somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সপ্নে বসবাস

০৫ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৪:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

#১# পড়ালেখার বাইরে টুশির জীবনে র কোন কিছুর জায়গা নেই ।তার তেমন কোন বন্ধু ও নেই । দেখতেও খুবি সাধারন সে এবং সাজগোজের ব্যাপারে মাথা ঘামায় না ।
এই ভর দুপুর বেলা যাচ্ছি ক্লাস এ আম্মুর ইচ্ছায় ভর্তি হওয়া কম্পিউটার ক্লাস এ ,কোন দরকার ছিল উচ্চ মাধ্যমিক ২য় বর্ষে আমি,আমার উচিত জাকিয়ে পড়াশুনা করা তা না আমি যাচ্ছি এক্সট্রা ক্লাস এ।।উফঃ অসহ্য। এসব ভাবতে ভাবতে ক্লাস এ গেল টুসি । যেখানে বাকি সব স্টুডেন্ট ছিল টুশির সিনিওর ,রিয়ান ও তাদের একজন সদ্য বিবিএ শেষ করেছে। কম্পিউটার এর একটা এক্সাম চলছিলো নিজের মনে এক্সাম দিচ্ছিল টুশি , দেখাদেখি করে লিখছিল বলে রিয়ানের সিট পাল্টে দিল স্যার এনে বসাল টূশির পাশে ,পরস্পর কে এক ঝলক দেখে দুইজন লিখায় মন দিল । লিখা শেষ করে টুশির চোখ পড়ল রিয়ানের খাতায় একটা প্রশ্নের ভুল উত্তর দিয়েছে সে ,খুব সাধারন এবং খুব রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে টুশি এম্নিতেই ভীষণ চুপচাপ তারপর ও ওর সামনে এত বড় ভুল!! বলবে না বলবে না করে বলেই ফেলল টুশি । রিয়ান ও তড়িৎ করমা ঠিক উত্তর টা টূশিকেই বলে দিতে বাধ্য করল ।


#২# হাই হ্যালো থেকে সম্পর্কটা বন্ধুত্তে যেতে যেতেও যেন যাচ্ছিল না, মেয়েদের খুব একটা পাত্তা না দেয়া রিয়ান এক দিন সাহস করে টুশির সেল নাম্বার টা চেয়ে নিল পড়া যেনে নেওয়ার বাহানায় । এরপর একদিন ক্লাস শেষ করে টুশি গেল মার্কেটে মা দিবসে মা কে শাড়ি দিবে বলে , একটা শাড়িও যেন তার পছন্দ হচ্ছে না বিরক্ত হয়ে দোকান থেকে বের হতে যাবে কে যেন পিছন থেকে বলল এই শাড়িটা নাও টুশি ,পিছনে ফিরে টুশি দেখে একটা শাড়ি হাতে রিয়ান দাড়িয়ে । দুজনের কেঊ কিছু বলল না হাসল শুধু , ওই শাড়ি টাই নিল টুশি । মা শাড়িটা ভীষণ পছন্দ করাতে খুশিটা ভাগ করে নিতে রিয়ান কে এসএমএস দিল একটা থ্যাংকস লিখে।।সেই শুরু ..................।



#৩# খুনসুটি , তর্ক ,হাসি ,আড্ডা , এই নিয়ে ভালই চলছিল ২জনের ,এর মধ্যে চাকরি পেয়ে গেল রিয়ান ।কম্পিউটার ক্লাস মাঝপথেই থেমে গেল অসম্ভব মন খারাপ হল টুশির কিন্তু মুখে তা প্রকাশ করল না । এইচএসসি ফাইনাল এর জন্য সেও কিছুদিন ক্লাস বন্ধ রাখল । এর পর ক্লাস এ কি ভিশন একা লাগত টুশির রোজ সে রিয়ানের এসএমএস এর অপেক্ষায় থাকতো , কিন্তু টুশির এসএমএস না পেলে রিয়ান যে র ও বেশি অস্থির হতো সেটা সে টুশি কে বলত না। প্রতি শনিবার টূশি কে দেখতে ক্লাস এ আসতো সে , সেটাও টুশি কে বুঝতে দেয়নি রিয়ান । বলত স্যার আসতে বলেছে অফ ডে তে । এভাবেই কত গভীর সম্পর্কের মায়াজালে তারা আটকে যাচ্ছে বোধ করি তারা কেঊই বুঝেনি। কিন্তু মুখে কেঊ স্বীকার করবে না টুশি মনে মনে ভাবতো ওর মত মেয়ে কাঊকে ভালবাসি বলবে এটা হতেই পারে না। কম্পিউটার ক্লাস শেষ হলেও শনিবার টা ওদের দিন হয়ে গেল কিভাবে যেন মাসে অন্তত ২ বার দেখা করতো ওরা ।


