somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বৃটিশ ল’ ডিগ্রির ভুয়া ইউনিভার্সিটি

৩১ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

Click This Link
রাজধানীর ধানমন্ডি চার নম্বর রোডের ১৪ নম্বর বাড়ির নিচতলায় তিন রুমের অফিস। এখানেই গড়ে তোলা হয়েছে উইলিয়ামসবার্গ নামের ইউনিভার্সিটি। লন্ডনের নাম বলে এখান থেকেই দেয়া হচ্ছে এলএলবি ও ডিপ্লোমা কোর্সের ভুয়া ডিগ্রি - যা দিয়ে নাকি ব্যারিস্টার হওয়া যাবে। ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে এক বছরেই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে প্রায় তিন কোটি টাকা। শিক্ষার্থীদের বলা হচ্ছে, এটি ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারে অবস্থিত।
অথচ বৃটিশ কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ বলেছে, ইংল্যান্ডে উইলিয়ামসবার্গ নামের কোন ইউনিভার্সিটি নেই। এখানে উইলিয়ামসবার্গের ইনটার্নাল প্রোগ্রাম খোলার দাবি করেছে চ্যান্সারি একাডেমী অব ইংলিশ ল’ নামের প্রতিষ্ঠান। যোগাযোগ করা হলে একাডেমী কর্তৃপক্ষ জানান, উইলিয়ামসবার্গ ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ তাদের ইনটার্নাল প্রোগ্রাম চালুর অনুমতি দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির যে সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে তাতেও লেখা হয়েছে উইলিয়ামসবার্গ ইউনিভার্সিটি (ইনটার্নাল), ম্যানচেস্টার। চ্যান্সারি একাডেমীর অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. খাজা ইকবাল আহসানউল্লাহ। তিনি সংক্ষেপে লেখেন প্রফেসর ড. কে ইকবাল। গত ২৩শে জুলাই রাজধানীর মেরিট কনভেনশন সেন্টারে উইলিয়ামসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনও করা হয়েছে। সেখানে ২৬ জন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি দেয়া হয়েছে। ওই সমাবর্তনে সুপ্রিম কোর্টের একজন সিনিয়র বিচারপতি উপস্থিত ছিলেন। বৃটিশ কাউন্সিলের একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা ওয়েবসাইটে গিয়ে ইংল্যান্ডের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা বের করে উইলিয়ামসবার্গ নামের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্তিত্ব খুঁজে পাননি। ওই ইউনিভার্সিটির নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে ৬০০০ পাউন্ড- যা বাংলাদেশী টাকায় ৭ লাখ ৪২ হাজার ২০০ টাকা। এছাড়া, ওই ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের নিজস্ব টাকা দিতে হয় ১ লাখ ১০ হাজার। প্রতি মাসের ফি ৫ হাজার টাকা। প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে সর্বমোট ৯ লাখ ১২ হাজার ২০০ টাকা নেয়া হচ্ছে। আর সমাবর্তনে অংশ নেয়া ২৬ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে নেয়া হয়েছে ২ কোটি ৩৭ লাখ ১৭ হাজার ২০০ টাকা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লন্ডন ইউনিভার্সিটির এক্সটার্নাল প্রোগ্রামে ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে তিন বছরে ৩ হাজার ১৬১ পাউন্ড- যা গত বুধবারের হিসাবে ৩ লাখ ৯১ হাজার ১৫ টাকা ৭ পয়সা। প্রতিষ্ঠানটিতে লন্ডন ইউনিভার্সিটির ও নর্দামবিয়া ইউনিভার্সিটির কোর্সও পড়ানোর দাবি করা হয়েছে। অথচ ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে লন্ডন ইউনিভার্সিটির প্রসপেক্টাসে যে ছয়টি নাম দিয়েছে সেখানে চ্যান্সারি একাডেমীর নাম নেই।


অনুসন্ধান: বর্তমান প্রতিবেদক ছাত্র পরিচয়ে ভর্তি হতে গেলে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ যে তথ্য জানায় তা শিউরে ওঠার মতো। জানানো হয় চ্যান্সারি একাডেমীর অফিসেই পরীক্ষা নেয়া হয়। চলতি বছরের ডিপ্লোমা ইন ল’ ও এলএলবি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেয়া হয় চ্যান্সারি একাডেমীর অফিসেই। অফিসের একজন কর্মচারী জানান, পরীক্ষা সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা তা উইলিয়ামসবার্গ ইউনিভার্সিটির কর্তৃপক্ষ ইংল্যান্ডে বসে ক্যামেরার মাধ্যমে দেখেছে। পরীক্ষার ফল জানানো হয়েছে মোবাইলে মেসেজে। শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেটও দেয়া হয়েছে ওই ইউনিভার্সিটির নামে। প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে ইউনিভার্সিটিই নেই সেখানে সার্টিফিকেট দেয়া হলো কিভাবে? মানবজমিন-এর কাছেও একজন শিক্ষার্থীর সার্টিফিকেট এসেছে। অনুসন্ধান চালিয়ে জানা যায়, গত ৫ বছর ধরে খাজা ইকবাল নামের এই ব্যক্তি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতারণা যাতে ধরা না পড়ে সে জন্য তিনি বারবার অফিস বদল করেন। তিনি নিজেকে ইংল্যান্ডের কুইনমেরী ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক দাবি করেন। নিজের ভিজিটিং কার্ডে পরিচয়ে তিনি লেখেন এলএলবি অনার্স (ইউকে), এলএলএম (ইউকে), এলএলডি (কমার্শিয়াল ল’), পিএইচডি (ক্রিমিনোলজি), সিপিই (ইউকে বার), এটর্নি (ইউএসএ), এডভোকেট, সুপ্রিম কোর্ট অব বাংলাদেশ। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের বার কাউন্সিলের তথ্য ও অনুসন্ধান কেন্দ্রে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি এনরোলমেন্ট পান ২০০৪ সালের ১৭ই এপ্রিল। মেম্বারশিপ পান ২০০৭ সালের ২৮শে মার্চ। সিরিয়াল নম্বর ৩২৮২। আইডি নম্বর ৩৬২৮। তার নাম খাজা ইকবাল আহসানউল্লাহ। সেখানে তার নামের আগের প্রফেসর ও ডক্টর লেখা নেই। ২৩শে জুলাই উইলিয়ামসবার্গ ইউনিভার্সিটির নামে যে সমাবর্তন করা হয় তার জন্য একটি স্যুভেনিরও করা হয়েছে। সেখানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এসকে সিনহা, সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল বাসেত মজুমদারও বক্তব্য দিয়েছেন। যোগাযোগ করা হলে অফিস থেকে জানানো হয়, আগামী এক সপ্তাহ পর উইলিয়ামসবার্গ ইউনিভার্সিটির ইনটার্নাল প্রোগ্রামে ভর্তি করা হবে। তাদের কোন কাগজপত্র আছে কিনা জানতে চাইলে বলা হয়, এই মুহূর্তে কোন কাগজপত্র নেই। ওয়েবসাইটের ঠিকানা জানতে চাইলে বলা হয়, সেপ্টেম্বর থেকে ওয়েবসাইটে উইলিয়ামসবার্গ ইউনিভার্সিটি সম্পর্কে জানা যাবে। ০১৭১২৬৬৫৮৩২ নম্বরে ফোন করা হলে একজন বলেন, রাতে যোগাযোগ করতে। সোমবার রাত নয়টার দিকে গিয়ে দারোয়ানকে জিজ্ঞেস করলে বলেন, অফিসে লোক নেই। অফিস বন্ধ। তারপরও অনুমতি নিয়ে গিয়ে দেখা যায়, অফিস খোলা। ৫০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ কাজ করছেন। তার নাম বাবুল হাওলাদার। তিনি প্রতিষ্ঠানে প্রায় নয় বছর ধরে কাজ করছেন বলে জানান। তিনি জানান, আমাদের কলেজের বয়স নয় বছর। তিনি বলেন, এখানে অফিসের আগে আরও দুই জায়গায় অফিস ছিল। এখানে দেড় বছর ধরে অফিস নেয়া হয়েছে। তিনি জানান, লন্ডন ইউনিভার্সিটি ও উইলিয়ামসবার্গ ইউনিভার্সিটির আন্ডারে ল’ (আইন) পড়ানো হয়। কত টাকা প্রয়োজন হয় জানতে চাইলে তিনি বিস্তারিত জানাতে পারেন নি। একপর্যায়ে জানতে চান আপনি কয়টা সাবজেক্ট পড়বেন। সব কোর্স শেষ করার কথা বললে তিনি জানান ১২টি কোর্সে আট লাখ টাকা লাগবে। স্যারের নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডক্টর ইকবাল। এসময় তিনি ইকবালের একটি ভিজিটিং কার্ড ধরিয়ে ফোনে কথা বলতে অনুরোধ করেন। ইকবাল কোথায় থেকে পড়াশোনা করেছেন জানতে চাইলে ওই লোক বলেন, ইংল্যান্ড থেকে। তিনি কি এখানকার প্রিন্সিপাল জানতে চাইলে বলেন, তিনি প্রিন্সিপাল ও মালিক দু’টোই। কতজন শিক্ষক আছে জানতে চাইলে বলেন, ৫ জন শিক্ষক আছেন। এসময় তিনি কয়েকজনের নামও বলেন। তিনি বলেন, আমাদের এখানে ৬০ জন ছাত্র আছে। কয়েকদিন আগে তো আপনাদের একটি অনুষ্ঠান হলো, সেখানে কারা এসেছিলেন জানতে চাইলে বলেন, সিনিয়র ৪ জন বিচারপতি আসার কথা ছিল। এছাড়া, ৩০ জনের মতো আইনজীবী এসেছিলেন। আপনাদের প্রতিষ্ঠানের কোন কাগজপত্র আছে জানতে চাইলে বলেন, অবশ্যই আছে। তবে উইলিয়ামসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের (ম্যানচেস্টার) কোন কাগজপত্র নেই। এটা নতুন তো। উইলিয়ামসবার্গ ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়া যাবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই ভর্তি হওয়া যাবে। উইলিয়ামসবার্গ ইউনিভার্সিটির পরীক্ষা কিভাবে হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের অফিসেই পরীক্ষা হয়। ইংল্যান্ড থেকে তারা সরাসরি ক্যামেরা লাগাইছে। তারা সরাসরি দেখতাছে।’ রেজাল্ট কিভাবে হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিট আছে দেখেন। তিনি বলেন, ফল সেখান (ইংল্যান্ড) থেকে পাঠিয়ে দেবে স্যারের কাছে। স্যার সবাইকে ফলাফল জানিয়ে দেন। উইলিয়ামসবার্গ ইউনিভার্সিটির আপনাদের কোন কাগজপত্র আছে কিনা জানতে চাইলে বলেন, এখনও কোন কাগজপত্র নেই। প্রথম বর্ষে কোন ছাত্র ভর্তি হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবছর ১৩ জন ভর্তি হয়েছে। ক্লাসের জন্য কয়টা কক্ষ আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে দু’টি কক্ষ আছে। এখানেই ক্লাস হয়। বিস্তারিত যোগাযোগের জন্য অধ্যক্ষ ও প্রশাসনিক পরিচালকের ভিজিটিং কার্ড দিয়ে যোগাযোগ করতে বলা হয়। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় অফিসে যোগাযোগ করা হলে অধ্যক্ষ ড. খাজা ইকবালকে পাওয়া যায়নি। আটটার দিকে যোগাযোগ করতে বলা হয়। সাড়ে আটটার দিকে অফিসে গিয়ে কথা হয় প্রশাসনিক পরিচালক মো. জাকির হোসেন শিপনের সঙ্গে। তিনি প্রথমে পরিচয় ও ল’ পড়ার কারণ জানতে চান। এসময় তিনি বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলেন। উইলিয়ামসবার্গ ইউনিভার্সিটি সম্পর্কে এক পর্যায়ে বলেন, উইলিয়ামসবার্গ ইউনিভার্সিটিতে ১২টি সাবজেক্ট রয়েছে। এছাড়া, লন্ডন ও নর্দামবিয়া ইউনিভার্সিটির কথাও বলেন। তিনি বলেন, প্রতি বছর ৩টি করে সাবজেক্ট নিলে ৩ বছর লাগবে। সেক্ষেত্রে স্নাতক এন্ট্রি লাগবে। উইলিয়ামসবার্গ ইউনিভার্সিটি সম্পর্কে বলেন, উইলিয়ামসবার্গ সম্পর্কে আমি আপনাকে এখনই অফার করছি না। কেন করছেন না, নাকি স্থগিত করে দিয়েছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এক সপ্তাহ পর আবার অফার করবো। আপনাদের কি কোন কাগজপত্র আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, না উইলিয়ামসবার্গ সম্পর্কে কোন কাগজপত্র দিতে পারবো না। লন্ডন ও নর্দামবিয়া সম্পর্কে ওয়েবসাইটে জানা যাবে। উইলিয়ামসবার্গ সম্পর্কে ওয়েবসাইট বা নেটেও কিছু পাওয়া যাবে না।

