somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দুইটি লোকের একই রকম আঙ্গুলের ছাপ হয় না কেন ?

২২ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ১২:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কালির প্যাডের উপর তোমার হাতের বুড়ো আঙ্গুলকে প্রথমে চেপে তারপর সাদা কাগজের উপর চেপে ধরলে দেখবে এক অদ্ভুত ছাপ ফুটে উঠেছে। অন্যান্য আঙ্গুলের ক্ষেত্রেও ঐ একই রকম ছাপ ফুটে উঠবে। তোমার দশ আঙ্গুলের ছাপ একদমই অদ্বিতীয় (Absolutely) জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ঐ ছাপগুলো বলতে গেলে অবিকৃতই থাকে।

প্রকৃতি আমাদের প্রতিটি আঙ্গুলে আলাদা আলাদা শিরাল রৈখিকচিত্র (Ridge Pattern) সৃষ্টি করেছে। কোন দুটি লোকের আঙ্গুলের ছাপ একই রকম থাকে না। এই মজার সত্য ঘটনাটি চীনারা জেনেছিল আজ থেকে প্রায় ২০০০ বছর আগে। আর তাই চৈনিক সম্রাটেরা গুরুত্বপূর্ণ দলিল বা প্রমাণপত্র সই করতে গিয়ে তাদের হাতের বুড়ো আঙ্গুলের ছাপ লাগিয়ে তার উপর সই করত।

১৮৯২ সালে স্যার ফ্লান্সিস গ্যালটন (Sir Francis Galton) নামক এক ইংরেজী বৈজ্ঞানিক সর্বপ্রথম এই ব্যাপারটির সত্যতা প্রমাণ করেন। উক্ত আবিষ্কারের ভিত্তিতে স্যার এডওয়ার্ড হেনরী (Sir Edward Henry) অপরাধী বা দূষ্কৃতিকারীদের (Criminal) সনাক্ত করবার এক উপায় উদ্ভাবন করেন। সেই থেকে পৃথিবীব্যাপী পুলিশ বাহিনীর লোকেরা দূষ্কৃতিকারীদের ধরতে গিয়ে আঙ্গুলের ছাপকে কাজে লাগিয়ে আসছে।

স্যার এডওয়ার্ড হেনী আঙ্গুলের ছাপকে আকৃতি অনুযায়ী তার প্রকারভেদ করেন। প্রকারভেদগুলি হল ফাসের রেখা (Loops) কেন্দ্রীয় অংশে ফাসের রেখা (Central pocket Loops) দুই ফাসওয়ালা রেখা (Double Loops) তোরণাকার রেখা (Arches) ঘণায়মান রেখা (Arches) এবং অনিয়মিত আকস্মিক রেখা (Accidentals) । এক একটি আকৃতির (Pattern) দুই বিন্দুর মধ্যবর্তী শিরাল রেখার সংখ্যা গুনে দশ আঙ্গুলের প্রত্যেকটিকে এক একটা নিদৃষ্ট গ্রুপে ভাগ করা যায়। তারপর সব কয়টি গ্রুপকে একত্র করে একটি ইউনিট গঠন করলেই তোমার কাছে আঙ্গুলের ছাপকে শ্রেণীবিভক্ত করার পূর্ণ একটি প্রণালী তৈরী হয়ে গেল। পুলিশ বিভাগ তাদের অফিস ফাইলে লক্ষ লক্ষ আঙ্গুলের ছাপ সংরক্ষন করে রাখে। এর সাহায্যে খুব তাড়াতাড়ি অপরাধীদেরকে চেনা বা সনাক্ত করা যায়। দুই ব্যক্তির এমনকি একটি মাত্র আঙ্গুলের ছাপের শিরাল রেখা একই রকম হওয়ার সম্ভাবনা প্রতি ২৪ মিলিয়নে (৩২ কোটি ৪০ লক্ষ) মাত্র এক।

ভাল লাগলে দয়া উত্তর দিবেন।
গুড ভাই !

৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসলামে পর্দা মানে মার্জিত ও নম্রতা: ভুল বোঝাবুঝি ও বিতর্ক

লিখেছেন মি. বিকেল, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১:১৩



বোরকা পরা বা পর্দা প্রথা শুধুমাত্র ইসলামে আছে এবং এদেরকে একঘরে করে দেওয়া উচিত বিবেচনা করা যাবে না। কারণ পর্দা বা হিজাব, নেকাব ও বোরকা পরার প্রথা শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×