#৪# এভাবেই চলতে লাগলো কখন যে তারা একজন অন্যের পছন্দের জগতে বসবাস করতে লাগলো তারা বুঝতেই পারল না , সাজগোজ কে বুড়ো আঙ্গুল দেখানো টূশি রোজ শনিবার চোখে কাজল লাগাতে ভুলত না ,কাজল কাল চোখ রিয়ানের প্রিয় বলে । মাঝে ২ দিন কিছু না বলেই রিয়ান কথাই যেন গায়েব হয়ে গেল কল করলে ধরে না এসএমএস ব্যাক করে না , টূশির পাগল পাগল অবস্থা তাও নিজে কে সামাল দিল বার বার র বিরক্ত করল না রিয়ান কে । ২ দিন পর হঠাৎ রিয়ানের এসএমএস " কাঊকে ভালবাসি না বললে কি প্রেম হয়না?" টূশি উত্তর দিল "না, ভালবাসলে তোমার উচিত তাকে জানানো" । রিয়ান "" কি করে বলতে হয় ভালবাসি?"" ......টূশি "" আমি জানি না বলিনি কাঊকে"" ,... রিয়ান "" আমি ও বলিনি কিন্তু যে গাধা এখনও বুঝেনি আমি কি বলতে চাই তাকে মাইকিং করে বুঝালেও বুঝবে না "" ...টূশি বলল "" যে গাধা আমি যে আপনি থেকে তুমি তে চলে এসেছি সেটা বুঝল না সে র আমাকে কি বুঝাবে?"" এর পর কল করল রিয়ান ২ জনের কেঊ কিছু বলল না শুধু হেসেই চলল অনেকক্ষন এরপর টুশি বলল আমার আম্মু কিন্তু মেরে ফেলবে জানলে যদিও আমি এখন ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট বড় হয়েছি কিন্তু............ রিয়ান বলল র এ কিছু বলবে না কনদিন শুনেছ অনুমতি নিয়ে প্রেম করতে??
#৫# টুশি জানে ওর পরিবার মেনে নেবে না সহজে কিন্তু রিয়ান তো অপছন্দ করার মত ছেলে না মা নিশ্চয় বুঝবে । সে খুব ভাল করেই বুঝতে পারে যে মায়ার বাঁধনে সে আটকে গেছে সেটা সে চাইলেও ছিঁড়তে পারবে না। টুশির বাবা কোনদিন ছেলে মেয়ের কাছ ঘেঁষেন না উনি শুধু ওদের খরচ বহন করেন র কোন কিছু তেমন ভাবেন না , তাই টুশিরা ২ বোন ভীষণ মা নেওটা ।। রিয়ানের কাছে ওর বাবার গল্প শুনে শুনে কখন যেন টুশি উনার কাছেই বাবার আদর পাওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে গেছে তা টুশি জানে না, রিয়ান কে সে বলত দেখ বাবা কে আমি ঠিক আমার করে নিব একটুও দিব না তোমাদের , রিয়ানের পরিবারের সবাই ওর মা বোন ভাই সবাই কে নিয়ে একটা অদ্ভুত সুন্দর দিনের স্বপ্ন ওর হৃদয় জুড়ে। ওর এসব কথা শুনে রিয়ান শুধু হাসত ।। টুশি প্রায় রিয়ান কে বলত তোমার পরিবার মেনে নিবে তো আমাকে ? রিয়ান বলত, অবশ্যই ইঞ্জিনিয়ার বউ পেয়ে বাবা নিশ্চয় খুশীতে আত্মহারা হবেন , আমার পরিবার নিয়ে কোন টেনশন নেই টেনশন তোমার পরিবার নিয়ে মেনে নিবে তো আমাকে ? টুশি বলত মা কথার অবাধ্য আমি হইনি কোনদিন কিছু চাইও নি কোনদিন তাই পুরা জীবনের একটা চাওয়া মা নিশ্চয় আমাকে ফেরাবে না। র ও কত গল্প তাদের রিয়ানের ভাই ওর জন্য একটা পরী নাকি ঠিক করেছে এই গল্প ও টুশিকে বলল , টুশি মুখ কাল করে জানতে চাইল পরী কি আমাকে নিঃস্ব করে দিবে? রিয়ান চিৎকার করে বলে উঠে আমি তোমার ও সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ , তুমি জানো না? টুশির মুখ এক অজানা দিপ্তিতে ভরে উঠে ।