যা বললেন খাজা ইকবাল: ছাত্র পরিচয়ে মঙ্গলবার রাতে কথা হয় খাজা ইকবালের সঙ্গে। তিনি প্রফেসর ডক্টর কে ইকবাল নামে নিজেকে পরিচয় দেন। কিভাবে তার অফিসের ঠিকানা জানলাম তা জানতে চান। একপর্যায়ে তিনি বলেন, আমাদের নিজস্ব খরচ ২০ হাজার টাকার মতো কমানো যাবে। আর তিন বছরে উইলিয়ামসবার্গ, লন্ডন ও নর্দামবিয়ার জন্য ৬ হাজার পাউন্ড লাগবে। আপনাদের সাইনবোর্ডে লেখা দেখলাম ইনটার্নাল প্রোগ্রাম লেখা। ইনটার্নাল বলতে কি বোঝায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডিসট্যান্স লারনিং বা এক্সটার্নাল না। আমরা তাদের অনুমোদিত পার্টনার। আপনারাই কি নিজেরাই খাতাপত্র দেখেন কিনা জানতে চাইলে পাশে বসে থাকা আরেকজন বলেন, উইলিয়ামসবার্গ ইউনিভার্সিটি আমাদেরকে পরীক্ষা নিতে অনুমতি দিয়েছে। এখানেই পরীক্ষা হয়। কতদিন ধরে এ প্রোগ্রাম চালু করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রায় ৫ বছর হবে। খাজা ইকবাল আরও বলেন, ইউনিভার্সিটির একটা অফ ক্যাম্পাস, অন ক্যাম্পাস ও এক্সটার্নাল ক্যাম্পাস আছে। আমরা তাদের নিজস্ব ফ্যাকাল্টি। উইলিয়ামসবার্গ ইউনিভার্সিটির কোর্স কি আপনারাই চালু করেছেন নাকি বাংলাদেশে আরও কেউ চালু করেছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, না অন্য কেউ চালু করেনি। শুধু আমরাই করেছি। আপনাদের কোন কাগজপত্র আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা অনুমোদিত পার্টনার। এখনও আমাদের কাগজপত্র নেই। সেপ্টেম্বর থেকে কাগজপত্র পাওয়া যাবে। ওয়েবসাইটে এ বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে কি কিছু জানা যাবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন- না, ওয়েবসাইটে কিছু জানা যাবে না। কাগজপত্র নেই অথচ পড়াচ্ছেন, সার্টিফিকেট দিচ্ছেন, সমাবর্তন করছেন কিভাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি এখনও ইউডিপি’র (ইউনিভার্সিটি ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম) আন্ডারে আছে। ৫ বছর ধরে কোর্স পড়াচ্ছেন অথচ প্রথম সমাবর্তন করলেন কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতি বছর তো সমাবর্তন হয় না।

