somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশ্বজুড়ে প্রতারণা' শীর্ষক খবর প্রকাশের পর উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান নিউ ৭ ওয়ান্ডার্স ফাউন্ডেশনের এদেশীয় বাণিজ্যিক অংশীদার জিজিবিকে তলব করেছে সরকার।

২৫ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৫:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিশ্বজুড়ে প্রতারণা' শীর্ষক খবর প্রকাশের পর উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান নিউ ৭ ওয়ান্ডার্স ফাউন্ডেশনের এদেশীয় বাণিজ্যিক অংশীদার জিজিবিকে তলব করেছে সরকার। প্রকাশিত রিপোর্টের ব্যাখ্যা দেওয়ার পাশাপাশি ফাউন্ডেশন স্বীকার করে নিয়েছে জাতিসংঘের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা আরও দাবি করেছে, এটা আমেরিকান আইডল ও ইন্ডিয়ান আইডল প্রতিযোগিতার মতো একটি প্রতিযোগিতা


বিস্তারিত:

'বিশ্বজুড়ে প্রতারণা' শীর্ষক খবর প্রকাশের পর উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান নিউ ৭ ওয়ান্ডার্স ফাউন্ডেশনের এদেশীয় বাণিজ্যিক অংশীদার জিজিবিকে তলব করেছে সরকার। প্রকাশিত রিপোর্টের ব্যাখ্যা দেওয়ার পাশাপাশি ফাউন্ডেশন স্বীকার করে নিয়েছে জাতিসংঘের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা আরও দাবি করেছে, এটা আমেরিকান আইডল ও ইন্ডিয়ান আইডল প্রতিযোগিতার মতো একটি প্রতিযোগিতা। কিন্তু অভিজ্ঞ মহলের প্রশ্ন, আইডল প্রতিযোগিতাগুলো একটি বাণিজ্যিক উদ্যোগ। তাহলে সপ্তাশ্চর্য প্রতিযোগিতাও বাণিজ্যিক; যা কিনা দেশীয় বাণিজ্যিক অংশীদার জিজিবিও কবুল করে নিল।

২০০৭ সাল থেকে বিশ্বের সাতটি সেরা প্রাকৃতিক স্থান নির্বাচন করতে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক সংগঠন নিউ ৭ ওয়ান্ডার্স ফাউন্ডেশন। চার বছর ধরে ইন্টারনেটে ভোটাভুটির পর ২০১১ সালের ২১ জুনে তারা বাংলাদেশে শুরু করে এসএমএসএ ভোটাভুটি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এমন একটি বিষয়ে যত খুশি তত ভোট দিয়ে নির্বাচনের প্রক্রিয়াটি আন্তর্জাতিক মহল স্বীকৃতি দেবে কিনা। তাই অনেকের মনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে সপ্তাশ্চর্য নির্বাচন নয় মূলত বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার কোটি ডলার হাতিয়ে নেওয়ার এটি একটি আন্তর্জাতিক প্রতারণা। কারণ সুন্দরবনকে দেওয়া প্রতি এসএমএসএ ৬৮ পয়সা দেওয়া হচ্ছে সেই ওয়ান্ডার্স ফাউন্ডেশনকে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশের বাণিজ্যিক অংশীদার জিজিবির কাছে ব্যাখ্যা চায় সরকার। জবাবে ১২ পয়েন্টের একটি চিঠিতে ফাউন্ডেশন একটি ব্যাখ্যা দেয়। এতে দাবি করা হয়, আমেরিকান আইডল, ইন্ডিয়ান আইডল এবং বাংলাদেশের ক্লোজ-আপ ওয়ানের মতো রিয়্যালিটি শো'র আদলে এসএমএস ভোটে প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য নির্বাচনের এই উদ্যোগ তাদের।

পৃথিবীর প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য নির্বাচনে বিনোদনমূলক প্রতিযোগিতার প্রক্রিয়া অনুসরণ করা যৌক্তিক কিনা এমন প্রশ্ন এনটিভির পক্ষ থেকে করা হয় দৈনিক মানব জমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধূরীর কাছে। উত্তরে তিনি জানান, যেহেতু বিশ্বব্যাপী তাদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে, তখন তারা জাস্টিফাই করার জন্য ইন্ডিয়ান আইডল, আমেরিকান আইডল প্রতিযোগিতার সঙ্গে এই প্রতিযোগিতার তুলনা করে দেখাতে চেয়েছে দুটিই একই পাল্লায় মাপা যায়। আমি মনে করি, এটা কোন অবস্থাতেই একই সঙ্গে গ্রহনযোগ্য নয়। কারণ, বাংলাদেশের ইমেজ এখানে জড়িত, হোল ন্যাশন এখানে জড়িত।

ফাউন্ডেশন এবারের চিঠিতে স্বীকার করে নিয়েছে তাদের সঙ্গে জাতিসংঘ বা ইউনেস্কোর প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চার্য নির্বাচন প্রক্রিয়ার কোন সম্পর্ক নেই। ফাউন্ডেশন ২০০৭ সালে মনুষ্যসৃষ্ট যে সপ্তাশ্চর্য নির্বাচন করেছিল জাতিসংঘের ইউনেস্কো ২০০৭ সালেই জানিয়ে দেয় বিশ্বে কোন ঐতিহ্য নির্বাচনের অধিকার কেবল তাদেরই আছে। মতিউর রহমান আরো বলেন, এটা গ্রহণযোগ্য হওয়ার কোন কারণ নেই। কারণ তারা বলছে ইউনেস্কোর সঙ্গে তাদের বর্তমানে কোন সম্পর্ক নেই, আগে ছিল। তাই বিষয়টি এখানেই স্টপ (বন্ধ) করা উচিত। সরকার যত দ্রুত এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে ততই দেশবাসীর জন্য মঙ্গল।

এর আগে দেশের বরেণ্য টিভি ব্যক্তিত্ব আব্দুন নূর তুষারও বলেছিলেন, বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠেছে। আমি নিজেও এ ব্যাপারে ভোট করতে প্রচার চালিয়েছিলাম। এখন বুঝতে পারছি সেটা ভুল ছিল।


সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন ।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×