somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাজনীতির প্রেক্ষাপট বদলায়, জামাতের বোলচালও বদলায়

১৭ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ৮:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শাহরিয়ার কবিরের নির্বাচিত কলাম

জামাতে ইসলামীর আমির মওলানা মতিউর রহমান নিজামী খালেদা জিয়ার বি-জা-ই-জা সরকারের মন্ত্রী হয়ে পুরোনো বোলচাল সব বদলে ফেলেছেন। তিনি একা নন, তার সহযোগী বেগম জিয়ার অপর গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী আলী আহসান মোঃ মুজাহিদ, এমন কী দেলোয়ার হোসেন সাঈদীও যে সব কথা বলছেন তা ভূতের মুখে রামনামেরই নামান্তর মাত্র।
জামাতের নেতারা বাঙালি জাতীয়তাবাদ, বাঙালি সংস্কৃতি ও বাংলা ভাষাকে চিরকাল বিজাতীয় ও ইসলামবিরোধী বলে গণ্য করেছেন। বাঙালি সংস্কৃতি ও চেতনার একটি অভিব্যক্তি হচ্ছে বিশেষ কোন দিবস অথবা উপলক্ষে শহীদ মিনারে যাওয়া এবং পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানানো। শহীদ মিনার জামাতের কাছে পৌত্তলিকতা ও হিন্দুয়ানির প্রতীক, সুযোগ পেলেই তারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভাষা শহীদ অথবা মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে নির্মিত মিনার বা সৌধ ভেঙে ফেলেছে। গত ২০ বছরে দৈনিক পত্রিকার ফাইল ঘাঁটলে এরকম শত শত উদাহরণ দেয়া যাবে। শুধু শহীদ মিনার বা স্মৃতিসৌধই নয়, জামাতীরা বহুবার বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত বদলাবার কথা বলেছে, তাদের সহযোগীরা জাতীয় সঙ্গীতের প্যারডি রচনা করেছে এবং জাতীয় পতাকা লাঞ্ছিত করেছে।
অতীতে এসব ঘটনা অবলোকন করে আমরা বহুবার বলেছি জামাতের হাতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা, জাতীয় সঙ্গীত, স্মৃতিসৌধ বা শহীদ মিনার কোনও কিছুই নিরাপদ নয়। একাত্তরের ২৫ মার্চের ধ্বংসযজ্ঞের প্রথম সুযোগেই জামাতের প্রধান পৃষ্ঠপোষক পাকিস্তানি সামরিক জান্তা কামান দেগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার মাটির সঙ্গে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। তারা শহীদ মিনার গুঁড়িয়ে দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, ধ্বংসস্তুপের ভাঙা দেয়ালে উর্দু ও বাংলায় লিখে দিয়েছিল ‘মসজিদ, নামাজ পড়ার স্থান।’ একাত্তরে সারা দেশে শহীদ মিনার যেখানেই নজরে পড়েছে সবই ভেঙে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নরপশুরা এবং এ কাজে তারা জামাতে ইসলামীর অকুণ্ঠ মোবারকবাদ পেয়েছে।
খালেদা জিয়ার মন্ত্রিসভায় যোগদান জামাতের নেতাদের জন্য সমূহ বিপত্তির কারণ হয়েছে। জাতীয় সঙ্গীত বা জাতীয় পতাকা কিছুই বদলালো না মন্ত্রী হওয়ার সুবাদে ইসলামবিরোধী এই পতাকা ও সঙ্গীতের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো জামাত নেতাদের জন্য কম বিড়ম্বনার বিষয় নয়। মন্ত্রিসভা গঠন ও শপথের পরদিন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া তাঁর মন্ত্রিপরিষদ নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে গেছেন শ্রদ্ধা জানাবার জন্য। এতে অবশ্য মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের বিদেহী আÍা, শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক বাঙালি সমাজ যৌক্তিক কারণেই ক্ষুব্ধ ও বিচলিত হয়েছে, একাত্তরের ঘাতকদের পদচারণায় স্মৃতিসৌধের পবিত্র অঙ্গন কলঙ্কিত হতে দেখে। কিন্তু জামাতের ‘কেইস’টা (এম আর আখতার মুকুলের নিকট ক্ষমা প্রার্থনাপূর্বক) কী? চিরকাল যে স্মৃতিসৌধের প্রতি তারা বিষোদগার করেছে, সুযোগ পেলেই এসব পৌত্তলিক ইমেজ ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে মন্ত্রী হওয়ার মাশুল দিতে হলো সেই স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে! এরকম ‘বেশরিয়তি’ কাজ করতে গিয়ে জামাতের আমির ও মহাসচিব দলের অন্য নেতা কর্মীদের সমালোচনার তোপের মুখে পড়েছিলেন।
