somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাষ্ট্রপতির ক্ষমাপ্রাপ্ত ফাঁসির আসামি বিপ্লব ছিল তাহেরের কিলিং স্কোয়াডের প্রধান : নুরুল ইসলামকে অপহরণের রাতেই টুকরো টুকরো করে নদীতে ফেলে দেয়

২২ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ১:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রাষ্ট্রপতির ক্ষমাপ্রাপ্ত ফাঁসির আসামি এ এইচ এম বিপ্লব ছিল তাহের বাহিনীর কিলিং স্কোয়াডের প্রধান। এই বিপ্লবই কয়েকজন সহযোগী নিয়ে ২০০০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও আইনজীবী নুরুল ইসলামকে অপহরণ করে এবং ওই রাতেই তাকে টুকরো টুকরো করে কেটে বস্তাবন্দি করে মেঘনা নদীতে ফেলে দেয়। এ ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরই পুরো বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরও তত্কালীন লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবু তাহেরের ছেলে বিপ্লবকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। কারণ লক্ষ্মীপুরে তখন ক্রিয়াশীল ‘তাহের বাহিনী’ই হয়ে উঠেছিল বিকল্প প্রশাসন হিসেবে। অন্যদিকে তত্কালীন সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদ এসব খুনিকে নানাভাবে রক্ষা করেন। একই সঙ্গে হারুন অর রশীদ, আবু তাহের এবং লক্ষ্মীপুর প্রশাসন নানা প্রহসনের আশ্রয় নেয়। প্রশাসনের অসহায়ত্ব বিষয়ে তত্কালীন জেলা প্রশাসক মাহবুবুল আলম বলেন, ‘আমার চাকরি জীবনের ২৪ বছরে এরকম ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হইনি।’...
এসব ঘটনা ওই সময়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশিত হয়। দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত কয়েকটি প্রতিবেদন তুলে ধরা হলো— প্রশাসনের গড়িমসিতে অপরাধীরা পালিয়ে যায় : নুরুল ইসলামকে অপহরণের রাতেই খুন করে নদীতে ফেলে দেয়া হয় লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলামকে ১৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১টায় বাসভবন থেকে অপহরণ করার পর ওই রাতেই হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয় জেলা প্রশাসন ও পুলিশ কর্তৃপক্ষ ঘটনার ১৪ ঘণ্টা পরই এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়। হত্যাকারীদের পক্ষ থেকেই পরোক্ষভাবে বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়। জেলা প্রশাসনের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা এবং গোয়েন্দা সূত্রের সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা গেছে।
স্থানীয় প্রশাসনের একজন পদস্থ কর্মকর্তা স্বীকার করেন যে, মজু চৌধুরীহাটের সুইস গেটের পাশে অপহৃত নুরুল ইসলামকে হত্যা করে লাশ কয়েক টুকরো করে বস্তাবন্দি অবস্থায় মেঘনা নদীতে ফেলে দেওয়ার খবর তারা অপহরণের পরের দিন দুপুরে পেয়েছেন। এমনকি খুনিদের পরিচয় এবং তাদের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছিল। কিন্তু একটি বিশেষ অবস্থায় পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে পারেনি। পুলিশের কয়েকজন পদস্থ কর্মকর্তা জানান, খুনিরা স্থানীয় পৌর চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহেরের বাড়িতে ২২ সেপ্টেম্বর রাত ৯টা পর্যন্ত ছিল এবং তারপর সাংসদ হারুন-অর রশীদের গাড়ির বহরের সঙ্গে দুটি আলাদা মাইক্রোবাস এবং প্রাইভেটকারে চড়ে রায়পুরের দিকে চলে যায়। তারা সংখ্যায় ৮ জন। সরকারি দলের সাংসদ গাড়ির বহরের সঙ্গে থাকা অবস্থায় গ্রেফতার করলে সরকারি মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে ভেবে অপহরণকারীদের ধরা হয়নি বলে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পদস্থ কয়েকজন কর্মকর্তা জানান। এই ঘটনা নিয়ে একটি হৈচৈ ও দেশব্যাপী ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে, তারা সেটা বোঝেননি। সরকারি দলকে বাঁচাতে গিয়ে এখন নিজেরাই বিপদে পড়ে গেছেন বলে দায়িত্বশীল ওই কর্মকর্তারা ‘প্রথম আলো’র কাছে স্বীকার করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট একজন পদস্থ প্রশাসনিক কর্মকর্তা প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার বিবরণ দিয়ে প্রথম আলোকে জানান, অপহৃত নুরুল ইসলামকে অপহরণের পর স্থানীয় মজু চৌধুরীহাটের কাছে একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে সুইস গেটের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। অপহরণকারী দলের নেতৃত্বে ছিল পৌর চেয়ারম্যান আবু তাহেরের ছেলে বিপ্লব ও পালিত ছেলে রিংকু। অপহরণের দুই ঘণ্টা পরেই তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে টুকরো টুকরো করে বস্তাবন্দি অবস্থায় নদীতে ফেলে দেয়া হয়। এরপর হত্যাকারীরা ঘণ্টা তিনেক ঘটনাস্থলে ছিল। ভোর চারটার দিকে তারা শহরে প্রবেশ করলে স্থানীয় পিটিআই কলেজের সামনে টহলরত একজন পুলিশ হাবিলদার তাদের দেখে ফেলে। এত রাতে তাদের শহরে ঘোরা ফেরার বিষয়ে হাবিলদার জিজ্ঞাসা করলে তারা তাকে কেন জবাবদিহি করতে হবে বলে দ্রুত সটকে পড়ে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, তখনো হত্যার বিষয়ে তারা কিছু জানতে পারেননি। বিস্তারিত বিষয়াদি রিংকু বাঙ্গাখা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম হাসুকে ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টার দিকে জানায়। হাসু তখন জেলা বারের একজন কর্মকর্তাকে অবহিত করেন যে অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলামকে জীবিত ফেরত পাওয়ার আশা কম। পদস্থ ওই আইনজীবী সঙ্গে সঙ্গে ঘটনার ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে অবহিত করেন। উল্লেখ্য, এর আগে পর্যন্ত হাসু চেয়ারম্যান অপহৃত আইনজীবীকে ফেরত দেয়ার বিষয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তিনিও বেলা দুইটার আগে পর্যন্ত হত্যার বিষয়ে জানতেন না। ঘটনা জানার পর পরই পুলিশ হাসু চেয়ারম্যান ও রিংকুর রায়পুর উপজেলার গ্রামে হানা দেয়। কিন্তু সেখানে তখন তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, প্রশাসনের সঙ্গে ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টা পর্যন্ত খোদ অপহরণকারীরা নানা নাটক করতে থাকে। ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় আওয়ামী লীগ নেতা ও পৌর চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী জেলা প্রশাসকের অফিসে আসেন। জানা যায় তিনি জেলা প্রশাসককে বলেন, নুরুল ইসলাম উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত ওই অফিসে তিনি অবস্থান করবেন। ঘণ্টা দুয়েক তিনি এভাবে বসে থাকার পর জেলা প্রশাসক তাকে এক গাড়ি দিয়ে অনুরোধ করেন এ বিষয়ে একটু খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য। তখন গাড়িতে করে পৌর চেয়ারম্যানের স্ত্রী নিজের বাসায় চলে যান। এ সময়ের মধ্যে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে পৌর চেয়ারম্যানের পুত্র বিপ্লব ও হাসু চেয়ারম্যান একাধিকবার ফোনে অপহৃত নুরুল ইসলামকে ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দেয়।
সাড়ে বারোটার দিকে বিপ্লব ও হাসু চেয়ারম্যান জেলা প্রশাসকের কক্ষে আসে। এ সময় পুলিশ সুপার ইরফান আলী খান এবং জেলা বারের কয়েকজন পদস্থ কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন। ডিসি এবং এসপি অপহৃত নুরুল ইসলামকে ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করলে বিপ্লব সম্মত হয়। তবে শর্ত জুড়ে দেয় যে এ ব্যাপারে কোনো মামলা দেয়া চলবে না। ডিসি এবং এসপি তাকে বলেন, ঠিক আছে। এবং উপস্থিত আইনজীবীদের ৫০ টাকার তিনটি স্ট্যাম্প পেপার তৈরি করতেও বলেন। সূত্র জানায়, এরপর বিপ্লব চলে যেতে চাইলে তার সঙ্গে তিনজন আইনজীবীকেও দেওয়া হয়। প্রশাসন বিপ্লবকে জানায়, এই তিনজন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিজান, অ্যাডভোকেট নূর এবং অ্যাডভোকেট নয়নের সঙ্গে যেন অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলামকে ফেরত দেওয়া হয়। বিপ্লব আইনজীবীদের সঙ্গে করে নিজ বাসভবনে গিয়ে জানিয়ে দেয়, অপহরণের বিষয়ে সে কিছুই জানে না। সুতরাং অপহৃত নুরুল ইসলামকে ফেরত দেওয়ার প্রশ্ন নেই। আইনজীবীরা নিরুপায় হয়ে ফিরে আসেন। এই ঘটনার পরপরই মধ্যস্থতাকারী হাসু চেয়ারম্যান চাপ দিলে দুপুর ২টার দিকে রিংকু তাকে জানায় যে, অপহৃত নুরুল ইসলামকে হত্যা করা হয়েছে।
খবরটি হাসু চেয়ারম্যান জেলা বারের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোটেক মুনিরকে জানায়। মুনিরের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারও ঘটনা জানতে পারেন। জানা যায় এরপরও অপরাধীরা পৌর চেয়ারম্যানের বাড়িতেই ছিল। কিন্তু প্রশাসন তাত্ক্ষণিকভাবে পরবর্তী কর্মপন্থা ঠিক না করায় সময় অতিবাহিত হয়। এভাবে আরো তিন দিন পার হয়।
জেলার পদস্থ একজন কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায়, ২২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় প্রশাসক তার বাসভবনে পুলিশ সুপারের সঙ্গে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে কর্মপন্থা নির্ধারণের জন্য বৈঠকে বসেন। সূত্র জানায়, উভয়ে পৌর চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে গ্রেফতারের ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছান। সন্ধ্যা ৭টার দিকে সরকারি দলের সাংসদ হারুন-অর-রশীদ জেলা প্রশাসকের বাসভবনে আসেন। সৌজন্য আলাপের পর সাংসদ জেলা প্রশাসককে এই বলে তার বাসভবন ত্যাগ করেন যে তিনি পৌর চেয়ারম্যান আবু তাহেরের বাড়িতে দলের কিছু বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করার জন্য যাচ্ছেন। সাংসদ হারুন পৌর চেয়ারম্যানের বাড়িতে আধ ঘণ্টা অবস্থান করেন। রাত সারে ৮টার দিকে অপরাধীরা তার পিছু পিছু নিচে নামে এবং মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারে চড়ে সাংসদের গাড়ির পিছু পিছু রায়পুরার দিকে চলে যায়। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, পুরো ঘটনাটি ঘটেছে পুলিশের চোখের সামনে। অথচ তারা নিষ্ক্রিয় ছিল। এ বিষয়ে যাচাইয়ের জন্য গতকাল যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাংসদ হারুন অর রশীদকে ঢাকা এবং লক্ষ্মীপুরে পাওয়া যায়নি। অ্যাডভোকেট মুনিরও গত কয়েক দিন লক্ষ্মীপুরে না থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
জেলা পুলিশ সুপার ইরফান আলী খানের সঙ্গে গতকাল যোগাযোগ করে ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টার দিকে নুরুল ইসলামের হত্যার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া এবং খুনিদের পরিচয় ও অবস্থান জানার তিনদিন পরও তারা নির্বিঘ্নে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি ঘটনা স্বীকার-অস্বীকার কোনোটাই করেননি। তিনি কোনো উত্তর না দিয়ে চুপ করে থাকেন।
উল্লেখ্য, অপহরণকারীরা যে মাইক্রোবাসে করে নুরুল ইসলামকে নিয়ে যায় তার ড্রাইভারকেও পুলিশ শনাক্ত করতে পেরেছে। তার নাম মাহফুজ। কিন্তু তাকে গ্রেফতার করা যায়নি।
দীর্ঘ কালক্ষেপণের পর গত ২২ সেপ্টেম্বর পুলিশ স্থানীয় পৌর চেয়ারম্যান আবু তাহেরের বাড়িতে রাতে তল্লাশি করে। সূত্র জানায়, ওই সময় তাকে গ্রেফতারও করা হয়। কিন্তু ঢাকা থেকে পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের টেলিফোনের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় পুলিশ তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।
জানা যায়, অপহরণের দিন অর্থাত্ ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে পরের দিন ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত পৌর চেয়ারম্যান লক্ষ্মীপুরের বাইরে ছিলেন। গোয়েন্দা সূত্রের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, এটাকে তারা বেশ ইঙ্গিতবাহী মনে করছেন। (দৈনিক প্রথম আলো : ৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার, ২০০০)
তাহের বাহিনী বিকল্প প্রশাসন!
লক্ষ্মীপুরের বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম অপহৃত হওয়ার (১৮ সেপ্টেম্বর) পরবর্তী ঘটনাবলীতে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, এই জেলার জনপ্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন শক্তিশালী রাজনৈতিক প্রভাবের কাছে একরকম নিষ্ক্রিয়, পঙ্গু ও বশংবদ হয়ে পড়েছে। এই প্রভাব প্রয়োগ করেন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ তাহের। অপহৃত ও সম্ভবত নিহত নুরুল ইসলামের পরিবারের পক্ষ থেকে জনাব তাহের ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের অভিযুক্ত করা হয়েছে।
জেলায় তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, গত প্রায় চার বছর লক্ষ্মীপুরে কার্যত এম আবু তাহের ও তা নিয়ন্ত্রিত ‘তাহের বাহিনী’ই পরিণত হয়েছে বিকল্প প্রশাসনে। থানায় কোনো মামলা হবে কিনা, হলে আসামিদের মধ্যে কাদের ধরা হবে— এ ব্যাপারে পুলিশকে আগে তাহেরের অনুমতি নিতে হয়। ঠিকাদারি কাজ কে পাবে, জেলা প্রশাসন কোথায় কি বরাদ্দ করবে তাও তাহের ঠিক করে দেন। এ বিষয়ে কেউ অন্যথা করতে চাইলে তাহের বাহিনীর সদস্যরা সশস্ত্র গিয়ে হাজির হয়।
প্রশাসনের অসহায়ত্ব স্বয়ং বর্তমান জেলা প্রশাসক মাহবুবুল আলমের কথায় ফুটে ওঠে যখন তিনি গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিরোধীদলীয় উপনেতা বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও অন্য সাংসদদের সামনে বলেন, ‘আমার চাকরি জীবনের ২৪ বছরে এরকম ভয়বহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হইনি’।...
লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন সূত্র মতে, শুধু শহরকেন্দ্রিক তাহের বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ৩০০। বাহিনী পরিচালনার দায়িত্বে আছে তাহেরের বড় ছেলে বিপ্লব ও ভায়রা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবদুল হালিম হাসু। শহরের ২০ সদস্যের একটি গোয়েন্দা বাহিনীর নেতৃত্ব দেয় লক্ষ্মীপুর কলেজের ভিপি ও তাহেরের মেজ ছেলে টিপু। মূল বাহিনীর আট উপদল নেতা হলো টিপু, রিংকু, জিকো, কামাল, বাবর, খালেক, গনি ও পরান।
সরকারের একটি গোয়েন্দা সূত্র মতে, তাহের বাহিনীর ২০ সদস্যবিশিষ্ট একটি ‘কিলিং স্কোয়াড’ (ঘাতক দল) আছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— বিপ্লব, রিংকু, শিপন, কানা আলমগীর, সিরাজ, মারজু, সুমন, রিপন ও আজহার। (দৈনিক প্রথম আলো : ৯ অক্টোবর, ২০০০)।

