ভুলে গেছি গলির মোড়ে ফেলে আসা সস্তা চাহনি,
এখন আর শার্টের কলার ধরে টান দেয়না
কোন দুর্বৃত্ত্ব সহচর, মিছেমিছি প্রত্যাশার ধোয়ায়
বসতি গড়তে চায়না কোন বৃত্তাকার মেঘ;
রাত্রে বিছানায় গেলে অবশ কামনারা দু’হাতে
গলা চেপ্টে ধরে জেগে উঠবার জন্য,
কি করে বলি প্রয়োজনেরও আছে কালগত বৈচিত্র।
আমার জানলার গ্রীল ধরে নেমে আসা টুপটাপ বৃষ্টি,
ছাদের কার্নিশে ঝুলে ধাকা বৈকালিক রোদ,
ধ্বনি থেকে বর্ণ, বর্ণ থেকে শব্দ এবং শব্দ থেকে কবিতা
হবার প্রত্যাশায় ওৎপেতে আছে বেয়নেট হাতে,
পেশাদারিত্বের বুনটে শেষ পর্যন্ত এরাও বুঝি আটকে গেছে।
জানি একেবারেই গতানুগতিক, তবুও এ আর এমন কি ক্ষতি
এই একাকিত্বের নিগুঢ় তপস্যায় যদি
সাধ হয় জানবার “ কেমন আছো পরবাসী মেঘ?
এই সারাবেলা দীর্ঘশ্বাস, অষ্টপ্রহর দুরাশা
বাধভাঙ্গা জোয়ারের মতো কতটুকু ভাসাতে পারে
তোমার ঘৃনাভরা ভালোবাসার গ্রামাঞ্চল;
আজ এই ঝলসানো বেলাভুমিতে, নামহীন-গোত্রহীন
কোন এক উদ্ভিদের শেকড় ধরে প্রতিক্ষায় আছি,
কয়েকফোটা স্থিরতার অমৃতে ঠোঁট ভেজাবো বলে;
জানি ইতিহাস পাল্টে যাবে কোন একদিন,
শুধু সময়ের আস্তাকুড়ে অযত্ন অবহেলায়
চকচক করবে আমার পরিবর্তনহীন,
একঘেয়ে উপাসনার নৈর্বেদ্য ।
২১.০৭.২০১১ অফিস ( মহাখালী )