somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সনাতন ধর্মের হারানো সাম্রাজ্য দ্বিতীয় অংশ

১৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত পর্বের পর, গত পর্বটি দেখতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন
সত্যিকার অর্থেই আমাদের এই সনাতন ধর্মের শুরুকাল যে অনেক আগের এই প্রামান্য চিত্রগুলো তারই সাক্ষী দেয়

এই মুর্তি টি ইসলাম আসার আগের সময়কার আরবের একটি আর্টিফেক্ট যাতে দেখা যায় দেবী স্বরস্বতী বসে আছেন হাসের উপর।


এই চেরাগটি পাওয়া গেছে প্রাচীন আরবীয় আর্টিফেক্ট এর থেকে-এখানে দেখা যায় অনেকটা বৈদিক প্রদিপ এর মত এই প্রদিপের মুখ পাঁচটি-যা বৈদিক নিয়মে এখনো হিন্দুদের ঘরে ঘরে জ্বলে ওঠে।প্রাচীন আরবীয় উপকথা আলাদীন এর যাদুর চেরাগ ও এই বৈদিক সভ্যতার ই অবদান-যা এখন অনেকেই স্বীকার করেন।


এখানে দুইটি ছবি আছে
{উপরের ছবি}
এখানে প্রথম দেবতার মুর্তি হল হিন্দুদের আয়ু দেবতা-যিনি জীবনের দেবতা-কিন্তু আজও সাইবেরিয়ার প্রত্যন্ত অন্চলে পুজিত হন রোগ শোক থেকে উত্তরনের জন্য।বাকি দুইটা মুর্তি এখনও মন্গোলিয়াতে প্রচলিত দেবতা-এই মুর্তি তিনটাই প্রমান করে যে বহু সহস্র বছর আগে পৃথিবী জুড়ে প্রচলিত ছিলো হিন্দু ধর্ম।

{নিচের ছবি}
এই ছবিটা ইতালির এক পুরাতাত্বিক খননে পাওয়া গেছে যাতে দেখা যায় কৈশ্যল্যা-কৈকেয়ী এবং সুমিত্রা-রাজা দশরথের তিন স্ত্রী।


এটি ১৬ শতকের একটি বইয়ের থেকে নেয়া-যার নাম "The Cosmos and its Mathematical Study" লিখেছেন মোহাম্মদ আল তুসি-এটা পাওয়া গেছে ঈজিপ্সিয়ান লাইব্রেরিতে-যাতে দেখা যায় অনেকটা ভারতীর দেবদেবীদের মত কয়েকটা হাত বিশিষ্ট এই লোক বসে আছে-এবং এক একটা হাতে এক একটা বস্তু উনি ধরে আছেন।এটা হিন্দু ধর্মের অনেকদিনের চর্চার প্রতিফলন বলেই আর্কিওলজিষ্টরা ধরে নেন।


এটা এক আরবীয় রমনীর ছবি যাতে দেখা যায় মহিলা কপালে তিলক এঁকে আছেন যা কেবল হিন্দু রমনীরা কপালে এঁকে থাকেন।


এটি একটি প্রাচীন শিলালিপি যাতে দেখা যায় একজন লোক একটা ঘোড়া নিয়ে সামনে এগুতে গেলেই আরেকজন তাকে প্রতিহত করছে-এই ঘটনা বৈদিক দৃষ্টিকোন থেকে বিচার করলে এটা অশ্বমেধ যজ্ঞের একটা ছবি-যেটা ছিলো তখনকার হিন্দু রাজাদের এক প্রকার যজ্ঞ বিশেষ-একটি ঘোড়াকে ছেড়ে দেয়া হত-সে যেদিক যেদিক যাবে সে দিকে রাজার বাহিনী যাবে এবং ঐ রাজার বিজয় নিশান উড়াতে উড়াতে-তাই সে রাজার বশ্যতা স্বীকার না করার জন্য আশেপাশে দেশের রাজারা এই ঘোড়াকে প্রতিহত করতে চাইত-এবং অনেক সময় দুই দেশের মাঝে যুদ্ধ লেগে যেত-এই কারণে।


ইতালিতে আর্কিওলজিকাল খোঁড়াখুড়ির সময় এই মাটির পাত্রটি পাওয়া যায়-যেখানে দেখা যায় দুটো বানর যুদ্ধ করছে আর মাঝে দাড়িয়ে একজন সুপুরুষ-রামায়নের বালি আর সুগ্রিবএর মাঝে যুদ্ধের বর্ণনার সাথে যা পুরোপুরি মিলে যায়-আর মাঝের সুপুরুষ হলেন শ্রীরামচন্দ্র। ইতালি তে এই পাত্রের চিত্রটিই প্রমান করে এখানেই এক সময় হিন্দু ধর্মের প্রচলন ছিলো।