সম্ভবত মহাকবি কায়কোবাদ লিখেছে ‘দুর্জনের ছলনার অভাব হয় না।’ জামাত নেতাদের ছলনার অভাব কষ্মিনকালেও হয়নি। সেই একচল্লিশে জন্মলাভের পর থেকেই জামাতের নেতারা ইসলামের নামে যখন যে রকম প্রয়োজন তখন সেরকম ফতোয়া দিচ্ছেন। গত ২৬ অক্টোবর গাজীপুরে জামাতের এক কর্মী সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী ও জামাতের আমির মওলানা মতিউর রহমান নিজামী বলেছেন, ‘জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ হারাম নয় ইসলামের দৃষ্টিতে এটা মোবা (বৈধ)। ইসলামের দৃষ্টিতে নারী নেতৃত্বও হারাম নয়।’ (দৈনিক জনকণ্ঠ, ২৭.১০.২০০১)
‘ইসলামের দৃষ্টিতে নারী নেতৃত্ব হারাম’ এ কথা প্রথম বলেছিলেন জামাতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা মওলানা আবদুল আলা মওদুদী। তিনি তাঁর ‘তাদবীনে দস্তুরে ইসলামী’ গ্রন্থে বলেছেন, ‘নারীদের জন্য রাষ্ট্রপ্রধান ও আইনসভার পদ গ্রহণ করা বৈধ নয়।’ তাঁর ‘ইসলামিক ল এ্যাণ্ড কনস্টিটিউশন’ গ্রন্থেও স্পষ্ট লেখা আছে, ‘কোরাণ ও সুন্নাহ অনুযায়ী নারী কখনও সংসদ নির্বাচনে অথবা সরকারী পদে স্থানলাভের যোগ্য নয়।’ নির্বাচনে প্রচারের জন্য জামাতের হাল আমলের নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী ‘নারী মুক্তি’ নামে একটি অডিও ক্যাসেটে তাঁর ওয়াজ প্রকাশ করেছেন। এই ক্যাসেটে নারীদের সম্পর্কে অশ্লীল সব মন্তব্যের পাশাপাশি ‘নারী নেতৃত্ব হারাম’-এই ফতোয়াও তিনি দিয়েছেন। অথচ ক্ষমতার অংশীদার হওয়ার জন্য নিজামী-সাঈদীরা রাজনীতির মঞ্চে বেগম খালেদা জিয়ার পায়ের কাছে বসতে এতটুকু বিব্রত হননি। জামাতের নীতি হচ্ছে ‘যেনতেন প্রকারেন’ ক্ষমতায় যেতে হবে এবং এর জন্য সব রকম মিথ্যাচার ও মোনাফেকি তাদের জন্য জায়েজ।
গাজীপুরের কর্মীসভায় জামাতের আমির কৃষিমন্ত্রী নিজামী এটা পরিষ্কার করে দিয়েছেন, এবার দায়ে পড়ে বিএনপিকে সমর্থন করলেও আগামী নির্বাচনে তা করবেন না। তিনি বলেছেন, ‘দু একটি মন্ত্রণালয় নিয়ে ইসলামী বিপ্লব হয় না। এ জন্য কৌশল অবলম্বন করে এগুতে হবে। অপছন্দের লোকদের সঙ্গেও ওঠাবসা করতে হয়। এবার ধানের শীষে ভোট দিতে সহায়তা করেছি আগামীতে ইসলামী ভোটার তৈরি করতে হবে। আওয়ামী লীগকে ঠেকাতেই জোট করেছি।’ (প্রাগুক্ত) অপছন্দের লোক বলতে নিজামী নিশ্চয়ই শওকত, অলি, খোকা, আকবর, ওমর, হাফিজদের বুঝিয়েছেন। বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা নেতারা যদিও প্রথম থেকেই জামাতের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার বিরুদ্ধে ছিলেন কিন্তু খালেদার নীতি হচ্ছে কলসীর কানা মারার মতো পুরোনো বাংলা প্রবাদটির মতো।
৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৭ আসন হাতিয়ে নিয়ে জামাত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীও বোলচাল পাল্টে ফেলেছেন। এতকাল যারা গণতন্ত্র সম্পর্কে ‘জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস’ এই ধারণার সমালোচনা করে বলতেন ‘আল্লাহ সকল ক্ষমতার উৎস, জামাত আল্লাহর সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে,’ সেই জামাতের নেতা দে হো সাঈদী গতকাল সংসদের প্রথম অধিবেশনে আবেগের আতিশয্যে বলে ফেললেন, ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। জনগণের রায়ে আমরা ইসলামি রাষ্ট্র কায়েম করতে চাই।’ (ভোরের কাগজ ২৯.১০.২০০১) সাঈদীর এই কথা সত্য হলে বলতেই হবে তাদের আদিগুরু মওদুদী গণতন্ত্র সম্পর্কে যা কিছু বলেছেন সবই মিথ্যে!
গতবার বেগম খালেদা জিয়ার বিএনপি সরকার যখন ক্ষমতায় ছিল তখন সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে হেন কথা নেই যা জামাতীরা বলেনি। খালেদা জিয়ার বর্তমান কৃষিমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী তখন বলেছিলেন ‘দেশে সন্ত্রাস বিস্তারে বিএনপি চ্যাম্পিয়ন,’ (বাংলার বাণী, ২৭.১০.৯৩)। ‘বিসমিল্লাহ্র দোহাই দিয়া ইসলামপ্রিয় জনতার সমর্থন লইয়া ক্ষমতায় গিয়া এই সরকার ইসলামের সামান্যতম মর্যাদাও রক্ষা করিতে পারে নাই,’ (দৈনিক ইত্তেফাক, ১২.১২.৯৫)। ‘গণতন্ত্রের লেবাস পরে কতটা স্বৈরাচারী হওয়া যায় এ সরকার তার দৃষ্টান্ত রেখেছে,’ (দৈনিক সংগ্রাম, ২৭.০২.