ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের দুই সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় সাংসদ গোলাম মাওলা রনি এবং ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমানের পাল্টাপাল্টি মামলার ক্ষেত্রে আইন নিজের গতিতেই চলবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর।
Published : 21 Jul 2013, 05:06 PM
রোববার সচিবালয়ে এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
পাল্টাপাল্টি মামলায় দুই পক্ষের কাউকে গ্রেপ্তার করা হবে কিনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমি অভিযোগকারীও নই, বিচারকও নই, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।”
শনিবার দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডের মেহেরবা প্লাজায় রনির অফিসে সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে বেদম মারধরের শিকার হন ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক ইমতিয়াজ মমিন সনি ও ক্যামেরাম্যান মহসিন মুকুল।
এ সময় সাংসদের নেতৃত্বে তাদের ক্যামেরা ও বুম ভাংচুর করে ক্যামেরার মেমোরি কার্ড খুলে রাখা হয়।
তাৎক্ষণিক সাংবাদিক নেতারা মেহেরবা প্লাজায় গেলে তাদের উপস্থিতিতে গোলাম মাওলা রনি আহত সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চান।
পরে রনি দাবি করেন, শেয়ারবাজার নিয়ে কথা বলার কারণে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের অন্যতম মালিক সালমান এফ রহমানের নির্দেশে তার পিছনে সাংবাদিকদের লেলিয়ে দেয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় শনিবার বিকেলে শাহবাগ থানায় রনিসহ ২০/২৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সহকারী ব্যবস্থাপক ইউনুছ আলী। রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করে এ মামলায় জামিন নেন রনি।
চাঁদা দাবি এবং তা না পেয়ে হত্যাচেষ্টা এবং অপহরণের অভিযোগ তুলে তিনি নিজেও সালমান এফ রমানের বিরুদ্ধে একটি পাল্টা মামলা করেন।
“কোনো পক্ষ যদি আইন অমান্য করে বা আক্রমণ করে তাহলে সে পক্ষকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দায়িত্ব আমাদের, সে দায়িত্ব আমরা পালন করব।”
ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (উলফা) নেতা অনুপ চেটিয়াকে ভারত সরকারের কাছে হস্তান্তরের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “জানানোর মতো অগ্রগতি নেই, এনিয়ে এখনো আলোচনা চলছে।”
শুক্রবার নয়া দিল্লিতে স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে বাংলাদেশের হাই কমিশনার তারিক এ করিম সাংবাদিকদের বলেন, অনুপ চেটিয়াকে হস্তান্তরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
১৯৯৭ সালের ২১ ডিসেম্বর ঢাকার গ্রেপ্তার অনুপ চেটিয়া তিন মামলায় সাজা খাটার পর বর্তমানে কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন।