somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জামাতিদের হিন্দুনিধন উৎসব

১৬ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অপকর্মের সময় যে রেফারেন্স দেয়া হয় সেই ঘটনার শুরু মহানবী দ.'রও আগে থেকে। তরুণ ইব্রাহিম আ. ছুটে এলেন পিতা তারখের মৃততুর পর যাঁকে পিতা ডাকতেন সেই চাচা আযরের মূর্তিগুলোর সামনে। আযর ছিলেন ব্যাবিলনিয়ার ভাষ্কর। তাদের সভ্যতায় তখন যে আইডলের পূজা বেশি করা হত তার নাম ছিল শস্যদেব স্যাটান, শাইত্বোয়ান।
আব্রাহাম আ. নিজের বাসায় মূর্তি ভাঙলেন।

রাসূল দ. আদম আ. ও ইব্রাহিম আ.-ইসমাঈল আ. নির্মিত-সংস্কারকৃত ক্বাবা ঘরের ৩৬০ মূর্তি ধ্বসালেন।

এই বিষয়টা রেফারেন্স হয়ে গেল।
যে, ইসলামে পরধর্মের মূর্তি ভাঙা, পরধর্মের উপাসনালয় ভাঙা অত্যন্ত পূণ্যের কাজ।
রেফারেন্স হিসাবে গৃহীত হল মিলিট্যান্ট মুসলিমদের কাছে এবং ইসলামোফোবিকদের কাছে।

কিন্তু অর্ধসত্য যে মিথ্যারচেও ভয়ানক! ফিতনা যে ক্বতল থেকেও ভয়ানক!

আজকের মুসলিম শিক্ষিত সমাজ মুখ লুকিয়ে চলে। তারা মনে করে, তাদের নবীরা এমন কিছু কাজ করেছেন, যা মুখ ফুটে বলা যায় না। আসলে যে এটা আমাদের জানার অভাব, এই কারণেই একদিন আমরা নিজেরাও ধর্ম সম্পর্কে আরো উদাস হয়ে পড়ব সে কথা কি আর ভাবি?

আমরা পরিবারে নিজের বাবা-চাচার উপর জোর খাটাই। যদি দেখি বাবা-চাচা ধূমপান করছেন, আমরা তাদের মুখ থেকে সিগারেট কেড়ে নেয়ার অধিকার রাখি।

কিন্তু রাস্তায় চলা একটা মানুষের মুখ থেকে নয়।
ক্লিয়ার কনসেপ্ট। আর এই ক্লিয়ার কনসেপ্ট আমাদের মত নামে 'মুসলমানরা' বুঝতেও পারছেন না, মিলিট্যান্ট মুসলিমদেরও জবাব দিতে পারছেন না, ইসলামোফোবিকদেরও জবাব দিতে পারছেন না।

ইব্রাহিম আ. বা নবী দ. যেখানে সেখানে মূর্তি ভেঙেছেন?
তাঁদের সুযোগ ছিল যেখানে সেখানে মূর্তি ভাঙার। ইতিহাস বলে। ভেঙেছেন? নাকি শুধু নিজের বাড়ির ভিতরে?

যেখানে পরধর্ম নিয়ে বিন্দুমাত্র কটাক্ষ করতে বুখারি-মুসলিম-আবু দাঊদ থেকে শুরু করে সব গ্রন্থে এমনকি কুরআনেও এইসব কথা আছে, যার যার ধর্ম তার তার। তোমরা সহনশীলতার সাথে মানুষের কাছে এগিয়ে যাও। তোমরা শুধু আমন্ত্রণ জানাও। তোমরা কক্ষনো কটাক্ষটা পর্যন্ত করো না পরধর্মের দেবদেবীদের বিষয়ে, সেখানে...

স্বয়ং রাসূল দ. রাষ্ট্রেরও নায়ক ছিলেন এক পর্যায়ে। কই, তাঁর রাষ্ট্রে তো অগ্নিপূজারী নিজের আরাধনা করেছে। নক্ষত্রপূজারী নিজের আরাধনা তো করেছে। প্রতিমাপূজারীও। করেছে ইহুদিও। খ্রিস্টান তো মসজিদে নববীর ভিতরেই তাঁর অনুরোধে প্রার্থনা করেছে।

অর্ধসত্য মিথ্যার চেয়েও ভয়ানক। বিভ্রান্তি হত্যার চেয়েও ভয়ানক।
ইসলামকে রক্ষা করতে হলে অপভ্রংশ ইসলামের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭
১৮টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তোমার ভাঁজ খোলো আনন্দ দেখাও :: দু শ'রও বেশি পুরোনো ব্লগারের প্রোফাইল পিকচার নিয়ে একটি মিউজিক ভিডিও

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ৩০ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৭

১৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে সামহোয়্যারইন ব্লগের দু শ'রও বেশি ব্লগারের প্রোফাইল পিকচার নিয়ে বানানো একটা মিউজিক ভিডিও শেয়ার করেছিলাম। যে-সব ব্লগার ঐ সময়ে অ্যাক্টিভ ছিলেন, প্রোফাইল পিকচারগুলো তাদের ছিল।



কয়েকদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রহস্যময় কলা

লিখেছেন বিষাদ সময়, ৩০ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:৩১




এই কলা শব্দটা আমার কাছে পুরাই বিভ্রান্তিকর। নারীদের কলা বলতে যে ছলাকলা সেটা ভালই বুঝি। সেই ছলাকলা দেখে গলা বাড়ালেই যে ষোলকলা পূর্ণ হয় সেটাও জানা। কিন্তু এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ দরজা

লিখেছেন মোঃ আরিফুজ্জামান আরিফ, ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ১:১৬


বাইরে ঝুম বৃষ্টি। বাইরে ঘোর অন্ধকার, বিদ্যুৎ নেই। মা চুলায় খিচুড়ি দিয়েছে। ঘ্রাণে চারপাশ ছেয়ে আছে। সাথে বেগুন ভাজা, ইলিশের দো পিয়াজি, দই-কাতলা, রুই মাছের মাথা দিয়ে মুড়ি ঘন্ট,... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সীমানা পিলার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৮



বৃটিশ কর্তৃক এদেশে ম্যাগনেটিক পিলার স্থাপনের রহস্য।
ম্যাগনেটিক পিলার নিয়ে অনেক গুজব ও জনশ্রুতি আছে, এই প্রাচীন ‘ম্যাগনেটিক পিলার' স্থাপন নিয়ে। কেউ কেউ এটিকে প্রাচীন মূল্যবান ‘ম্যাগনেটিক’ পিলার... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাথায় চাপা ভূত ভূত ভূতং এর দিনগুলি

লিখেছেন শায়মা, ৩১ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫


এই যে চারিদিকে এত শত কাজ কর্ম, ঝামেলা ঝক্কি, ক্লান্তি শ্রান্তি সব টপকে আমার মাথায় আজও চাপে নানান রকম ভূত। এক ভূত না নামতেই আরেক ভূত। ভূতেদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×