৯৬)। জামাতের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত আমীর আব্বাস আলী খান বলেছিলেন ‘বিএনপি সরকার সন্ত্রাসকে বৈধতা দিয়েছে,’ (বাংলার বাণী, ১৯.০৭.৯২)। ‘বিএনপি সরকারের অধীনে ইসলাম, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র নিরাপদ নয়,’ (দৈনিক মিল্লাত, ২৯.১০.৯৪)। ‘এই সরকারের আমলে ইসলামের অবমাননা সবচেয়ে বেশি হয়েছে,’ (দৈনিক মিল্লাত, ১০.১১.৯৪)। ‘বিএনপি আবার ক্ষমতায় আসিলে দেশ আর স্বাধীন থাকিবে না’ (দৈনিক ইত্তেফাক, ১৯.০১.৯৬)। ‘বিএনপি সরকার গত পাঁচ বছরে দেশবাসীকে যে শাসন উপহার দিয়েছে তা ছিল মূলতঃ দুর্নীতি ও দুঃশাসন,’ (দৈনিক সংগ্রাম, ২৪.০২.৯৬)। জামাত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী বলেছেন, ‘ক্ষমতায় টিকিয়া থাকার মোহে সরকার যেভাবে ভারতপন্থীদের সামনে নাকেখত দিয়া চলিয়াছেন তাহাতে গোটা জাতি বিস্ময়ে হতবাক।’ (ইত্তেফাক, ২ জুলাই ’৯২) জামাতের আরেক নেতা কাদের মোল্লা বলেছেন, ‘বিএনপি সরকার মিথ্যাবাদী, জনগণের সম্পদহরণকারী নির্লজ্জ সরকার,’ (দৈনিক সংগ্রাম, ২৬.০২.৯৬)। এ ধরনের আরও অনেক কথাই তখন নিজামীরা বলেছিলেন বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে। আজ সেই সরকারের শরিক হয়ে জামাতীরা সেই কাজই করবে খালেদা জিয়ার সরকার যা গতবার করেছে। কারণ বেগম খালেদা জিয়া কিংবা তার কোনও সহযোগী এমন কথা বলেননি যে গতবার তারা অনেক ভুল করেছেন, জামাত মন্ত্রিসভায় থাকলে যা তারা করবেন না।
জামাতের কোন বক্তব্য আমরা সঠিক মনে করবো? শৈশবে উর্দু ক্লাসে একটি প্রবাদ পড়েছিলাম ‘উটরে উট, তেরে কোন কাল সিধি?’ (উটরে উট, তোর কোন অঙ্গ সোজা?) জামাতের নেতারা এখনও বলেননি যে একাত্তরে তারা ভুল করেছিলেন। যদি ধরে নিই একাত্তরে তারা যা বলেছিলেন, মুক্তিযোদ্ধারা হচ্ছে ‘দুষ্কৃতকারী,’ ‘ভারতের জারজ সন্তান,’ ‘ভারতের এজেন্ট’ তাহলে বলতে হবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রধান অধিনায়ক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জেনারেল জিয়াউর রহমান, মেজর জেনারেল (অব:) মীর শওকত আলী, কর্ণেল (অব:) অলি আহমেদ, মেজর (অব:) হাফিজউদ্দীন ও সাদেক হোসেন খোকা সহ খালেদা জিয়ার মন্ত্রিসভার অন্ততপক্ষে দুই ডজন মন্ত্রী ‘ভারতের জারজ সন্তান’ ও ‘দুষ্কৃতকারী।’ জামাতের বক্তব্য অনুযায়ী পাকিস্তান ভেঙে ইসলাম ধ্বংস করার জন্য এঁদেরও দায়ী করতে হয়! কারণ একাত্তরে জামাতের নেতারা একটি কথা বার বার বলতেন যে, পাকিস্তানের বিরোধিতা করার অর্থ হচ্ছে ইসলামের বিরোধিতা করা।
বিএনপি অবশ্য ক্ষমতায় এসেই নানাভাবে এটা প্রমাণ করেছে যে তারা মোটেই ইসলামবিরোধী বা পাকিস্তানবিরোধী নয়, কিন্তু জামাতকে তবু মানানো যায়নি। জামাতের নেতারা ছ’বছর আগেও ক্ষমতাসীন বিএনপি সম্পর্কে বলেছেন, ’ইসলামের দোহাই দিয়া ক্ষমতায় আসিয়া এ সরকার যাহা করিয়াছে অতীতে তাহা কোন সরকার করে নাই।’ (ইত্তেফাক, ১৩ মার্চ, ’৯৫) জামাতের তৎকালীন আমির গোলাম আযম বলেছিলেন, ‘এই সন্ত্রাসী স্বৈরাচারী ও ইসলামবিরোধী বিএনপি সরকারের পতন ঘটিয়ে এদেশের গণতন্ত্রকে নিরাপদ করতে হবে।’ (বাংলার বাণী, ১০ ফেব্র“য়ারী ’৯৬)
জামাতে ইসলামী গত ষাট বছর ধরে কীভাবে মিথ্যাচার ও মোনাফেকির রাজনীতি করছে তার শত শত উদাহরণ দেয়া যায়। সব কিছুই তারা করছে ক্ষমতার জন্য। যে জামাতের গুরু মওলানা মওদুদী এক সময় বলেছেন, ‘গণতান্ত্রিক নির্বাচন বিষাক্ত দুধের মাখনতুল্য,’ (সিয়াসী কাসমকাস, ৩য় খণ্ড, ১ম সংস্করণ, ১৭৭ পৃ:) ‘গণতন্ত্রের মাধ্যমে কোন এসেম্বলীর নির্বাচন প্রার্থী হওয়া ইসলাম অনুযায়ী হারাম,’ (রাসায়েল ও মাসায়েল, ১ম সংস্করণ, পৃ: ৪৫০) এবং ‘নির্বাচনী প্রচারণা শিকারী কুকুরদের দৌড়,’ (কওসর পত্রিকা, ২৮ জানুয়ারি ১৯৫০) সেই জামাত ক্ষমতার জন্য তাদের ভাষায় যাবতীয় হারাম কাজ ও কুকুর দৌড়ে নিষ্ঠার সঙ্গে অংশ নিচ্ছে।
এহেন জামাতের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে বিএনপি বাংলাদেশের জন্য কোন গণতন্ত্র কায়েম করবে, বাঙালি জাতির জন্য কী সর্বনাশ ডেকে আনবে আমরা তা দেখার জন্য গভীর উদ্বেগের সঙ্গে অপেক্ষা করছি।
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কথাটা খুব দরকারী

