somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অবশিষ্ট কিছু বাদাম

২৬ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৯:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সন্ধ্যা প্রায় হয়ে এলো। ঘরে ফেরার সময় হলে, এক অপরকে ঘরে দ্রুত ফেরার কথা মনে করিয়ে দেয়ার কথা ছিলো, সে তো বহুদিন আগের কথা, তার মনে হলো। বহুদিন পর একসাথে এই পার্কে এসে বসা। এখানেই তারা আসতো, প্রায় প্রতিদিনই। এখন একজন আসে। অন্যজন আসে না। তবু বন্ধুদের ডাক উপেক্ষা করার সামর্থ্য ছিলনা বলে সে এলো, বন্ধুদের প্রোগ্রাম বহুদিন পর আর ইচ্ছে হলো না এড়িয়ে যেতে এবং স্বাভাবিকভাবেই তার পাশে এসে দাঁড়াতে হলো, যে পার্কে আজও আসে। কেমন আছো এ বাক্যটি যে কী বেমানান ও কঠিন এটা জানা হলো তার, মেয়েটির। জানলো ছেলেটাও। তারা কেউ জয়ী হয়নি আর জিতে যাওয়ার অভিনয় করার যে প্রচল ধরন, তাও তাদের ভেতর ঠিকঠাক জাগলো না। বরং সবার সাথে কথাবার্তা শেষে একবার নিজেদের দিকে ফিরে তাকানোর একটা আবেগ তাদের তাড়া করলো। প্রত্যেকেরই নিজের বিরুদ্ধে একটা ঝড়, মনে হলো, বাইরের নয়, ভেতরের। ফলে দ্রোহের অহংকার থেকে বঞ্চিত হলো এ ঝড়।

‌'একটু ঘাসে গিয়ে বসি।'
' চলো।'

আবছা আধারে গাছের দীর্ঘ ছায়াগুলো যেনো চুল এলামেলো করে, হাতপা মেলে শুয়ে আছে ঘাসের ওপর আর আকাশের দিকে তাকিয়ে রয়েছে।একটু পর পুরো অন্ধকার হয়ে আসবে। এলো চুলগুলোই যেনো পুরো পৃথবী ঢেকে ফেলবে। তারা ঘাসের ওপর এসে বসে। বসে থাকে রা-হীন।
প্রগল্ভতা একদিন ছেলেটির কী ভীষণ প্রিয় ছিল, কী ভীষণ অভ্যাস ছিলো! মেয়েটি বিরক্ত হতো কমই আর তা ভালও বাসতো ভীষণ। এর ভেতর ভালবাসার উন্মাদনা, আদরকারা ও প্রশয়ের পাগলামি সে টের পেতো, আর মৃদু হাসি ধরে রাখতো মুখে। আজ সে হাসছে না। হাসা, অবলীলায়, কী কঠিন হয়ে পড়েছে। একদিন কী অদ্ভুত ব্যকুলতা নিয়ে এই সব আবোলতাবোল শুনতে ইচ্ছে করতো মেয়েটির। কী ভাল লাগতো তার অনুরোধ অনেক্ষণ ধরে উপেক্ষা করে করে তুঙ্গ উন্মাদনায় ছেলেটিকে ঠেলে দেয়া। আর ছলে বলে নাক টিপে দেয়া, চুলে হাত বোলানো, আঙুলের ভেতর আঙুলের সাঁতরে চলা, কানে টোকা দেয়া, ঘাড়ের চারদিকে হাতের বৃত্ত কিভাবে বানাতে হয় জানো বলে বৃত্ত বানানো_এসব ছেলেটি কী উন্মাদনায় করে চলতো আর তার কী অদ্ভুত ভাল লাগতো। এখন কেমন নীরব।
একটা ঝড় ভেতরে বইছে, নিজের বিরুদ্ধে ঝড়। কিন্তু গাছপালা ভাঙার কোন শব্দ পাওয়া যাচ্ছে না। কেউ শুনছে না কারো ভেতরের উন্মূলতার ব্যাকুলতা, কেবল নিজেকেই শুনে চলতে হচ্ছে আর নিজেরই পাড় ভাঙার শব্দ নিজের ভেতর প্রতিধ্বনি তুলছে। আসলে কী পাড় ভাঙছে?
