somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটু অনুমতি দিলে আমিও ২-৩টা খুন করতে চাই ঃপি

২১ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এই মুহুর্তে দেশে এক আজীব কিসিমের খবর সৃষ্টি করে রেখেছে।খবর টি হলো আমাদের সম্মানিত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান সাহেব একাধিক মামলার মৃত্যু দন্ড প্রাপ্ত আসামী লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র আবু তাহেরের ছেলে এ এইচ এম বিপ্লবের কে ফাঁসির দণ্ড মওকুফ করে দিয়েছেন।

শুধু অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম হত্যা মামলার নয়, ছাত্রলীগকর্মী কামাল হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজা থেকেও ক্ষমা পেয়েছেন লক্ষ্মীপুরের পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা আবু তাহেরের ছেলে এইচ এম বিপ্লব। এমনকি শিবির নেতা মহসিন হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজা থেকেও তাঁর ক্ষমা পাওয়ার কথা ছিল। এ-সংক্রান্ত নথিতে সামান্য ভুলের কারণে প্রক্রিয়া কিছুটা পিছিয়ে গেছে।
আবু তাহেরের আরেক ছেলে সালাহ উদ্দিন টিপু গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বিপ্লব আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর তিনটি মামলার সাজা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছিল। এর মধ্যে অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম ও কামাল হত্যা মামলায় ক্ষমার আবেদনে রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর দিয়েছেন ১৪ জুলাই। কাগজে সামান্য ভুল থাকায় মহসিন হত্যা মামলায় স্বাক্ষর হয়নি। আশা করছি কয়েক দিনের মধ্যে এই মামলা থেকেও বিপ্লব ক্ষমা পেয়ে যাবে।'মানুষের মনে প্রশ্ন যে , সুপ্রিম কোর্টে বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি ক্ষমা প্রার্থনা মঞ্জুর করতে পারতেন। তার আগেই প্রাণভিক্ষার আবেদনে তিনি অনুমোদন দেন।আসামীর বিরুদ্ধে অপরাধের সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ থাকায় নিম্ন আদালত সাজা দিয়েছিল।
লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র আবু তাহেরের তিন ছেলেই একাধিক খুনের মামলার আসামি। তবে তাহের ও তাঁর স্ত্রীও খুনের মামলার আসামি ছিলেন। পরে তাঁরা মামলা থেকে অব্যাহতি পান।খুনী পরিবার বলা চলে।

রাস্ট্রপতির এই রায়কে নিন্দা করেছেন প্রত্যেক মহল প্রত্যেক স্তরের মানুষ।নিহত রুহুল ইসলামের স্ত্রী উদ্বেগ ও আক্ষেপ প্রকাশ করে জানান,একটা স্বাধীন দেশে রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে খুনির ক্ষমা পাওয়ার ঘটনা সইবার মতো নয়।“
জানা যায় এ বিষয়ে সভাপতি শেখ হাসিনা ও মোহাম্মদ নাসিমের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে বাদানুবাদের ঘটনাও ঘটেছে।আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম হত্যা মামলায় লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা আবু তাহেরের ছেলে এ এইচ এম বিপ্লবের ফাঁসির দণ্ডাদেশ মওকুফ করায় সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন্ন হয়েছে বলে মন্তব্য করেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।এর পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, 'অন্যায়ভাবে তাদের দণ্ড দেওয়া হয়েছে। আপনি চুপ করুন।[ এখানে মাননীয় প্রধান মন্ত্রির কাছে আমার প্রশ্ন “একাধিক খুনের আসামি কে মৃত্যুদণ্ড দেয়া যদি অন্যায় হয়,তাহলে কয়টা খুনের আসামীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া ন্যায় হবে?]
রাস্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের সবার প্রশ্ন ,নিহত নুরুলের স্ত্রীও এই প্রশ্ন ছুরে দেন “‘প্লিজ, রাষ্ট্রপতির কাছে আমার এই প্রশ্নটি আপনারা ছাপাবেন। স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে আমার এটা জানার অধিকার আছে। প্রধানমন্ত্রী যদি তাঁর বাবার হত্যাকারীর বিচার চাইতে পারেন, আমার ছেলেমেয়েদের কী দোষ? প্রশ্ন আমাদেরও আজকে যদি বঙ্গবন্ধু অথবা মাননীয় রাস্ট্রপতির স্ত্রির আসামীকে এমনি মাফ করে দেয়া হতো তাদের কেমন লাগতো?

