অনেক দিন ধরে কোন গেম রিভিউ দেই না। তাই আজকে একটা পুরোনো গেমের রিভিউ দিলাম
আমরা সবাই হ্যাক এন্ড স্ল্যশ একশ্যন গেম খেলে থাকি। সিরিয়াস গেম নিয়ে মেতে থাকি। কিন্তু একটু সহজ কার্টুনিস এডভেঞ্চার টাইপের একটি গেম পেলে কেমন হয়? এমন গেম যা খেলার সময় সিরিয়াস হওয়া লাগবে না বরং বোরিং সময়টা সহজেই পার হয়ে যাবে? এমন একটি গেম হচ্ছে মিনি নিঞ্জাস।
আগেই বলে রাখি যারা হাই গ্রাফিন্সের গেম খেলে অভ্যস্ত আছেন তারা গেমটি দেখে হতাশ হতে পারেন। গেমটির গ্রাফিক্স অনেকটা কার্টুনিশ কিন্তু দেখতে খারাপ তা বলা যাবে না। শুধুমাত্র নিছক মজা পেতে গেমটি খেলতে পারেন। গেমটি পাব্লিশ করেছে EIDOS
গেমটির প্লট গড়ে উঠে প্রায় ৩০০ বছর পূর্বের জাপানের নিঞ্জাদের নিয়ে। নিঞ্জারা সামুরাইদের ইভল মাস্টারকে হারিয়ে তাদের ডার্ক ক্যসল দখল করে নেয়। এভাবে প্রকৃতির মাঝে ভারসাম্য ফিরে আসে। এন্সিয়েন্ট কুজি ম্যজিকের সঠিক ব্যবহার ঘটতে থাকে। কিন্তু এখন নিঞ্জা মাউন্টেইনের আসে পাশে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ শুরু হয়। ঝড়, বন্যা, বৃষ্টি হিমবাহ ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখে নিঞ্জা মাস্টার বুঝতে পারেন যে প্রাকৃতিক ভারসাম্য অর্থাৎ কুজি ম্যজিকের অপব্যবহার শুরু হয়েছে। এদিকে কিছু লোক বনের পশু পাখিদের ধরে নিয়ে আটকে রাখছে ও কুজি ম্যাজিকের মাধ্যমে এদেরকে সামুরাই বাহিনী হিসেবে তৈরী করছে। নিঞ্জা মাস্টার ভারসাম্য রক্ষার জন্য তার নিঞ্জাদের নিঞ্জা মাউন্টেইন থেকে গ্রামের দিকে পাঠাতে লাগলেন। নিঞ্জারা অবস্থা দেখতে গেল কিন্তু কেউই আর ফিরে এল না। নিঞ্জা মাস্টার একে একে চার জন বিসস্থ্য নিঞ্জাদের পাঠালেন বাইরের খবর আনতে। কিন্তু তারা কেউই আর ফিরে আসল না। সর্বশেষ দুইজন নিঞ্জা হিরো আর ফুটোকে নিঞ্জা মাস্টার বাইরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। এদের উপরই থাকে পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষার মহান দায়ীত্ব।
এভাবে গেমটির কাহিনী শুরু হয় ও হিরো এবং ফুটো জাপানের বিস্তির্ণ অঞ্চলের মধ্য দিয়ে সামুরাইদের মারতে মারতে চলতে থাকে। পথের মাঝে অনেক ক্যাসল থাকে, এ সকল ক্যাসলের বসদের হত্যা করে হিরো আর ফুটো সামনের দিকে যেতে থাকে। এর মাঝে তারা অন্য সকল নিঞ্জাদের পায় ও একে একে তাদের দল ভারি হতে থাকে।
গেপ্লের কথায় আসা যাক। গেমটির একেক ক্যারেক্টার একেক ওয়েপনে পারদর্শি। হিরো কাটানা সোর্ড ব্যবহার করে থাকে। ফুটো ব্যবহার করে হ্যামার বা হাতুড়ি। সুজুমি বাশিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে। তার বাশির সুরে শত্রুরা অনেক সময় মোহাচ্ছন্ন হয়ে পরে। তখন সহজে তাদের মারা যায়। এরপর আসে শন। শন তিরন্দাজ। তরা নিজেকে বাঘ মনে করে ও সে তার হাতের সাথে ইস্পাতের আড়শি লাগিয়ে নেয়। (অনেকটা এক্স ম্যান এর ওলভারিনের মত দেখতে)। হিরো কুজি ম্যাজিক ব্যবহার করতে পারে। কুজি ম্যাজিক দিয়ে অন্য প্রানীকে নিয়ন্ত্রণ করা, অন্যান্য ম্যাজিক খুজে বের করা, আগুনের গোলা শত্রুদের দিকে ছুড়ে মারা, সময় নিয়ন্ত্রণ করা ইত্যাদি করতে পারে। এছাড়া আরো অনেক রকমের ম্যাজিক আছে। এছাড়া সুরিকেন, বিভিন্ন প্রকারের বোম্ব, আর বিভিন্ন ধরণের পোসন কিনতে বা বানানো যায়। কোন পোশন হেলথ লাইন বৃদ্ধি করে আবার কোন পোশন ম্যাজিক বৃদ্ধি করে। সকল নিঞ্জাদেরই একটা খড়ের হ্যাট থাকে যা অন্যদের আক্রমণ প্রতিরোধ করতে কিংবা নদী পার হউয়ার জন্য নৌকা হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
সর্বোপরি গেমটি আমার কাছে ভালো লেগেছে। প্রাচীন জাপানের নিঞ্জাদের নিয়ে খেলতে খেলতে আপনিও হারিয়ে যেতে পারেন তাদের রাজ্যে। যদি না খেলে থাকেন তাহলে খেলে ফেলুন এই সুন্দর গেমটি।
আমার ব্লগে আরো রিভিউ দেখার জন্য স্বাগতম!
আলোচিত ব্লগ
আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন
সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন
ব্লগটা তো ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে গেলো :(
আমি আমার ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে। ব্লগটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ প্রথম আলো ব্লগ আমায় লেখালেখিতে মনোযোগী হতে শিখিয়েছে । সে এক যুগ আগের কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন
লুঙ্গিসুট
ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা
স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা
একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন
সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা
এই ধাঁধার নাম সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা; নিচের লিংকে এটার ভিডিও আছে।
স্বৈরশাসকের বন্দী
এই ধাঁধাটি আমার ভালো লেগেছিল, তাই অনেক আগে আমার একটা পোস্টে এই ধাঁধাটি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই পোস্টে... ...বাকিটুকু পড়ুন