কথা বলা চাই। কিন্তু কী কথা? কী নিয়ে! এসব বলেই বা কী লাভ। এসব কথা কবেই তো বলা হয়ে গেছে। ক্ষয়ে ফুরিয়ে ফেলেছে, দুজনেই, গত অনেক বছরে। কথারা কোন প্রতিশ্রুতিই বহন করে না। শব্দ ঠিক পালকের মতো বাতাস লেগে গড়াগড়ি খায়। পাখিহীন পালকের মতো শব্দগুলো আজ করুণ, কখনই বাতাসে ভেসে থাকতে পারে না, তারা আজ দুজনেই জানে।
ছেলেটি ভাবলো: আমার শিশুটির মুখ আমি না দেখে কী করে থাকি? কে বিশ্বাস করবে আমি কষ্ট পাই না তোমার জন্য, শিশুটির জন্য, তাহলে এসবই কি মূল্যহীন। আর তোমার মা বাবা ভাই বোন- বিশ্বাসই করলো না, কী পরিমাণ ভালবাসি তোমাকে। তুমিও না। এটা কী করলো সে: মানুষের কত ঘটনাইতো ঘটে, বাসায় কেউ ছিলো না। সে আমি টিভি দেখছি_ সিনেমায় এলো অনুরাগের ঘনিষ্টতার এক দৃশ্য। আমরা কেউ তো এ দৃশ্যের অপেক্ষায় ছিলাম না। ক্ষমা চাইলাম, তার কাছে, বললাম কোনভাবেই তোমাকে না বলতে, এটা একটা ভুল - না বলতে বললাম কতবার। এমন বিভ্রান্তি কী মানুষের ঘটে না? মুহূর্তের আবিষ্টতা মাত্র। সে এমনভাবে আমার দিকে তাকালো, মনে হলো সে আমাকে চাইছে, ভীষণভাবে, সাড়া দিতেই দেখি, না, ভুল হয় গেছে। ঢাকায় তার থাকার বিকল্প জায়গা নেই। তাই কি ভয় পেলো খুব। আমাকে? বা তা-ই কি তার আবেশ লুকিয়ে ফেললো?সে আমাদের সাথে ছিলোতো বহুদিন। বহুদিন থেকেও কি বুঝেনি, এটা একটা দুর্ঘটনা? আকস্মিক ঘটনাকে এতো বড়ো করে দেখে কেন-যে সারজীবনের শান্তি নষ্ট করে ফেলি আমরা। শান্তি পেয়েছো_ যদি বিশ্বাস করতে পারতাম আমি। ভেবেছো, তোমার রূপ ফুরিয়ে গেছে, আমার কাছে, আমার চরিত্র তাই বেঁকেচুরে গেছে। একটা মুহূর্তের, একটা পলকের কাছে দীর্ঘ বছরগুলোর অনুরাগ এতো ঠুনকো হয়ে গেলো_ ঠেকে শিখে কী লাভ? কিংবা শিশুর মতো হাত পুড়িয়ে আগুনের অভিজ্ঞতা হলে কী হয়? হাত কি ফিরিয়ে দেবে এই অভিজ্ঞতা কোনদিন? না-ঠেকে কজনের শিক্ষা হয়? শিশুটা এলো হাসপাতালের বিছানায়, ঘরে ফিরতেই তোমাকে সে বলে দিলো। আর আমরা কীভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলাম, তুমি আর এলে না, হাসপাতাল থেকে নিজের বাসায় আসার কথা, কিন্তু তুমি বাবার বাড়ি থেকে আর এলে না। একজন কোন এক মুহূর্তে ভুল করলে কি আমরা সকলেই একসাথে ভুল করতে শুরু করি! না-ঘুমিয়ে অফিস সেরে, ক্লান্তির কাছে হার না-মেনে, কয়েকদিনের ঘুমহীন অফিস, আরো ভুল করিয়ে দিলো, বসের কাছে আমার আকস্মিক অদক্ষতার কারণ ধরা পড়লো না, বিস্মিত হলো বারবার।