জমি ছিল। অফুরোন্ত জমি ছিলো। এতো ছিলো যে এ মাথা থেকে ও মাথা যেতে নাকি পুরো দুদিন লাগতো ঘোড়ায়। হটাৎ এলো যুদ্ধ। তারপর ওলোট পালোট। অতপরঃ গণতন্ত্র। ব্যাপারটা এলো এমন ভাবে যে মনে হলো কে জেনো সূখসপ্ন টাকে মাড়িয়ে কাচা ঘুমে এক বালতি ঠান্ডা পানি ঢেলে দিলো।
বলি সত্যি কি দরকার ছিলো এই গণতন্ত্রের? জমিদার ছিলাম বেশ ভালোই তো ছিলাম, কারো তো ভাত মারিনি? যা একটু খাজনাই বা নিতাম। কি এমন দোষ?খাজনা কি এই গণতন্ত্র নেয়না? তাহলে?!
আর ভালো লাগেনা। টাকা নাই পয়সা নাই, পেটে খিদে, দেহে ক্লান্তি।চোখে সপ্ন কিন্তু হাত বাধা। উবে যায় আশা আকাঙ্খা, দরিদ্র সিমার এপাশ থেকে দেখা যায়না ওপারের সোনালি সূ্র্যাস্ত। অবশ বসে আড্ডার মাঝে, নিরবে চেয়ে রই সবার পানে। মাটিতে বসে, ময়লা কাপে চুমুক দিতে দিতে ভাবি, সবাই কি জানে এক সময় কত জমি ছিলো আমার? কত শত??