এটা ব্রিটিশ করোনেশনের সিংহাসন যেটা লন্ডনের ওয়েস্টমাস্টার আ্যবেতে আছে।এটি এমন একটি সিংহাসন যাতে প্রথম বসে শাসন করেছিলেন একজন হিন্দু রাজা-এই লন্ডনের বুকে বসেই-অনেক কাল আগে। এখন ও ব্রিটেনে এই সিংহাসন সংরক্ষিত আছে।


এই স্কাল্পচার টি দেখতে ঠিক দেবাদিদেব শিবের মত-কিন্তু রোমান এই স্কাল্পচার কে বলা হয় "দেবতা নেপচুন" যাকে পাওয়া গেছে ভলগনা অন্চলে।
কিন্তু এই দেবতার হাতের অস্ত্র ত্রিশুল- হাত ও পায়ের ভন্গিমা-ঠিক দেবতা শিবের মত।


সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, পোষ্ট টি পড়ার জন্য, পূর্বের পোষ্টটির মত এটাও আমার না, আমার সাইটে রাজেন্দ্র নামে একজন পাবলিশ করেছেন আমি উনার অনুমতিক্রমে এখানে শেয়ার করছি মাত্র। পূর্বের পোষ্ট টি এখানে দিয়ে সব ধর্মের লোকদের কাছের থেকে খুব ইতিবাচক কমেন্ট পেয়েছি, যা অনেক উদ্বুদ্ধ করেছে আবার সামুতে শেয়ার করার জন্য। আশা করি এবারও ক্যাচালবিহীন কমেন্ট পাবো সবার থেকে। আর যদি কোন ব্লগার এসকল বিষয়ে জানেন তবে অবশ্যই শেয়ার করবেন, আশা করি। এটি পূর্বে এখানে প্রকাশিত এবং আমাদের সাইটে আপানদের স্বাগতম, আশা করি হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে যাদের আগ্রহ আছে তারা নিরাশ হবেন না এখানে এসে।
সবাইকে আবারও ধন্যবাদ
১১টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ফাঁদ (The Middle Class Trap): স্বপ্ন না বাস্তবতা?

লিখেছেন মি. বিকেল, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:৪৫



বাংলাদেশে মধ্যবিত্ত কারা? এই প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তবে কিছু রিসার্চ এবং বিআইডিএস (BIDS) এর দেওয়া তথ্য মতে, যে পরিবারের ৪ জন সদস্য আছে এবং তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ এঁটেল মাটি

লিখেছেন রানার ব্লগ, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৫৬




শাহাবাগের মোড়ে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম, মাত্র একটা টিউশানি শেষ করে যেন হাপ ছেড়ে বাঁচলাম । ছাত্র পড়ানো বিশাল এক খাটুনির কাজ । এখন বুঝতে পারি প্রোফেসরদের এতো তাড়াতাড়ি বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসুন সমবায়ের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন করি : প্রধানমন্ত্রী

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১২ ই মে, ২০২৪ ভোর ৪:১০



বিগত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নিজ সংসদীয় এলাকায় সর্বসাধারনের মাঝে বক্তব্য প্রদান কালে উক্ত আহব্বান করেন ।
আমি নিজেও বিশ্বাস করি এই ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক ।
তিনি প্রত্যন্ত অন্চলের দাড়িয়ারকুল গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাইলট ফিস না কী পয়জনাস শ্রিম্প?

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১২ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:৪০

ছবি সূত্র: গুগল

বড় এবং শক্তিশালী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পাশে ছোট ও দূর্বল প্রতিবেশী রাষ্ট্র কী আচরণ করবে ? এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অধিক্ষেত্রে দুইটা তত্ত্ব আছে৷৷ ছোট প্রতিবেশি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছেলেবেলার অকৃত্রিম বন্ধু

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

খুব ছোটবেলার এক বন্ধুর গল্প বলি আজ। শৈশবে তার সাথে আছে দুর্দান্ত সব স্মৃতি। বন্ধু খুবই ডানপিটে ধরনের ছিল। মফস্বল শহরে থাকতো। বাবার চাকুরির সুবাদে সেই শহরে ছিলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×