এই ঘটনা কে কেন্দ্র করে নানা মানুষ নানা মত প্রকাশ করেছেন...
লক্ষ্মীপুর আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি তারেক উদ্দিন মাহমুদ চৌধুরী বলেন-সন্ত্রাসীরা হত্যা করবে, আর রাষ্ট্রপতি তাদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ মওকুফ করে দেবেন, এটা ন্যায়বিচার হতে পারে না। এতে খুনিরা আরও উৎসাহিত হবে।’
হরের ওষুধ ব্যবসায়ী বিজয় দেবনাথ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি পাঁচটি হত্যা মামলার আসামি বিপ্লবকে মুক্ত করে দিলেন। বিপ্লবের কথা মনে পড়লেই গা শিউরে ওঠে। তার মতো সন্ত্রাসী মুক্তি পেল, এটা ভাবতেই পারছি না।’
আবুল কাশেম কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের কাছে আমরা বারবার পরাজিত। রাষ্ট্রপতি খুনিকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। এখন আমার ছেলে হত্যার ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়েও শঙ্কায় আছি। চিন্তায় আছি আমাদের নিরাপত্তা নিয়েও।’(১৯৯৮ সালের ২ অক্টোবর বিপ্লবের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা তাঁর ছেলে পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ আলমকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। সেদিন রাতেই ফিরোজকে শহরের শহীদ স্মৃতি বিদ্যালয়ের পেছনে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।)

রায় তো রাষ্ট্রপতি দিয়েই দিয়েছেন,এখন যত ভয় আর আশঙ্কা নিহতদের আত্মীয় আর এলাকা বাশির।তারা জানান মৃত্যুদণ্ড যেহেতু মাফ করেই দিয়েছে,যাবত জীবন কারাদণ্ডও মাফ করে দিবে। কয়দিন পর বিপ্লব দিব্বি রাস্তেয় ঘুরে বেরাবে। তখন তাদের জীবনের নিশ্চয়তা কি রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রি নিবেন?এতো কিছু করেও যদি আসামিরা শাস্তি নয়া পায়,তাহলে আইনের দরকার কি? আইন নিয়ে খেল তামাশা ছাড়া এটাকে আর কি বলা যায়? সংবিধান টা কি শুধু তাদের ইচ্ছা মতো ব্যবহারের জন্য বানানো হয়েছে? আর আমরা একটা ভুল করলে সংবিধানের বিপক্ষে কথা বললে আমাদের যাবত জীবন কারাদণ্ড? আমারা সাধারণ জনগণ চাই দেশটা সান্তিতে থাক।আমরা ভালো ভাবে বাচতে পারি।কিন্তু এরকম মৃত্যু দণ্ড প্রাপ্ত আসামীদের মুক্তি দিলে আমদের জীবন হুমকির সম্মুখীন হতে পারে, এই কথা টা একটু ভেবেন।আমাদের কথা একটু ভেবেন। তাছারা আপনার কাছে আমাদের কিছুই চাওয়ার নেই। রাষ্ট্রপতি হিসেবে আমরা আপনাকে অনেক সম্মান করি।আমদের ভালবাসা ও সম্মানের মর্যাদা টা রক্ষা করে আমাদের খেয়াল রাখার দায়িত্ব আপ্নার।আপনাকে অসম্মান করার জন্য এটি লিখি নাই। শুধু মনে প্রশ্ন গুলো ঘুর ঘুর করছিল।সবার সাথে শেয়ার করলাম।

[লেখায় ভুল ত্রুটি থাকলে নিজ গুনে ক্ষমা করে দিবেন]

[ধারনা ও সংগ্রহঃ কালেরকন্থ,প্রথম আলো ও bdnews24]
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!

লিখেছেন ব্রাত্য রাইসু, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।

আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!

এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×