একদিন এসে সমস্ত আসবাবপত্র নিয়ে গেলো তোমার অভিভাবাকরা। আমি বাসায় রইলাম না। তোমার মাবাবার পায়ে ধঁরে কেঁদে এসেছি_ দুশো মাইল ছুটে গিয়ে_ তাকে ফিরয়ে দিন বলে। । কাজ হলো না। এটাও কি ভুল যে, তোমার দশমাসে আমি দিন দিন কিছুটা ক্রেইজি হয়ে পড়েছিলাম, অভ্যাসের মাঝে দীর্ঘ ছেদ পড়েছে বলে। তো এটাও হয়তো আমাকে বিভ্রান্ত হতে সহযোগী হয়ে ওঠেছে। তোমাকে কত বললাম, বিশ্বস করো, বিশ্বেস করো। কিন্তু তুমি কী করলে, আরো অনেক মেয়ের সাথে আমার সম্পর্ক একে একে আবিস্কার করলে, আর নিজেকে বিভ্রান্তির তলে তলিয়ে দিলে। আমি কোনভাবেই প্রমাণ করতে পারলাম না_ এরা আসলে প্রত্যাখ্যাতের দল। তাদের আত্মপ্রবঞ্চনা এসে পোড়ালো আরো আমাদেরকে। একবারও ভাবলে না, যে বহুবছর ঘুরে তোমার সাথে বহুবছর সংসার করে, আমার আসলে তোমার প্রতি কী নিগূঢ় টান, সব কিভাবে একটা মুহুর্তের হাতে মিথ্যে হয় যায়। আমার অনুরাগ এককণাও আর দেখতে পেলে না, হায়। ছেলেটা বড়ো হোক, সে যার কাছে থাকতে চায় থাকবে: আমার কোন জোর নেই। কিন্তু শিশুটার যে সামাজিক পরিচয়: আমার সম্পর্কহীনতা তাকে একদিন হয়তো বিষাদ আচ্ছন্ন করে ফেলবে বাবার প্রতি রাগক্ষোভঘৃণা নিয়ে সুস্থ থাকতে পারবে তো? ভবিষ্যত আমি অনুমান করতে আজও কি ভয় পাচ্ছি। সব নষ্ট হলো ঠিক রাত নয়টা দশমিনিটে_সব।
ছেলেটা ভাবছে, আমাদের অনেক ভুল হয়ে গেছে।
কিন্তু আমাদের? আমাদের কেনো? আমার হতে পারে বড়জোড়।
তার ভূমিকাটুকু যদি তার অহং আর স্বীকার না করে? তাহলে আবার শব্দগুলো সেতুর বদলে সেতু ভাঙার দিকে যাবে, ডিনামাইটের মতো। আজও কি যাবে। আর সেতু? তা নেই! তাহলে ভাঙার প্রশ্ন আসছে কেনো? ছেলেটা ভাবছে নিজের ভেতর।
