দেরী করে হলেও সরকার ২০০৯ সালে নির্মিত বাংলাদেশি সিনেমাগুলো থেকে বেছে কিছু পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দিচ্ছে। সাধারণত মূল ধারার চলচ্চিত্রগুলো থেকেই ছবি বাছাই করা হয়। মানে হচ্ছে বাণিজ্যিক ভাবে নির্মিত এবং সিনেমা হলে চলেছে, এমন ছবিগুলোকেই এই পুরস্কারের আওতায় এনে পুরস্কৃত করা হয়।
তবে এর বাইরেও অনেক চলচ্চিত্র নির্মিত হয়, যাদের আমরা শর্ট ফিল্ম হিসাবে জানি। এমন অনেক ভালো ভালো নির্মাতা আছেন, যারা অনেক সুন্দর সুন্দর শর্ট ফিল্ম বানিয়ে দেশে এবং বিদেশে সুনাম অর্জন করেছেন। এই সুযোগে তাদেরকে পুরস্কার দেওয়া যায় কিনা সেটা ভেবে দেখা দরকার।
আমি এর বাইরেও কিছু বাস্তব ব্যাপার নিয়ে বলতে চাই।
২০০৯ সালে ইন্টারনেট কাঁপানো প্রভা বেগমের চলচ্চিত্রকে কি কোন ভাবেই কোন পুরস্কার দেওয়া যেত না? শারীরিক অভিব্যক্তি দিয়ে জনমানসে স্থায়ী আসন করে নেওয়া প্রভাকে কি বিচারকরা বিশেষ অভিনয়ের জন্য গণ্য করতে পারতেন না?
কিংবা ২০১১ সালে চৈতী ম্যাডাম যে চমৎকার ক্যামেরার কাজ করে দেখালেন, তার জন্য কি তার কোনই স্বীকৃতি মিলবে না? উনার চিত্র-ধারণ ক্ষমতা নিয়ে তো কারো কোনই সংশয় নেই।
উনারা, এবং উনাদের মত আরো অনেকে যে বাংলা পর্ণো চলচ্চিত্রকে বিশ্বের বুকে পরিচিত করে তুল্লেন, তাদের জন্য কি আপামর চলচ্চিত্র দর্শকরা কি কিছুই করবে না?
এই স সাত-পাঁচ ভেবে আমার প্রাণটা তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে। এত এতো প্রতিভার এমন অপচয়, বা তাদের প্রতিভার অ-স্বীকৃতি, এইটা মেনে নেওয়া খুব কষ্টকর।