যা বললেন বাসেত মজুমদার: সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট বাসেত মজুমদার বলেন, উইলিয়ামসবার্গ ইউনিভার্সিটির সমাবর্তন সম্পর্কে আমি একটি বক্তব্য দিয়েছি। একজন আমার কাছে বক্তব্য চাইলো তাই দিলাম। আসলে আমি ওই নামে কোন বিশ্ববিদ্যালয় আছে কিনা জানতাম না। আমি বিষয়টি নিয়ে বাছবিচার করিনি। তিনি বলেন, যদি ওই নামে কোন বিশ্ববিদ্যালয় না থেকে থাকে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রতারণা থেকে সাবধান হওয়ার পরামর্শ বৃটিশ কাউন্সিলের: বৃটিশ কাউন্সিলে যোগাযোগ করা হলে উচ্চ শিক্ষা দেখাশোনা করেন এমন কর্মকর্তারা বলেন, ইংল্যান্ডের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম করে অনেকেই প্রতারণা করছে। যাতে শিক্ষার্থীরা নিঃস্ব হচ্ছে। এক কর্মকর্তা এসময়www.ukba.homeoffice.gov.uk./employers/points/sponsoringmigrants/registerofsponsors/ লিংক দেন। তিনি বলেন, এই লিংকে বৃটেন সরকারের অনুমোদিত সরকারি ও বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানের নাম জানা যাবে। এতে প্রায় ৩ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
৪টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাঁর বোতলে আটকে আছে বিরোধী দল

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



সেই ২০০৯ সালে তিনি যে ক্ষমতার মসনদে বসলেন তারপর থেকে কেউ তাঁকে মসনদ থেকে ঠেলে ফেলতে পারেনি। যারা তাঁকে ঠেলে ফেলবে তাদের বড়টাকে তিনি বোতল বন্দ্বি করেছেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৪



কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?
আমার খুবই জরুরি তার ঠিকানাটা জানা,
আমি অনেক চেষ্টা করেও ওর ঠিকানা জোগাড় করতে পারছিনা।

আমি অনেক দিন যাবত ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি,
এই ধরুণ, বিশ-একুশ বছর।
আশ্চর্য্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা:কথায় কথায় বয়কট এর ডাক দেয়া পিনাকীদের আইডি/পেইজ/চ্যানেল বাংলাদেশে হাইড করা উচিত কি? ব্লগাররা কি ভাবছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:১৩



অপূর্ব একজন চমৎকার অভিনেতা। ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় মুখকে চেনেনা এমন কেউ নেই। সাধারণত অভিনেতা অভিনেত্রীদের রুজিরোজগার এর একটি মাধ্যম হইল বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়া। বাংলাদেশের কোন তারকা যদি বিদেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×