somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

খালেদা-হাসিনাঃ রক্ত খেকো দুই ডাইনি

১৭ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গতকাল শনিবার বিকেলে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার পশ্চিম গোবিন্দল রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত শোক সমাবেশে বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘আন্দোলন করতে গেলে হয়তো আরও কিছু প্রাণহানি হবে। জানমালের ক্ষতি হবে। কিন্তু দেশের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে এই ক্ষতি মেনে নিতে হবে।’-প্রথম আলো

Click This Link

ম্যাডাম,আপনি এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের দেশের বর্তমান রাজনীতির পরিচয়।যে যতই তৃতীয় পক্ষ,তৃতীয় পক্ষ বলে মুখের ফ্যানা তুলুক না কেন মুখের ফাঁকা বুলি ছাড়া ওগুলো কিছু না।কারণটা হ’ল রক্ত।জাতির পিতাকে পরিবার সমেত ধ্বংস করে রক্তের গঙ্গা বয়ে দিয়ে আমরা শেখ হাসিনাকে তথা মুজিব পরিবারকে রাজনীতি করা জায়েজ করে দিয়েছি।আবার আরেক কর্ণধার,জাতির দুঃসময়ের কান্ডারী-নয়ন মণি জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে আপনাকে আপনার পরিবারকে রাজনীতি করার সার্টিফিকেট দিয়েছি।যেমনটি পেয়েছে গান্ধি পরিবার ইন্দিরা ও রাজিবের রক্তের বিনিময়ে।সদ্য প্রয়াত বেনজিরের রক্তের বিনিময়ে বিলওয়াল পেয়েছে সে সার্টিফিকেট।শ্রীলংকায় আছে কুমারাতুঙ্গা পরিবার।অতএব, তৃতীয় পক্ষ নিয়ে যে যাই বলুক,গর্জনেই সার।কি নিরাপদ স্বর্গ তাই না!

ভারতীয় উপমহাদেশে একজন রক্তের পাদ্রির উদয় হয়েছিল।উনি বলেছিলেন- “রক্ত দাও,স্বাধীনতা দিব।”আবার অহিংস আন্দোলনের রুপকার মাহাত্মা গান্ধীও এই গ্রহেরই বাসিন্দা ছিলেন।বাজার করতে নগদ টাকা লাগে।আবার কারও মুখের কথায়ও ব্যাগ ভর্তি বাজার বাড়ীতে চলে আসে।পৃথিবীর আর সব প্রান্তেও রাজনীতি হয়।কারও রাজনীতি করতে রক্ত লাগে না,আপনাদের লাগে।কেন?

হযরত মুহাম্মদ(সাঃ)ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে বিধর্মীদের আঘাতে রক্তাক্ত হয়েছিলেন।আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রস্তাব এসেছিল- “হে নবী আপনী বলুন,এদেরকে পাহাড় চাপা দিয়ে ধ্বংস করে দিই।”নবী করিম (সাঃ)বলেছিলেন- “হে আল্লাহ,তুমি যদি এদের ধ্বংস করে দাও তবে আমি আমার ইসলাম প্রচার করব কাদের মাঝে?” জানি আপনারা কেউ ইসলাম প্রচার করেন না।কিন্তু জনগণের মঙ্গল হয় এমন তত্ব নিয়েই তো আন্দোলন করছেন।তবে সেই জনগণকে মেরে আপনাদের মঙ্গল তত্বের স্বাদটা কাকে খাওয়াতে চাচ্ছেন?আপনারা এমন মহামানব!

মনে আছে শেরাটনের সামনে দ্বিতল বাসের আগুণের কথা।আবার ২৮শে অক্টোবরের লগি বৈঠার তান্ডবের কথা।রক্তের সিঁড়ি বেয়ে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসতে পছন্দ করেন।আবার অনেকে বলেন ভিশন-২০২০ বাস্তবায়ন করার জন্যই পিলখানা হত্যাকান্ড।আবার দেশের ইতিহাসে জঘন্যতম সাম্প্রতিক কালের গণহত্যা।তাহলে আপনারা তো ঠান্ডা মাথার খুনি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রী আপনারা দু’জনেই মা।যাদের সন্তান নেই একটা সন্তানের জন্য তারা পাগলের মত ছুটাছুটি করে।ডাক্টার,কবিরাজ,ঝাড়-ফুঁক যে যাই বলে তাই করে।এই সন্তান পেটে নিয়ে দশমাস দশদিন অসহ্য যন্ত্রণাও সহ্য করে।আবার এই সন্তান প্রসবের সময় প্রথম মৃত্যূর কিনার থেকে মাকে ঘুরে আসতে হয়।চোখ খুলে মা যখন সেই নাড়ী ছেঁড়া ধনকে দেখে কোথায় সেই কষ্ট উবে যায়!

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রী আপনাদের সন্তানেরা কি হলেন্ডার পটল?নাকি অন্য মায়ের কোল থেকে কেড়ে নেওয়া নয়তো ঘরের কোণে দাঁড়িয়ে আলতো করে পেট ফেলানো জারজ?যদি না হয় তো আরেক মায়ের বুক খালি করতে আপনাদের বুকে সন্তানের কি পুরনী তা লাগত। মানুষ মেরে বলছেন- “হত্যাকাণ্ডের দায় অমুক নেত্রীকে নিতে হবে।”

Click This Link

প্রশ্ন জাগে আপনারা আমাবশ্যা রাতের মানুষ খেকো,রক্ত খেকো ডাইনি কিনা।.......Stop!Stop! Stop.Please don’t kill us.
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:০১
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×