#৬# স্বপ্ন খুব সম্ভব এত সুন্দর হয়না টুশি তা ভাবত প্রায় সময় , ওদের দিন গুলো এত অদ্ভুত ভালালাগায় ভরে ছিল এত মায়া ভরা ছিল টুশি নিজেই যেন নিজে কে বলত তুই কত লাকি রে টুশি রিয়ান তোর । ওদের দেখা তেমন হতো না , এটা নিয়ে রিয়ান খুব রাগ করত , যে শনিবার টা তাদের ছিল টুশির ২য় বর্ষের রুটিন সেটাও কেড়ে নিল ওদের কাছ থেকে ।। অগত্য মোবাইল ই এক মাত্র মাধ্যম,রিয়ান ফেইস বুক ইউজ করত না বলে টুশি ও সেটা ছেড়ে দিল। রোজ রাতে তারা কথা বলত দিনে ঘটে যাওয়া মজার গল্প গুলো একজনের টা র একজন কে দিয়ে দিত , র হাসি গল্প খুনসুটি তে কতো রাত কেটে ভোর হয়েছে তার হিসাবও তাদের অজানা । রোযার সময় গল্পে গল্পে সেহেরির সময় হয়ে যেত কথা বলতে বলতে কোনদিন রিয়ান ঘুমিয়ে পড়লে টুশি বার বার কল দিয়ে ওকে তুলত উঠেই রিয়ান বলত র এ আমি ঘুমাইনি তুমি জাগাবে বলে চুপ করে ছিলাম , টুশি হাসত বলত রোজ এক কথা না বলে নতুন কিছু খুঁজে বের করতে পার না?
সব চেয়ে মজার ছিল ওদের একে অন্যকে গান শুনানো টুশি ভালই গাইত কিন্তু রিয়ানের গান ওর প্রেমে পাগল টুশি ছাড়া র কেউ ভুল করেও শুনতে চাইবেনা বোধ করি । রিয়ান বলত আমার গান এর যে কি মহিমা এক মাত্র তুমি বুঝলে জান র কেঊ আমার প্রতিভা ধরতেই পারল না , শুনে হেসেই খুন টুশি । মাঝে রিয়ানের অসুখ করল টুশি ওর জন্য রোযা রাখল শুনে রিয়ান এমন ভাবে হাসল টুশি অভিমানে রাঙ্গা হল তা দেখে র ও জোরে হাসল রিয়ান ওর হাসি দেখে টুশি ও হেসে ফেলল ।
টুশির বন্ধুর বিয়েতে টুশির বন্ধুর বর টুশিকে বলে টুশি তোমার হাসি দেখলে কি বলতে ইচ্ছে করে জানো ? গেয়ে উঠি “ একটু হেসে পড়াতে পার হাজার ও গলায় ফাঁসি “ শুনে টুশি হেসে উঠলেও রিয়ান চোখ মুখ শক্ত করে ফেলে হনহন করে হাঁটা দিল টুশি দৌড়ে ওকে ধরে ফেলল কি হয়েছে? বলে টুশি রিয়ানের চোখের দিকে তাকিয়ে দেখে হিংসার কি অদ্ভুত আগুন মানুষের চোখে ফুটে উঠতে পারে । রিয়ান বলে তোমার হাসি সুন্দর তাতে ওই বেটার কি? এটা শুধু আমি বলব র কেউ না। টুশি ওর রাগ দেখে হেসে বলল ঠিক ই তো র কেউ কেন বলবে ? আমি র হাসব না , তারপর ও হাসি আসলে চিৎকার করে সবাই কে চোখ বন্ধ করতে বলব তারপর হাসব । রিয়ান ও হেসে ফেলল ।




#৭# অনেক দিন পর রিয়ান র টুশির দেখা , রিয়ান কেন যেন বেশি কথা বলছিল না। র টুশি আপন মনে বকবক করে যাচ্ছিল , হঠাৎ রিয়ান বলে উঠে তোমার হাত টা একটু ধরবো টুশি? সেই প্রথম টুশি তার প্রিয় মানুষের স্পর্শ পেল , রিয়ান শক্ত করে টুশির হাত ধরে অন্য হাত বাড়িয়ে টুশির উড়তে থাকা চুল ধরল আস্তে আস্তে বলল আমি হারিয়ে গেলে কি খুঁজবে তুমি আমাকে? টুশি রিয়ানের হাত টা টেনে নিয়ে বলে আমি তোমার ও সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ , তুমি জানো না?? এ বাধন ছিঁড়ে যাওয়ার সাধ্য তোমার নেই । রিয়ান কিছু বলল না অপলক দৃষ্টিতে টুশির দিকে তাকিয়ে রইল টুশি ও যেন চোখ ফেরাতে পারছিল না।
হঠাৎ করে খুব অসুস্থ হয়ে পড়লো টুশি হসপিটালে ছিল ৩ দিন কিন্তু রিয়ান কে কিছুই বলল না রিয়ান ওর এমবিএ এর ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে খুব ব্যস্ত ওর অসুখের কথা শুনে কিনা কি করে বসে তাই। ফোন এ শুধু বলল রিয়ান কে এক্সাম পর্যন্ত রিয়ান যেন পড়া ছাড়া র কিছু নিয়ে না ভাবে টুশি ভাল আছে।
হসপিটাল থেকে বাসায় আসার ২ দিন পর টুশি রিয়ানের কল পেল খুব জরুরি কথা আছে ওর দেখা করতে বলল , টুশি ও মায়ের বারণ সত্ত্বেও অসুস্থ শরীর নিয়ে দেখা করতে গেল অনেক খুশীর একটা খবর দেওয়ার আছে রিয়ান কে । রিয়ান জেন বুঝতেই পারল না টুশি অসুস্থ,ওকে দেখেই বলে উঠলো খুব ঝামেলায় পরে গেছি আমাকে এক মাত্র তুমি বাঁচাতে পার । টুশি ব্যাকুল হয়ে জানতে চাইল কি হয়েছে ? রিয়ান বলল ওই যে পরীর কথা বলেছিলাম না ওর মামা আমার এমডি , পরীর সাথে আমার বিয়ে নিয়ে উনি ই কথা বলেছে ভাইয়ার সাথে , পরী নাকি ওই দিন মার্কেটে তোমাকে র আমাকে দেখে ফেলেছে এবং ওর মামা কে বলেছে , অনেক নাকি আপসেট মেয়েটা সে জন্য ওর মামা রেগে গেছে আমার প্রমোশন আঁটকে দিয়েছে , আমি অনেক কষ্টে ওর নাম্বার যোগাড় করে ওকে কল করেছি বলেছি আমরা শুধু বন্ধু তোমার সাথে তোমার বয় ফ্রেন্ড এর গিফট কিনতে ওই দিন মার্কেটে গেছি । কিন্তু ও আমার কথা বিশ্বাস করে নি তোমার মুখে শুনতে চাই প্লীজ আমি কল করে দিচ্ছি ওকে একটু বুঝায়ে বল যে আমার কথা সত্যি।
যন্ত্রচালিতের মত রিয়ানের শিখিয়ে দেওয়া কথা গুলাই বলল টুশি পরীকে । রিয়ান হাসি মুখে বলল ধন্যবাদ টুশি । টুশি র কিছু না বলে চোখ ভর্তি পানি নিয়ে চলে এলো ইশ! রিয়ান কে তো বলাই হইনি হসপিটালের ব্যাড এ শুয়ে সে তার মা কে রিয়ানের কথা বলেছিল , মা খুশী মনেই রাজী হয়েছে রিয়ানের সাথে দেখা করতে ।।









