somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কেন এই বৈরী মনোভাব?

০৩ রা আগস্ট, ২০১১ সকাল ৯:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বাংলাদেশের গণমাধ্যম আমাদের অনিয়মগুলো দ্রুত তুলে ধরছে। এই গণমাধ্যম না থাকলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র আবদুল কাদেরের লাশও খুঁজে পাওয়া যেতো কিনা সন্দেহ (যদিও আবদুল কাদের হাইকোর্টে এসেছে হুইল চেয়ারে)। গত ১৫ জুলাই আবদুল কাদের খালার বাসা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ফিরছিল। সাদা পোশাকধারী পুলিশ তাকে ডাকাত সন্দেহ করে দুদক কার্যালয়ের সামনে সেগুনবাগিচা থেকে গ্রেফতার করে। ডাকাতি, অবৈধ অস্ত্র রাখা ও গাড়ি ছিনতাইয়ের অভিযোগে আবদুল কাদেরের বিরুদ্ধে তিনটি মামল দিয়েছে পুলিশ। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক এবং বিভিন্ন তথ্যমতে, আবদুল কাদের কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রশ্নই ওঠে না।

পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেই মারধর শুরু করে, চাপাতি দিয়ে পায়ে আঘাত করে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বলাতে কটাক্ষ করে আরো বেশি মারধর করে। পরে খিলগাঁও থানায় নিয়ে তাকে পাশবিক নির্যাতন করে। এমনকি আদালতের হাজতখানায় নেয়া হলেও তাকে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করা হয়নি। কতোটা বর্বর, নিষ্ঠুর আচরণ। পুলিশের ঘুষ খাওয়া থেকে শুরু করে উস্কানি দেয়া, গুম করা, সন্ত্রাসী কাজে সহযোগিতা করা, অন্যায়ভাবে পথচারীদের হয়রানি ইত্যাদি অনিয়মের কথা গণমাধ্যমে জানা গেছে। গণমাধ্যম সক্রিয় না হলে পুলিশের এমন বর্বরতার খবর আড়ালেই থেকে যেতো। আইন কি শুধু সাধারণ মানুষের জন্য? পুলিশ যখন যাকে ইচ্ছে ধরে নিয়ে যাবে, মারধর করবে; মামলা দেবে— এ কেমন কথা!

কাউকে দোষী প্রমাণ করা ছাড়াই পুলিশ তাকে মারতে পারে— এ আবার কেমন আইন। মানবাধিকার, মানবাধিকার বলে আমরা চিত্কার-চেঁচামেচি করছি সারাবিশ্ব জুড়ে। এখানে মানবাধিকার কোথায়? আবদুল কাদের গণপিটুনিতে আহত হয়েছে—এরকম মিথ্যা বলতেও পুলিশ কর্মকর্তার বিবেকে বাধে না। বিবেকবর্জিত মানুষ কী করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করবে?

পুলিশের আচরণবিধি, অপরাধীর সঙ্গে পুলিশের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা, সন্দেহজনক ব্যক্তিকে ধরে হয়রানি না করা, যখন তখন মানুষকে লাঠিপেটা করা ইত্যাদি অমানবিক কাজগুলো সম্পর্কে রাষ্ট্রীয়ভাবে নীতি নির্ধারণ করা উচিত। তা না হলে রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ভাবমূর্তি নষ্ট হবে।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

‘নির্ঝর ও একটি হলুদ গোলাপ’ এর রিভিউ বা পাঠ প্রতিক্রিয়া

লিখেছেন নীল আকাশ, ০১ লা জুন, ২০২৪ দুপুর ১:৫৭



বেশ কিছুদিন ধরে একটানা থ্রিলার, হরর এবং নন ফিকশন জনরার বেশ কিছু বই পড়ার পরে হুট করেই এই বইটা পড়তে বসলাম। আব্দুস সাত্তার সজীব ভাইয়ের 'BOOKAHOLICS TIMES' থেকে এই বইটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিতর্ক করার চেয়ে আড্ডা দেয়া উত্তম

লিখেছেন সাড়ে চুয়াত্তর, ০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ১১:২৬

আসলে ব্লগে রাজনৈতিক, ধর্মীয় ইত্যাদি বিতর্কের চেয়ে স্রেফ আড্ডা দেয়া উত্তম। আড্ডার কারণে ব্লগারদের সাথে ব্লগারদের সৌহার্দ তৈরি হয়। সম্পর্ক সহজ না হলে আপনি আপনার মতবাদ কাউকে গেলাতে পারবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে প্রাণ ফিরে এসেছে!

লিখেছেন সোনাগাজী, ০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ১১:৩৪



ভেবেছিলাম রাজিবের অনুপস্হিতিতে সামু রক্তহীনতায় ভুগবে; যাক, ব্লগে অনেকের লেখা আসছে, ভালো ও ইন্টারেষ্টিং বিষয়ের উপর লেখা আসছে; পড়ে আনন্দ পাচ্ছি!

সবার আগে ব্লগার নীল আকাশকে ধন্যবাদ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙালি নারীর কাছে

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ০২ রা জুন, ২০২৪ রাত ১২:৪৬

পরনে আজানুলম্বিত চিকন সুতোর শাড়ি, সবুজ জমিনের পরতে পরতে কবিতারা জড়িয়ে আছে বিশুদ্ধ মাদকতা নিয়ে, গোধূলির আলোয় হেঁটে যায় নিজ্‌ঝুম শস্যক্ষেতের ঘাসপাঁপড়ির আল ধরে, অতিধীর সুরের লয়ে, সুনিপুণ ছন্দে। সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসেন ইক্টু ঘুরাঘুরি করি.... :-B

লিখেছেন সোহানী, ০২ রা জুন, ২০২৪ সকাল ৯:২৩

এক কসাইয়ের লাশ আরেক কসাই কিভাবে কিমা বানাইলো কিংবা কত বিলিয়ন ট্যাকা টুকা লইয়া সাবেক আইজি সাব ভাগছে ওইগুলা নিয়া মাথা গরম কইরা কুনু লাভ নাইরে... আদার ব্যাপারীর জাহাজের খবরের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×