ঘটনা ১:
আমার এক কলিগের ঘটনা, তাঁর মেয়ে কে নিয়ে। মেয়ের বয়স ৬, সে কখনো চুইংগাম খায়নি আগে। তো তাকে চুইংগাম খেতে দেয়া হল প্রথমবারের মত, আর বলা হল, কোন অবস্থাতেই সেটা গিলে ফেলা যাবে না। সে সব শুনল আর বুঝল। তারপর চুইংগাম মুখে নিয়ে চিবিয়ে চিবিয়ে, একসময় হাসি হাসি মুখ করে খুব বড় কিছু করে ফেলেছে এমন ভাবে বলল, “আব্বু, আমি চুইংগামটা গিলে ফেলতে পেরেছি”। তারপর তাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে দৌড়াদৌড়ি করতে হয়েছে।
ঘটনা ২:
বাসের পেছনে অনেক সময় অনেক কথা লেখা থাকে, সবাই হয়ত দেখেছেন। এমন কি বাসে বডিতে যিনি রঙ করেন সেই পেইন্টার এর নামও লেখা থাকে সাথে তার ফোন নম্বরও থাকে। আর সেই পেইন্টারদের বানান দেখলে মাঝে মাঝে হাসব না কাঁদব বোঝা যায় না। এমনি এক বাসের নানা ভুল বানানে নীতিকথা লেখা আর লেখা পেইন্টারঃ রাব্বি ভাই, ফোন নম্বরঃ ০১৮১৯******। আমার এক কলিগ সাথে সাথে তার সেলফোন থেকে ওই নাম্বারে ফোন করলেন আর বললেন, রাব্বি ভাই, বানান লেখার আগে দয়া করে বাচ্চাদের বানান শিক্ষা ধরনের বই কিনে পড়ে নেবেন। তারপর যত ইচ্ছে পেইন্টিং করেন, আর নীতি কথা লেখেন।
ঘটনা ৩:
আমার আগের কোম্পানীতে বিভিন্ন ধরনের জেনারেটরের ফিল্টার বিক্রি করা হত। আমাদের এক কাস্টমার যিনি ছিলেন ফিল্টার ব্যাবসায়ী, মানে আমাদের কাছে ফিল্টার কিনে বাজারে বিক্রি করতেন। তিনি বললেন একদিন। তাঁর এক ভাগ্নে নাকি তাকে ফোনে করে বলেছে, “মামা, তোমার নাকি ফিল্টারের দোকান আছে, তাহলে আমাদের বাসাতে ২ টা ফিল্টার পাঠিয়ে দিও তো”। “তুই ফিল্টার দিয়ে কি করবি?”, মামার প্রশ্ন। “আর বোলনা মামা, আমাদের এখানে পানিতে যে আয়রন,কিছুই করা যায় না, তুমি কিন্তু ফিল্টার পাঠাতে ভুল না”