লজিং মাস্টার রাখা হল লায়লাকে পড়ানোর জন্য। স্থানীয় মাদ্রাসার আলিম পর্যায়ের তালিবআলেম। নিখাদ চরিত্র! ক'দিন পড়েই লায়লা মা'কে বলে বসল এ হুজুরের কাছে আর পড়বেনা। কারণও বলেনা। মায়ের অনেক টেপাটেপির পর মুখ খুলল লায়লা। 'হুজুরে পায়ে পা লাগায় খালি।' যা বুঝার গৃহকত্রী বুঝলেন। বিদায় হল হুজুর।
তবে অত সহজ হয়নি উক্ত হুজুরের বড় ভাইয়ের বিদায়। স্থানীয় মসজিদের ইমাম ছিলেন। মাদ্রাসার মোদারেসীর পাশাপাশি ইমামতির বেতন, ফাতেহা, কবর জেয়ারত, মিলাদ, তাবিজ, তুমার করে ভালই চলছিল ব্যাচেলর কামিল পাশ মাওলানার দুনিয়াবী কায়কারবার। কপালে বেশী সুখ সয়না। মাতবর কিসিমের এক মহল্লাবাসীর ঘরে বেশী বেশী যাতায়ত করেন। এ নিয়ে কোনো কোনো মুসল্লীর খেদ। অনেকে নাকি তাকে পাক ঘরে মাতবরের বউয়ের লগে হা হা হি হি করতে দেখেছে। শেষতক অন্য একদিন.. । জুমাবার। হুজুর এবসেন্ট। কারণ উদঘাটিত হল- মাতবরের বৌ হাসপাতালে। উনি দেখতে গেছেন! ঐদিন ব্যাপক হৈ চৈ এর মধ্যদিয়ে হুজুরের চাকরি নট।
তুচ্ছ গ্রাম্য মৌলভীর 'ঝাপসা' কারণে চাকরি নট হলেও চাকরি আরো পাকাপোক্ত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনৈক লুচ্চা প্রভাষকের। তখন তিনি নব্য প্রভাষক। আর ছাত্রীটি শেষবর্ষে। ঘুরিয়ে, পেঁচিয়ে, ইনিয়ে, বিনিয়ে ক্লাশে, ক্লাশের ফাঁকে সরল কিসিমের মেয়েটিকে চুড়ান্ত উত্যক্ত করে ছাড়ছেন। সাইন্স সাবজেক্ট। প্র্যাকটিকেল, ভাইবা, ফিল্ডট্যুর, রিসার্চ পেপার অনেক কিছুতে 'হাওয়াই' মার্কস আছে। তাই শক্ত প্রতিবাদও করা সম্ভব হয়নি। শেষতক মুষলধারে বৃস্টি হয় এমন একদিন তিনি ছাত্রীটিকে নিজ কক্ষে জড়িয়েই ধরেন!
এক পরিমল কারাগারে। লক্ষ পরিমল ঘরে ঘরে। স্কুল, মক্তব, মাদ্রাসা, কলেজ, কোচিং কোথায় নেই পরিমল বাবু। পরিমলরা আছে অফিসে, স্যুটিং স্পটে, কারখানায়, বাসে, ট্রেনে, লঞ্চে সবখানে। সুযোগের অভাবে অনেকে সাধুর গেরুয়া বেশ ধারন করে বসে থাকলেও কায়দামত পরিমলের চরিত্রে মঞ্চে নেমে পড়েন। পরিমল আছে আওয়ামীলীগে, আছে বি এন পি তে এমনকি জামায়াতের রোকন পদেও! তারা ছাত্রলীগ, তারা ছাত্রফ্রন্ট, তারা ছাত্রশিবির ও অ-ছাত্র। আর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানইতো বড় পরিমল। পরিমল হিন্দু, পরিমল মুসলিম, পরিমল অগ্নি উপাসক, পরিমল নাস্তিক। পরিমল সাহিত্যিক, পরিমল নাট্যকার, পরিমল পরিচালক, পরিমল শাসক, পরিমল অর্থনীতিবিদ, পরিমল বাসের কন্ডাকটর!
কোচিং সেন্টার বন্ধ হলে পরিমলরা পালিয়ে যাবে এমনটা ভাবা বোকামী। তারা ওৎ পেতে থাকবে ক্লাশরুমে, ব্ল্যাকবোর্ডের পেছনে, বেন্চির তলায়, স্কুলের টয়লেটে। সদ্যযৌবনা ছাত্রী বা যুবতী সহকর্মী বা গতযৌবনা আয়া দেখলেও তড়াক করে লাফ দিয়ে উঠতে পারে কোনো এক হিংস্র পরিমল।
তাহলে উপায় কি?
উপায় আছে-
গেরুয়ার ভেতরের পরিমলকে মানুষ করা; অন্তত: মেকি সাধু বানিয়ে রাখা; যতদুর সম্ভব পরিমল অ-বান্ধব কর্মস্থল তৈরী; যার যার মত পরিমলের খপ্পড়ে না পড়ার ব্যবস্থা; কোনোরূপ লুকোছাপা নয় ঘটনা ঘটামাত্র পরিমল উৎখাতে নেমে পড়া; ধরাপড়া পরিমলদের প্রকাশ্য শাস্তি।
আশা করা যায় যারযার অবস্থান থেকে শক্ত পদক্ষেপ নিলে পরিমলের সংখ্যা হ্রাস পাবে। পুরো লুপ্ত না হোক!
আলোচিত ব্লগ
ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)
ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন
মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল
হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন
'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'
নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ
আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন
ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা
গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন