somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মুজিব রহমান
সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

বিক্রমপুরে কি হচ্ছে এসব

২৯ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ১২:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঢাকা মাওয়া রোডের হাসাড়াতে অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রী গণধর্ষণ হল। বন্ধু সাংবাদিকদেও সাথে কথা বললাম। ওরা ঘটনা জানে। ছাত্রীটি তার প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হয় রাতের বেলা। কিন্তু প্রেমিক আসার আগেই পড়ে কয়েক পাষণ্ডের হাতে। সাংবাদিক বন্ধুরা জানার পরেও পত্রিকায় নেই। স্থানীয় প্রভাবশালীরা বিচার করে মেয়েটির লুণ্ঠিত মালামাল ফেরত দেওয়ায়। এসব নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার; যা নিয়ে সে প্রেমিকের হাত ধরে বের হতে চেয়েছিল। বিচার করে প্রভাবশালী কয়েকজন। দৈনিক সমকাল গত পরশু লিখেছে সরকার দলীয় প্রভাবশালীরা অপরাধীদেও কাছ থেকে মোটা অংকের ঘুষ খেয়ে বিচার করেনি। থানাও মামলা নেয়নি বলে কয়েকজন অভিযোগ করলো। সাংবাদিক বন্ধু আরিফ জানালো সে মেয়েটির পরিবারকে বলে এসেছে থানায় মামলা না নিলে তাকে জানাতে। মেয়ের পরিবারটি সেই সাহস করেনি।
এর আগে কামারগাঁও আইডিয়াল স্কুলের দশম শ্রেণীর এক ছাত্রী দুই পাষণ্ডের দ্বারা ধর্ষিতা এবং খুন হয়। পত্রিকায় আসলো না। খুনিরা প্রভাবশালীও নয়। আমি নিজে প্রথম আলো, যুগান্তরসহ কয়েকটি পত্রিকার সাংবাদিকদের সাথে আলাপ করেছি। কিন্তু একজন ছাত্রী স্কুল ড্রেসপরিহিতা অবস্থায় ধর্ষিতা এবং খুন হয়ে গেল; বিষয়টির কি হল জানি না। দৈনিক সমকালে গতপরশু আরেকটি ধর্ষণের খবর পেলাম। এটি ভাগ্যকুল র‌্যাব-ক্যাম্পের কাছাকাছি। এই র‌্যাব-ক্যাম্পটি থাকা সত্তেও ভাগ্যকুলের মানুষ কোন রকম সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি হতে মুক্তি পায় নি। আমাকে একদিন আটকালো। অভিযোগ দুটি মোবাইল কেন ব্যাবহার করি?!!! ধমক খেলাম, তুই তুকারি শুনলাম। আমি বলি, একটি অফিসের একটি নিজস্ব। কি করস? বলি তাতে রক্ষা পাই। এই মেয়েটি বিবাহিতা। মাস দুই আগে বিয়ে হয়েছে। এখন স্বামীও তাকে ডিভোর্স দিবে শুনছি। মামলা হয়েছে, কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। স্থানীয় নেতারা বড়ই তৎপর বিচার করার জন্য।
কিন্তু এর পরের মেয়েটির বাড়ি মান্দ্রা। মেয়েটির বিয়ে হয় মাস দুয়েক আগে। অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নিলে বেরিয়ে আসে প্রেগন্যান্ট ৫ মাসের। স্বামী ডিভোর্স দিল। কি করে হল..
মেয়েটির বয়স যখন ৪ তখন তার বাবা মারা যায়, মা মানসিক অসুস্থ (পাগল)। ওর বড় দুই ভাই মেয়েটিকে তার বড় বোনের জিম্মায় রেখে বিদেশ যায়। ভগ্নিপতি ও বোনকে নিজেদের বাড়ি, জমি, গাভি দিয়ে যায়; যার বিনিময়ে বোনটি এবং মাকে দেখে রাখবে। মেয়েটির সমবয়সী আরেকটি মেয়ে ছিল ভগ্নিপতির সেই হিসাবে ভগ্নিপতিকেই বাবা বলতো। এই ভগ্নিপতির হাতে জিম্মি হয়ে ধর্ষিতা হয় মেয়েটি। শোনা যায় তার আপন মেয়েকেও ধর্ষণ করেছিল এই পাষণ্ড। এর মধ্যে দুই শ্যালকের পাঠানো বহু টাকা আত্মস্মাৎও করেছে। পত্রিকায় কোন নিউজ হয় নি। সবচেয়ে অবাক স্থানীয় প্রভাবশালী সরকার দলীয় নেতারা পক্ষ নিল ঐ ধর্ষকের। কিন্তু বিচারে গণবিস্ফোরণ ঘটলে নেতারা পুরো সুবিধা নিতে পারেনি। এই প্রতিটি ক্ষেত্রেই হয়েছে অর্থের লেনদেন।
আজ সকালে এক মেয়ে ফোন করলো। তার নির্যাতিত হওয়ার ঘটনা বলতে চাইলো। কিছু সহযোগিতা চাইলো। আমি আমার সীমাবদ্ধতার কথা বললাম। সব ঘটনাতেই প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ। কোনটিই কোন নারীর পক্ষে যায় না। নির্যাতিত হয় গরীব মানুষের মেয়েরা আর নির্যাতন করে প্রভাবশালীদের সন্তানেরা। কোথায় বিচার পাবে নির্যাতিতা নারীরা? থানায়.. মামলাই নিবে না। কোর্টে.. .. সাক্ষীই পাবে না.. থানার রিপোর্ট পক্ষে যাবে না। শালিশ.. করবেতো ধর্ষকদের আত্মীয় স্বজনরাই.. না হলে টাকা দিয়ে ধর্ষকদের পক্ষে বিচার নিয়ে যাবে। আমরা আস্তে আস্তে সভ্য হয়ে উঠছি...
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জুমার নামাজে এক অভূতপূর্ব ঘটনা