তারা পাশাপাশি বসে রয়েছে চুপচাপ, দুদিকে তাকিয়ে। ঘাসের দিকে হাত বাড়াবে কিনা মেয়েটি ভাবছে। ঘাসের ডগা ছিড়ে দাঁতে কামড়ে ধরতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু তা আর আগের মতো হওয়ার জো কই? এটা কি ভান হয়ে যাবে না? আমরা এমন যে কোন অভিজ্ঞতা আমাদের একবারেই ক্ষমা করে না। কিংবা এ ভান হবে না? এর অর্থ এখন একেবারে ভিন্ন কিছু হবে। কিংবা তার কাছে এর অর্থ হবে দুশ্চিন্তা, আর তার সাথে কথা না বলারই ইচ্ছাকেই তা বরং ফুটিয়ে তুলবে। কিন্তু তুললেই বা কি? মেয়েটির ইচ্ছে হলো বলতে বাবা মা তার সাথে এখন রয়েছে, তাদের কোন আয়ের পথ খোলা নেই, যাবে কই। আর তাদের শিশুটা কথা বলতে শিখে যাচ্ছে। তার দাদাদাদুর কাছে একবার নিয়ে যাবো ভাবি, আমার তো কোন অধিকার নেই তাকে তার দাদা দাদুর আদর থেকে বঞ্চিত করার, কিন্তু কী করবো। আর আমি একটা মাকড়শার হয়ে গেছি, দশদিক থেকে দশটা রশি আমাকে টেনে চিরেচেপ্টে করে ফেলেছে- আমি আর সাহস পাই না। আবার আবার আবার... না হ্। এ এক অসম্ভব দুঃস্বপ্ন। শিশু, মা, বাবা, আমি নিজে, আর তুমি, বোন। কেউই আমার কথা শুনতে পাও নি, না আমার কান্না, না আমার সীমাবদ্ধতা। কিন্তু তারা পাশাপাশি বসে রইলো নীরব।

‌'আমাদের ভুল হয়ে গেছে অনেক।'
'হ্যাঁ। অনেক।'

তারা নীরবে বসে থাকে। দেখে অনেক দূরে একটা ছেলে একটা মেয়ে নিজেদের হাত জড়িয়ে ধরে। গান গাইছে। চুমো খেলো হঠাত। এক পলক। মেয়েটার মিস্টি হাসিটা, কী অদ্ভুত। বলতে চাইলো ছেলেটা। কিন্তু বলতে যাবে যে, সেটা কেমন শোনাবে, তার কাছে? ভাবতেই তার মনে ভেসে উঠলো,ঘাসের মাঠ, যখন রোদে খরায় ধূলো হয়ে যায়। সেই কি শেষ? আবার মেঘ আসে। বৃষ্টি নামে। এবং ঘাসে সবুজে মাঠ ফের ছেয়ে যায়। কিন্তু আমার অভিজ্ঞতার ভেতর কোন জল নেই। মেঘ বা বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। থাকতো যদি, তাহলে, তাকে হয়তো বলতাম : এই মাঠ বহুবার ধুলোয় ছেয়ে যাওয়ার পরও ঘাসে ভরে ওঠেছে। কিন্তু এ কথার মানে কি? পেছনে ফেরা। না হ্, হয়তো পেছনে ফেরা নয়। সামনেই এগোনো। নতুন করে শুরু করা। এমন তো অনেক হয়েছে। কিন্তু কেন এটাই শেষবার হয়ে গেলো? ফেরা আর কেন গেল না। কাছাকাছি আবার কেন হওয়া গেলো না? কিন্তু সামনে এগোনোর মানে কি? তাকে সাথে নিয়ে? নাকি না-নিয়েই! এর মধ্যে কতটা এগিয়ে গেছি_ এগিয়ে মানে কি অগ্রসরতা? মন যেখানে বিষাদই পেলো- সেখানে অগ্রসরতার কী অর্থ?
