সারাবেলা বোঝা আকারে সারি সারি ইট ভারে বইছি কাঁধের দু’পাশে,
তবুও মাইনে দাওনি কানাকড়ি, দু’বেলা জোটেনি এক মুঠো অন্ন!
এই ক্ষুধার্ত ক্ষুদ্র অসহায় শরীরে ক্যামনে বইবো পাহাড় সম ইটের বোঝা?
চাপের ভারত্বে ন্যুজ্ব হয়ে কাঁধে স্পষ্ট তীব্র কষ্টের ছাপ,
মগজের প্রতিটি নিউরনে চোখা আলপিনের তীক্ষ্ণতায়
বিক্ষত হয়ে বহমান রক্তের অবারিত ফুল্লুধারা!
কন্দ্রিত সুরে জমাট বাঁধা কষ্ট আঁকড়ে ধরে নম্র ভাষায় বলেছিলাম-
“এতো বোঝা সইতে পারবোনা’গো, কাঁধে চাপিয়ে উঠতে পারবোনা উপর তলায়”!
তবুও তোমরা কিঞ্চিত অনুধাবন করলে না
এই কোমলমতি অপোক্তের আর্তচিৎকার!
ক্ষুদ্র, অপরিপক্ক আমি! তাই বলে কি কোনই দাম নেই
আমার শখ-স্বপ্ন স্বাধীন ইচ্ছেশক্তির?
কারো উপর বুলডোজার না চালিয়ে মাটির গভীরে
খুঁড়ে থাক থাক করে ইটের সারি সুবিন্যস্তভাবে
সাজিয়ে মজবুত ঢালায়ে গড়তে চেয়েছিলাম জীবনের শক্ত ভিত।
কিন্তু, তোমাদের ঘুণ পোকা আক্রান্ত সমাজ ব্যবস্থা
আর মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে
সার্টিফিকেট নামধারী জড় শিক্ষণ পদ্ধতি
বিবেকবোধ-আদর্শকে চাকার তলে পিষে
আমাকে এয়ার কুলার সমৃদ্ধ মডার্ণ ফার্নিশার্ড রুমের
কাঁচের দেয়ালে বন্দি করে
শিমুল কাষ্ঠের মতন চিবিয়ে চিবিয়ে ডেকে আনছে ধ্বংস।
শুধু তাই নয়! ঢাক ঢোল পিটিয়ে পসরা সাজিয়ে
আয়োজন করছে সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থার অধঃপতনের অদূর ভবিষ্যৎ!