আইরিন আক্তার আশা নামের সিটি কলেজের এক ছাত্রী প্রেমঘটিত কারণে নিজ পরিবারের নির্যাতনের শিকার হয়ে গত পরশু আত্নহত্যা করে। অথচ আজকে প্রথম আলোসহ অন্যান্য পত্রিকায় যেভাবে খবরটা এসেছে তাতে যে কেউ ভাবতে বাধ্য হবে যে এই মেয়েটি ইভটিজিংয়ের আরেকটি মর্মান্তিক শিকার! কিন্তু মেয়েটি আমাদের এলাকার এবং ছেলেটিও আমার পরিচিত হওয়ায় আমি জানি যে এদের মধ্যে সত্যিই সম্পর্ক ছিল। ঘটনার বিকৃত রিপোর্ট করায় পত্রিকাগুলোকে আমি দোষ দিচ্ছি না,কারণ বর্তমান সময়ে ইভটিজিংয়ের ঘটনা এতই ঘটছে যে সাংবাদিকরা মেয়ের পরিবারের কথার উপর নির্ভর করে রিপোর্ট করবে এটাই স্বাভাবিক। আবার আমি ছেলেটার পক্ষেও সাফাই গাইতেও চাই না,বরং আমার উদ্দেশ্য হল আমাদের অভিভাবকদের এক নৃশংস জিদের মর্মান্তিক পরিনতি তুলে ধরা।মেয়েটির জিহানের সাথে সম্পর্ক ছিল,অপহরনের ঘটনাও সত্যি নয় বরং মেয়েটি স্বেচ্ছায় গিয়েছিল কিন্তু বিয়ে করার সাহস পায়নি। এরা দুজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক,এছাড়াও জিহানের পারিবার সামাজিকভাবে মেয়েটির পরিবারের চেয়ে পিছিয়ে থাকায় মেয়ের পরিবার সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি,এক্ষেত্রে এরা আর কি মেনে নেবে বাংলাদেশের অধিকাংশ পরিবারই তো সম স্ট্যাটাসের ছেলে মেয়ের সম্পর্কই মেনে নেয় না!এঘটনায় অবশ্যই ছেলেরও কিছু দায় আছে,মেয়ের পরিবার কি পারতো না এই মর্মান্তিক পরিণতি এড়াতে? নির্যাতনের মাধ্যমে মেয়েকে বাধ্য করাই কি একমাত্র পথ ছিল? কোনভাবেই কি মেয়েকে বুঝানো সম্ভব ছিল না?নির্যাতনের মাধ্যমে বাধ্য করতে গিয়ে যে মেয়েকে চিরকালের মত হারাতে হল,এই ক্ষতি কি সাড়া জীবনেও পূরণ হবে? এমন অসংখ্য ঘটনা ঘটার পরও কেউ শিক্ষা নেয় না কেন? আমার মনে হয়
সমাজে আজও এমন অনেক পরিবার আছে যারা মনে করে মেয়ের প্রেমকে মেনে নেওয়ার চেয়ে মেয়ে মারা যাওয়ায় শ্রেয়! আমাদের অভিভাবকদের এই ধরণের মানসিকতার পরিবর্তন কি আদৌ সম্ভব?