আমার সাথে আবিদের সখ্যতা কোনো বয়সের সীমানায় বাধা ছিলো না। আসলে ওর মধ্যে একটা গুণ ছিলো, যে কাউকে খুব সহজেই বন্ধু করে ফেলতো! ওর সেন্স অফ হিউমার অসাধারণ। ক্লোজআপ ওয়ানের কাজের সময় আমি, আবিদ, পুতুল, সুপন রায়, পার্থদা, নুমা আপা (ফাহমিদা নবী), কৌশিক দা, সামি ভাই ও ক্লোজআপ- এনটিভির অন্যান্য বন্ধুরা চুটিয়ে আড্ডা দিয়েছি। এতো প্রাণবন্ত ও অশেষ তারুণ্য ছিলো আবিদের যে ও হয়ে থাকতো আড্ডার শিরোমণি।
আবিদ খুব, খুবই অপ্রত্যাশিত ভাবে আমাদের ছেড়ে চলে গেলো! সামনে জীবন তো আরো পড়ে ছিলো ওর, স্বপ্নপূরণের পথে এখনো অনেক হাঁটা বাকী ছিলো! কিছুই হলো না! কি সান্তনা দিবো নিজেকে, কি সান্তনা পাবে ওর প্রাণপ্রিয় বাবা-মা-বোন-বন্ধুরা আমি জানিনা!
সেই গানটার কথা আবার মনে পড়ছে। পথে ঘাটে যেখানেই যেভাবে আবিদের সাথে দেখা হতো, দুষ্টমিভরা কন্ঠে আবদার করতো- আনন ভাই গানটা তো দিলেন না! গানটা তাহলে একটু গেয়ে শোনান!
সেই গানেরই শেষ চার লাইন আবিদকে উৎসর্গ করছি-
"একদিন কিছু থাকবেনা এই ভুল-বোঝাবুঝি,
চলে যেতে হবে আমাদের নিশ্চুপ-সোজাসুজি,
তোর হৃদয়ে আমি ছিলাম, আমার হৃদয়ে তুই!
এটাই সম্বল বেঁচে থাকার জানবে অন্তরযামী...
বুঝেও কেন না বোঝার ভান,
করে চলে যাস,
তুই ছাড়া খুব বিষন্ন আমার নীলাকাশ..."
গানটা তোকে দেয়া হয়নি আবিদ! হয়তো কোনো একদিন দিয়েও দিতাম, সেই সুযোগও থাকলো না বন্ধু! পারলে ভাইটিকে ক্ষমা করিস, ভালো থাকিস।