#৮# ওই দিন রাতেই রিয়ানের এসএমএস এলো আমাকে ক্ষমা করে দাও টূশি জীবনে আমার অনেক বড় কিছু হওয়ার ইচ্ছা, এক মাত্র পরী কে বিয়ে করলেই এটা সম্ভব । আমাকে ক্ষমা করে দাও ।




#৯# এরপর অনেক চেষ্টা করেছে টুশি কিন্তু রিয়ানের খোঁজ পায়নি । কি করে পাবে পরী কে বিয়ে করে রিয়ান তখন ইউকে তে । রিয়ানের খুব কাছের এক বন্ধু টুশি কে বলল মন খারাপ কর না টুশি বাস্তবতা কে মেনে নিতে হবে কেরিয়ার টায় সব বুঝলে ??

কি বুঝল টুশি সে নিজেই জানে না । মা এর সখ উনার মেয়ে ইঞ্জিনিয়ার হবে , থাক মায়ের জন্য হলেও সে ভেঙ্গে পরবে না ভেবে মন কে বুঝায় সে , হয়ত পারত ও মন কে নিজের দখল এ নিয়ে আসতে , কিন্তু রাত যে কেন হয়??? প্রতি রাত সে জেগে থাকে না কাঁদে না স্বপ্ন দেখে রিয়ানের সাথে যে তার অনেক কথা, “ রিয়ান তোমাকে বলাই হইনি আমাদের মেয়ের নাম ঠিক করে ফেলেছি টুকুস , রিয়ান রাগ করে বলে মেয়ে আমাদের র নাম শুধু তোমার সাথে মিলিয়ে রাখবে তা হবে না । না হলে নাই টুকুস ই রাখবো । ও ভাল কথা আমি মাছ খাই না এটা খাই না সেটা খাই না এটা নিয়ে অনেক বকেছ আমাকে তুমি জানো আমি এখন খাওয়া নিয়ে কোন আপত্তি করি না সব ই খাই । খুশী তো তুমি?
ও আচ্ছা ওই দিন মিনার এর গালে একটা থাপ্পর বসিয়ে দিয়েছি কেন জান ? ও বলেছিল আমার হাসি নাকি খুব সুন্দর দেখলেই মায়া লাগত কিন্তু এখন নাকি আমি হাসতে ভুলে গেছি , তুমি ই বল রাগ হয় না ?? আমার খুব রাগ হয় ইচ্ছে করে সব ভেঙ্গে ফেলি সব ভেঙ্গে ফেলি সব...””






#১০# নিজের ডায়রির শেষ পাতায় লিখেছিল টুশি “” আমাকে ফেলে চলে গেলে কেন রিয়ান ?? আমি পরীর মত সুন্দর না বলে? সৃষ্টিকর্তা কেন আমাকে সুন্দর বানাল না ,কেন??
পরীর বাবার অনেক টাকা তাই? আমার বাবার কেন অত টাকা নেই, কেন??
জানো অলিক, মিনার এরাও আমাকে স্বপ্ন দেখাতে চেয়েছিল , কিন্তু আমার যে তোমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা শেষ হইনি কি করে ওদের স্বপ্ন গুলো আমি নিব বল তো ??
আমার তো স্বপ্নেই বসবাস যেখানে তুমি আমার টুকুস আমার , সেখান থেকে কোন পরী তোমাকে নিয়ে যেতে পারবে না কোনদিন ও না।
আমি তোমার ও সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ , তুমি জানো না??



এর পর টুশি র কোন দিন কলম ধরে নি লিখেনি ওর মনের কথা ............।।
ওর প্রিয় মা , বোন , বাবা সবাই মিলে ওকে বন্দী করে রাখে ওর ঘরে ,
পৃথিবীর মানুষের ভাষাই ও পাগল , যে কোণো কথায় বলে না শুধু মাঝে মাঝে সব কিছু ছুড়ে ফেলে দিয়ে রিয়ান রিয়ান বলে চিৎকার করে লোকো লজ্জার ভয়ে ওর মা তখন ওকে মুখ চেপে ধরে মারে বন্দী করে রাখে তখন শান্ত লক্ষি মেয়ের মত মা এর বুকে মাথা রেখে ও গেয়ে উঠে “ আমি তোমার ও সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ “”।।...........................
ও পাগল শুধু আমাদের ভাষাই কিন্তু ও যে আয় জগতে বাস করে না ওর বসবাস এই বাস্তবের নিষ্ঠুরতাই না ওর বসবাস স্বপ্নে ।। যেখানে শুধু বাস করে
রিয়ান, টুকুস , র টুশি ........................
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×