্লাবগুলিতে খেলে নির্দিষ্ট সময় আবার যার যার দেশে ফিরে যায়।আমাদের দেশের রাজনীতির চোরা কারবারীরাও নির্দিষ্ট সময় ইচ্ছেমতন খেলে সময় ফুরালে বিদেশে গিয়ে পাড়ি জমায়।
বিগত তত্বাবধায়ক সরকারের দুই মহীরুহ সর্বজনাব ফকরুদ্দিন ও মঈন ইউ আহম্মদ।যাদের ইচ্ছায় বাঘে-মহিষে এক ঘাটে পানি খেত।উনারা আজ কোথায়?শুনি ক্যান্সারে মরণ প্রায় বিদেশে বসে চিকিৎসা নিচ্ছেন।সবাই এমনই বলে।মানুষকে বাঘের গল্প শুনিয়ে সত্যই যেদিন বাঘের যাঁতাকলে পড়বেন তখন মানুষে বিশ্বাস করার আগেই দেখবেন সব ঠুস।বাড়ীর কাছ দিয়ে যখন খাটিয়ায় করে নিয়ে যাবে তখন সবাই বলবে “ আমাদের ফকর-মঈন্যা গেল রে (ইন্না….রাজেউন)।”
আমাদের ঢাকার অদূরের শামীম ওসমান আর চট্রগ্রাম যাবার চিকেন নেক খ্যাত ফেনীর জয়নাল হাজারী বিশ্বসেরা সন্ত্রাসীর পালনকর্তা।সরকার পরির্তন হলে এঁরা ভারতের বাংলো ঘরে গিয়ে টাপুর টুপুর বৃষ্টি দেখে।মিডিয়ার কলাম লেখক আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী বিদেশে বসে দেশ সেবা করে যাচ্ছেন।আহ কি দেশ প্রেমিক!
আমাদের গুণধর রাজপুত্র ও রাজ কণ্যাগণ বিদেশে থাকেন।কেউ লন্ডনে বসে প্রহর গোনেন কবে সরবে সরকার উনাকে দেশের মাটির খুব দরকার।আরেকজন আছেন আমেরিকার দূত ডিজিটাল বাণিজ্যের প্রতারক।মাঝে সাঝে দেশে এসে বধূসমেত কোন একটা ক্ষয় করে যান।রাজ কণ্যাধন মায়ের আঁচল তলে বসে প্রতিবন্ধীর বাণিজ্য করেন।মায়ের রাজত্ব পর লাল ভিসা করে রেখেছেন। কয়েকদিন আগে শুনলাম আমাদের প্রণব দাদা উনাকে বলেছেন- “মাগো তুমি খাতা পত্র রেডি কর,আমি এসে তিস্তায় সই দিচ্ছি।”উনি আসলেন আবার চলেও গেলেন।কিন্তু কথা রাখলেন না।রাখলেন ভূট্রা সাহেবের কথা।
আরেক ভদ্রলোক হ্যারিস চৌধুরী।বিদেশ বিভূইয়ে কদুর মতন পঁচে গলে মরছেন।ভাগ্যিস ভাইটি বিদেশে ছিল।
শোনা যায় বর্তমানের অনেক হোমরা চোমরাও সরকার পরিবর্তন হলে লাল পাশপোর্টের লাইনে আছেন।এখন কঠিন কোন অসুখ বাঁধানোর পায়তারা।যাতে বাকী পাঁচ বছর চিকিৎসার কথা বলে বিদেশে লুকিয়ে থাকা যায়।বাংলাদেশ,বিচিত্র দেশ।দেশ প্রেমিকদের প্রক্সি কান্ট্রির দেশ।তাই না!
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:১২