somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চারদিকে শুধু জয়,জয়, আর জয়।

১৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

চারদিকে শুধু জয়,জয়, আর জয়। জয় পরিমল মানে পরিমল জয়ধর আরকি।আর জয় বাংলাদের কথা তো ব্যাখ্যার দরকার নেই।ভিকারুন্নেসার জয় আর লন্ডনের জয়। অবশ্য সব জয়-ই গোপালগন্জের বীজ-উদ্ভূত। ডিজিটাল ১০৫% ভোটদাতার গত নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী-পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় আর জাদরেল আমেরিকান গোয়েন্দার যৌথ নিবন্ধ ছাপা হয় পশ্চিমা পত্রিকায়। গুনধর দেশপ্রেমিক জাতির নাতি জয় ভোটে জিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে মৌলবাদ( মওলাবাদী বা খোদাভীরুতা) দূর করা,বোরখা পরিহিতদের সংখ্যা হ্রাস করা,হিন্দু প্রেসিডেন্ট বানানোর দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
উপরোক্ত গাঢ় ইচ্ছা তিনটির প্রথম দুটি সাফল্যের মুখ দেখেছে। বাকীটা প্রক্রিয়াধীন। বিডিআর বিদ্রোহের ভেতর দিয়ে মওলাবাদী তথা সমসাময়িক প্রেক্ষাপটের নিরীখে ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী সেনাপতিরা খতম হয়ে গেছেন। বিচারের নামে ঐ মতাদর্শের সাধারন সৈনিকরা চাকরিচ্যুত এবং শাস্তি পেয়ে যাচ্ছেন। রহস্যজনকভাবে ধারাবাহিক নাটকের মতো সাজানো বিচার নিয়ে পত্রিকায় আলোচনা কেউ জমাচ্ছেনা। কিন্তু আসামী কর্তৃক ভুয়া সাক্ষীদের জেরার বিষয়টি চোখ বুলালেই নাটকটি ধরা পড়ে। যাই হোক আমাদের বিডিআর ( এখন বর্ডার গার্ড।বাংলা করলে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী, পাঠক শেখ মুজিবের রক্ষী বাহিনীকে আর খারাপ ভাববেন না কেননা আমাদের সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর নামও রক্ষী বাহিনী) এখন লক্ষী ছেলের মতো বিএসএফকে সহায়তা করছে। তারা পতাকা বৈঠক করে লাশ ফেরত আনছে( এটাই এখন মূল কাজ)। ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশের সন্দেহে বাংলাদেশীদের খুন করছে বা গেফতার করছে।সীমান্ত জরিপের নামে ভারতীয়দের জমি বুঝিয়ে দিতে গেলে যেসব রাজাকারের বাচ্চারা প্রতিবাদ মিছিল করছে তাদের ধাওয়া দিচ্ছে। জরিপকারীদের পাহারা দিচ্ছে আমাদের রক্ষী বাহিনী।

আর সেনাবাহিনী , সে তো খাসা মাল। ঝানু ঝানু গাদ্দাররা হয়ে যাচ্ছে র্যাব। চার পাচদিন আগে হুজুরদের গুম করে মাত্রই গতকাল বিশাল বিশাল ক্ষেপনাস্ত্রসহ গ্রেফতারের বুশীয়-কাহিনী শোনাচ্ছে। দু একটা লিমনকে নিয়ে মানবাধিকারের ঝড় তুলে দেওয়া মিডিয়ারা জঙ্গি গ্রেফতারের ভুয়া রিপোর্টে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছে,নইলে যে আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা খসে পড়ে।

সাম্রাজ্যবাদী ইহুদী খ্রিস্টানদের হয়ে লড়াইয়ের জন্য জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী নামে টার্গেটেড দেশসমূহে গিয়ে ভাড়া খাটছে আমাদের সেনারা। দীর্ঘদিনের ষঢ়যন্ত্রের সফল সমাপ্তি হিসেবে দক্ষিন সুদান নামে একটি খ্রিস্টান রাষ্ট্রের জন্ম হয় মুসলিম সুদান ভেঙ্গে। আমাদের বীর সেনারা দক্ষিন সুদানের সবোচ্চ চূড়ায় ওঠে স্বাধীনতার পতাকা উড়ায়।শুধু গত চার পাচ দিনে দক্ষিন সুদানের আবির্ভাবে খুশি হয়ে ছয় সাতটা রিপোর্ট করেছে প্রথম আলো।

জিহাদী বই (যেমন কোরআন শরীফ) সহ আটক জঙ্গি ( যেহেতু বোরখা পরা) মেয়েদের বিভিন্ন ভার্সিটি কলেজ থেকে গ্রেফতার করা হচ্ছে।অপর দিকে মোবাইলে মোবাইলে ব্লুটুথ দিয়ে ট্রান্সফার হচ্ছে কিশোরী স্কুল কলেজ পড়ুয়াদের যৌনলীলা।

তাহলে দেখা যাচ্ছে অবুঝ ছেলেটি( শেভরন থেকে ঘুষ খাওয়ার রিপোর্ট আমার দেশে ছাপা হওয়ার পর সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জয় সম্পর্কে এমন মন্তব্যই করেন) তার নির্বাচনপূর্ব যৌথ নিবন্ধের গুরুত্বপূর্ন প্রত্যয়ের প্রথম দুটি কমপ্লিট করে ফেলেছেন। বাকী রইল হিন্দু প্রেসিডেন্ট। সুরন্জিত দাদার কথা খুব মনে পড়ছে। উনার দয়ায় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রয়ে গেল। দেখা যাক দাদার দয়ায় আর কি কি থাকে। আজকের পত্রিকায়(১৭.৭.১১) আদম শুমারীর রিপোর্টটি পড়তে গিয়ে দেখি উক্ত প্রকল্পটির প্রধান জৈনক দাদা। আমাদের পরিমল বাবুর খবরের ভেতর দিয়ে অবশেষে জানলাম ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের জৈনক দাদার কথা। স্টক এক্সচেন্জের আরেক দাদার কথা না বললেই নয়। ফারুকের মাথা ফাটানো বিপ্লব সরকার দাদাতো রীতিমত হিরো হয়ে গেছেন। গোপালগন্জের আরেক কলন্ক শিক্ষক শংকর দাদা তো বোধহয় ভারতের পথে। মাহমুদুর রহমানের কলাম পড়ে জানলাম এস কে সিনহা দাদার কথা।বিটিআরসির দাদাদের নিয়ে রিপোর্ট করে তো মাহমুদুর রহমান পড়েছেন বিপাকে। নাম দাম মনে নেই , কয়েক দাদা মিলে এক মুসলিম মেয়েকে সিদুর পরিয়ে ভারতে চালান করে দিয়েছে মাসখানেক আগে। চারদিকে শুধু দাদা ,দাদা, আর দাদা। আশা করি এভাবে রাস্তা ক্লিয়ার হয়েই আমাদের জয় দাদার তৃতীয় ইচ্ছাটি পূরন হয়ে যাবে।


১৭.৭.২০১১
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×