নির্বাচনের এক মাসের মাথায় শপথ নিলেন রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের চার মেয়র ও কাউন্সিলরা।
Published : 21 Jul 2013, 11:06 AM
রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তাদের এই শপথ অনুষ্ঠান হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার মেয়র এবং স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম কাউন্সিলরদের শপথ পড়ান।
গত ১৫ জুন এই চার সিটি কর্পোরেশনে ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত প্রার্থীদের বড় ব্যবধানে পরাজিত করেন বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থীরা। সিলেটে বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী, বরিশালে আহসান হাবিব কামাল, রাজশাহীতে মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও খুলনায় মনিরুজ্জামান মনি মেয়র নির্বাচিত হন।
আর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১১৬ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে মোট ৩৮ জনের নামের তালিকা গত ২৬ জুন প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। আইন অনুযায়ী, ২৩ জুলাইয়ের মধ্যে তাদের শপথ নেয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল।
রোববার সকালের অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফ প্রথমে নতুন কাউন্সিলরদের শপথ পড়ান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকও এ সময় মঞ্চে ছিলেন।
এরপর প্রধানমন্ত্রী নতুন চার মেয়রকে মঞ্চে ডেকে নেন এবং তাদের শপথ পড়ান। শপথের দলিলে সই করে তা চার মেয়রের হাতে তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
মেয়র ও কাউন্সিলরদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “দলের প্রতি আপনাদের আনুগত্য থাকবে ঠিকই। তবে আপনারা শপথ নিয়েছেন, জনগণের দায়িত্ব পালন করতে হবে।”
গত সাড়ে চার বছরে চার সিটি কর্পোরেশনে যে উন্নতি হয়েছে, এর আগে কখনো তেমনটি হয়নি বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী।
এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য নির্বাচিত নতুন জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
দলীয় সরকারের অধীনেও যে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব- চার সিটিতে সরকার তা প্রমাণ করতে পেরেছে বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
শপথ নেয়ার পর চার মেয়র মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
পরে প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক শহরের মেয়র কাউন্সিলরদের সঙ্গে আলাদাভাবে ছবি তোলেন। চার শহরের নারী কাউন্সিলরদের সঙ্গেও আলাদাভাবে ছবি তোলেন তিনি।
শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান।
অন্যদের মধ্যে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া এবং শেখ হাসিনার তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সহায়তার চেক হস্তান্তর
জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাইদীর ফাঁসির রায়ের পর চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনা মসজিদ এলাকায় জামায়াতি তাণ্ডবে নিহত পর্যটন কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী ও আইডিইবির সদস্য মো. তৌহিদুল ইসলামের পরিবারের সদস্য এবং আইডিইবির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক শপথ অনুষ্ঠন শেষে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী তৌহিদুলের পরিবারের সদস্যদের হাতে ২০ লাখ টাকর সঞ্চয়পত্র তুলে দেন।
এরপর রানা প্লাজায় উদ্ধারকাজের সময় নিহত উদ্ধারকর্মী ইজাজ উদ্দিন চৌধুরী কায়কোবাদের পরিবারের সদস্যদের হাতে ১২ লাখ টাকর সঞ্চয়পত্র তুলে দেন সরকার প্রধান।
একই সঙ্গে আটকে পড়া পাকিস্তানি নেতা মো. এম নাসিম খানের ছেলে মো. হারুন অর রশিদের চিকিৎসার জন্যও প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে সহায়তার চেক দেয়া হয়।
বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের একটি প্রতিনিধিদলও শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করে।