জাকির হোসেন/আমারদেশ/২১জুলাই/২০১১
৮টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কোরআন কী পোড়ানো যায়!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৮

আমি বেশ কয়েকজন আরবীভাষী সহপাঠি পেয়েছি । তাদের মধ্যে দু'এক জন আবার নাস্তিক। একজনের সাথে কোরআন নিয়ে কথা হয়েছিল। সে আমাকে জানালো, কোরআনে অনেক ভুল আছে। তাকে বললাম, দেখাও কোথায় কোথায় ভুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেঞ্চুরী’তম

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


লাকী দার ৫০তম জন্মদিনের লাল গোপালের শুভেচ্ছা

দক্ষিণা জানালাটা খুলে গেছে আজ
৫০তম বছর উকি ঝুকি, যাকে বলে
হাফ সেঞ্চুরি-হাফ সেঞ্চুরি;
রোজ বট ছায়া তলে বসে থাকতাম
আর ভিন্ন বাতাসের গন্ধ
নাকের এক স্বাদে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরানের প্রেসিডেন্ট কি ইসরায়েলি হামলার শিকার? নাকি এর পিছে অতৃপ্ত আত্মা?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯


ইরানের প্রেসিডেন্ট হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত!?

বাঙালি মুমিনরা যেমন সারাদিন ইহুদিদের গালি দেয়, তাও আবার ইহুদির ফেসবুকে এসেই! ইসরায়েল আর।আমেরিকাকে হুমকি দেয়া ইরানের প্রেসিডেন্টও তেমন ৪৫+ বছরের পুরাতন আমেরিকান হেলিকপ্টারে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভণ্ড মুসলমান

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:২৬

ওরে মুসলিম ধর্ম তোমার টুপি পাঞ্জাবী মাথার মুকুট,
মনের ভেতর শয়তানি এক নিজের স্বার্থে চলে খুটখাট।
সবই যখন খোদার হুকুম শয়তানি করে কে?
খোদার উপর চাপিয়ে দিতেই খোদা কি-বলছে?

মানুষ ঠকিয়ে খোদার হুকুম শয়তানি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোথাও ছিলো না কেউ ....

লিখেছেন আহমেদ জী এস, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:১৯




কখনো কোথাও ছিলো না কেউ
না ছিলো উত্তরে, না দক্ষিনে
শুধু তুমি নক্ষত্র হয়ে ছিলে উর্দ্ধাকাশে।

আকাশে আর কোন নক্ষত্র ছিলো না
খাল-বিল-পুকুরে আকাশের ছবি ছিলো না
বাতাসে কারো গন্ধ ছিলোনা
ছিলোনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×