আয়েশ করে আড্ডা দিচ্ছিলাম। এর মধ্যে শুনলাম আরটিভিতে হন্সে আরা বেগম সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন। পুরোপুরি থ হয়ে গেলাম। এবং এক ছুটে টিভির সামনে।গিয়ে দেখি সত্যি ই উনি সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন। তার ভাষ্য এবং এই বিষয়ে আমাদের কিছু যুক্তি খণ্ডন করে আজকের পোস্ট তা দিলাম।
তিনি বল্রি্লেন পরিমল নিয়েগে কোন দু নাম্বারি ছিলোনা। সকল পরীক্ষার্থীর খাতা কোড করে দেখা হয়, তাই যোগ্যতম রাই এখানে আসে।
এবার আমরা বলছি- ভিকারুন নিসার যেকোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে লেখা থাকে 'মহিলা প্রার্থী অগ্রগণ্য'।
এর অর্থ হলো, যোগ্যতায় অবশ্যই মহিলারা আসবেন। যোগ্যতায় খুব আহামরি না হলেও নারিরা প্রাধান্য পাবেন। আর একেবারেই মহিলা পাওয়া না গেলে তখন পুরুষ শিক্ষক আসবেন। একটি সাধারন তথ্য দেই, ভিকারুন নিসার ধান্মন্ডি ব্রাঞ্চের প্রভাতি শাখায় আনুমানিক ৯০০ ছাত্রী পড়ে। এই অনুপাতে স্যার আছেন মাত্র ২ জন। এটি ভিকারুন নিসার সব চেয়ে পুরনো শাখা।আর সবচেয়ে নতুন শাখা হল বসুন্ধরা যেখানে ধরে নিচ্ছি এই অনুপাতের ছাত্রী ই আছেন সেখানে হসনে আরা মেডাম নিয়োগ দিয়েছিলেন ৬ জন পুরুষ শিক্ষক। যাদের সকলের বয়স ৩০ এর আসে পাশে।
এবার পরিমলের যোগ্যতার কথা বলি। যত টুকু জানি তার স্টাডি ব্রেক আছে। সে খুব আহামরি কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উঠে আসেনি। উত্তরা স্কুল থেকেও একি কারনে তার চাকরি যায়। এখন তাহলে বলেন তার যোগ্যতাটা খুব বেশি ছিলও কোন জায়গায়।
ইন্টারভিউ তে হুস্নে আরা বলেন তিনি তার প্রিন্সিপালের পদে থাকা অবস্থায় প্রায় ৯০ জন শিক্ষক কে নিয়োগ দেন। কিছু দিন আগে যখন স্কুলের প্রিঞ্চিপালের মেয়াদকালের বোর্ডটা দেখি, সেখানে দেখলাম তার নিয়োগ হয়েছে ১৩ জুন ২০১০।
অর্থাৎ এক বছরে ৯০ জনের নিয়োগ! একটা স্কুলে এতো জনের নিয়োগ মাত্র ১ বছরে কি একটু বেশি ই নয়?
তিনি আরও বলেন তার আসার পর রেজাল্ট ভালো হয়েছে।
আমরা বলি জী আপনি ঠিক ই বলেছেন। মানুষ জীবনে ভিকারুন নিসার নাম ও শুনে নাই। মানুষ আজিম্পুর স্কুলের নামে দিশে হারা হয়ে যেতো।( আমি আজিম্পুরের সেই স্কুলের কাউকে খাটো করছিনা, উনি যদি এতই ভালো হন, তবেঁ আজিম্পুরকে কেন আরও ভালো করতে পারলেন না সে জন্য এই কথাটা বললাম। প্লীজ কেউ কষ্ট পাবেন না। আমরা জানি আপ্নারাও অনেক ভালো)।
মেডাম আপনি আমাদের অনেক উন্নত করেছেন। এত্ত উন্নতি আমরা আর নিতে পারছিনা।আমাদেরকে এতো কিছু দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ। অনেক তো হোল, এবার তাইলে আপনি আসুন। আমরা আর উন্নতি চাই না। আপনার আর কষ্টের দরকার নেই।
পরিশেষে একটা কথা বলি, শুনেছি ২৭ তারিখ কোর্টে আপনার হাজিরা দেবার কথা ছিলো আপনি সে দিন কোর্টে না গিয়ে টীভি তে কেন সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন? আসামি নয়, আমাদের জন্য যখন আপনার এত্ত ভালবাসা, তবেঁ না হয় ভিকারুন নিসার হয়েই যেতেন।আপনার তো একটা মেয়ে আছেন,শুনেছি তিনি দেশের বাইরেই থাকেন। ভালই হয়েছে, দেশে থাকলে আল্লাহ মাফ করুন যদি আপনার মত মহান শিক্ষকের তত্তাবধানে থাকতে হতো তাইলে যে তার কি হতো কে জানে! আপনার মেয়েটার ভালো থাকুক।
পরিশেশেঃ হুন্সে আরার মেয়ে নিয়ে কেউ বাজে মন্তব্য করবেন না। আমদের এক বোনের ক্ষতি হয়েছে, আমরা কোন ভাবে আর কোন মেয়ের/ বোনের ক্ষতি চাই না। শারিরিক, মানসিক ভারচুয়ালি কোনোভাবেই নয়। নিজেদেরকে পরিমলদের মত নিচে নামাবেন না।