এসব ভাবতে ভাবতে বসে রইলো দুজন। অন্ধকার এসে ছায়াগুলোকে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো। গাছগুলোকেও নিজের উদরে লুকিয়ে ফেললো। তার বসে রইলো, রা-হীন।
'বাদাম বাদাম' হাঁক ছেড়ে ছেলেটা সামনে দিয়ে গেলো। তারা কেউ ডাকবে কি ডাকবে না ভাবলো। নীরবই থেকে গেলো। ফের বাদামওলা এলো এদিকে। ছেলেটি বললো। বাদাম দাওতো। বাদামঅলা বসলো। বাদাম মাপলো। এগিয়ে দিলো। ছেলেটির ইচ্ছে করলো বলতে তুমি সবসময় বাদাম খুবই পছন্দ করতে, আমি অফিস থেকে ফেরার পথে তোমার জন্য বাদাম কিনতে কখনোই ভুল করতাম না। বলতে পারলো না সে। বাদামঅলার ঝুড়িতে কুপিটা বাতাসের মৃদু দমকায় কেমন বেঁকে চুড়ে গেল। আর নিভে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেয়ে শিখাটা আবার সোজা হয় দাঁড়ালো। কিন্তু এমন একটা দৃশ্যের দিকে কি সে তাকিয়েছিলো। মেয়েটি মৃদু কি হাসলো। তারা তো কেউ কারো দিকে সোজাসুজি তাকাচ্ছিলো না, ফলে ছেলেটা তা ঠিক বুঝতে পারলো না। ছেলেটা ভাবলো বলবে: নাও বাদাম খাও। কিন্তু বলতে পারলো না। শুধু ঠোঙাটা দুজানের মাঝখানে রাখলো। কেউই বাদাম তুলে নিলো না প্যাকেট থেকে। বাদামের খোসা ভাঙলে যেনো তাদেরই হৃদয়ের মতো বিচিগুলো একে অপরের কাছে প্রকাশিত হয়ে পড়বে।

'শিখাটা।'
'বাতাসের ধাক্কা নয় শুধু। যদি তেল ফুরাতো বাতাস ছাড়াই নিভে যেতো।'
'হাঁ। তা ঠিক। তা-ই হয়।'

তারপর আবার নীরব হয়ে পড়লো তারা। তারা যে কয়েকটা শব্দ ব্যবহার করেছে , তা শুধু নীরবতাকেই ছড়িয়ে দিতে যেনো চারদিকে। নীরবতাকেই আরো ঘন করে করে তুললো, আর নীরবতার দেয়াল ডিঙানোকেই আরো অসম্ভব করে তুললো। দূরে দূরে তারা তাকালো। একজন ডানে তাকালো। আবার অন্য জন বামে কোথাও।
ছেলেটা ভাবলো, 'বাতাস, না তেল, নাকি বাতাস-তেল দুটোই কি আমাদের শিখাটা নিভিয়ে দিলো, নাকি দুর্ঘটনা, কোথায় আমাদের স্বভাবের অনুমোদন?'
মেয়েটা ভাবলো, ‌কী বলা যায়, ওঠা দরকার। উঠি, বলবো? এর মানে তো বিদায় নেয়া। কার কাছ থেকে বিদায় নেয়া? ফের দেখা করতে তো আসছি না! আজ উঠি, বলবো? তা হলে, মনে হয় পরদিন আবার আসছি!' কিছুই বললো না সে, উঠে পড়লো, সরাসরি। বলতে পারলো না,যাই, কাজ আছে। কেননা, কেন, কার কাছেই বা কারণ দর্শানো? ছেলেটাও বলতে পারছে না, আরেকটু বসো না। ছেলেটা বলতে পারছে না- চলো, এগিয়ে দিয়ে আসি। শুধু নীরবে দুজন উঠে হাঁটলো সামনের দিকে কিছুটা।
মেয়েটা বন্ধুদের কাছ থেকে বিদায় নিলো ফের, এবং চলে গেলো, তাকে কিছু না বলেই। আর ছেলেটা বন্ধুদের সাথেই রয়ে গেলো।
ছেলেটা দূর থেকে এক পলক তাকালো পেছন ফিরে, যেখানে তারা বসে ছিলো সেখানে। আলো-অন্ধকারে সে আবছা দেখতে পেলো_ বাদামের ঠোঙাটা ঘাসে অব্যবহৃত পড়ে আছে।
১৮.০৩.২০১১
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×