লিখেছেন সাব্বির আহমেদ সাকিল, ১০ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০



মসজিদের ভেতর জায়গা সংকুলান না হওয়ায় বাহিরে বিছিয়ে দেয়া চটে বসে আছি । রোদের প্রখরতা বেশ কড়া । গা ঘেমে ভিজে ওঠার অবস্থা । মুয়াজ্জিন ইকামাত দিলেন, নামাজ শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। হরিন কিনবেন ??

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৯



শখ করে বন্য প্রাণী পুষতে পছন্দ করেন অনেকেই। সেসকল পশু-পাখি প্রেমী সৌখিন মানুষদের শখ পূরণে বিশেষ আরো এক নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এবার মাত্র ৫০ হাজার টাকাতেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঠিক কোন বিষয়টা মৌলবাদী পুরুষরা শান্তি মত মানতে পারে???"

লিখেছেন লেখার খাতা, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২৭


ছবি - গুগল।


ফেসবুক আর ইনস্টাগ্রাম এখন আর শুধু সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম নয়, রোজগার এর একটি চমৎকার প্ল্যাটফর্মও। একটু স্মার্ট এবং ব্রেন থাকলে ফেসবুক/ইনস্টাগ্রাম থেকে রোজগার করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধখানা ভ্রমন গল্প!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৩৯


২০০২ সাল বান্দারবানের রিগ্রিখ্যাং-এর এই রিসোর্ট আজ সকালেই আমরা আবিস্কার করলাম! পাহাড়ের এত উপরে এই মোড়টাতে একেবারে প্রকৃতির মাঝে এমন একটা রিসোর্ট থাকতে পারে তা আমরা সপ্নেও কল্পনা করিনি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৫

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না
অহনা বলেছিল, আমি জানি আমি তোমাকে পেয়েছি সবখানি
আমি তাই নিশ্চিন্তে হারিয়ে যাই যখন যেখানে খুশি

অহনা বলেছিল, যতটা উদাসীন আমাকে দেখো, তার চেয়ে
বহুগুণ উদাসীন আমি
তোমাকে পাওয়ার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

×