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ৩১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:৩৪

কথাটা খুব দরকারী
কিনতে গিয়ে তরকারি
লোকটা ছিল সরকারি
বলল থাক দর ভারী।

টাকায় কিনে ডলার
ধরলে চেপে কলার
থাকে কিছু বলার?
স্বর থাকেনা গলার।

ধলা কালা দু'ভাই
ছিল তারা দুবাই
বলল চল ঘানা যাই
চাইলে মন, মানা নাই।

যে কথাটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

অতিরিক্ত বা অতি কম দুটোই সন্দেহের কারণ

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৩০

অনেক দিন গল্প করা হয়না। চলুন আজকে হালকা মেজাজের গল্প করি। সিরিয়াসলি নেয়ার কিছু নেই৷ জোসেফ স্টালিনের গল্প দিয়ে শুরু করা যাক। তিনি দীর্ঘ ২৯ বছর সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধান নেতা ছিলেন। বলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সীমানা পিলার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৮



বৃটিশ কর্তৃক এদেশে ম্যাগনেটিক পিলার স্থাপনের রহস্য।
ম্যাগনেটিক পিলার নিয়ে অনেক গুজব ও জনশ্রুতি আছে, এই প্রাচীন ‘ম্যাগনেটিক পিলার' স্থাপন নিয়ে। কেউ কেউ এটিকে প্রাচীন মূল্যবান ‘ম্যাগনেটিক’ পিলার... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাথায় চাপা ভূত ভূত ভূতং এর দিনগুলি

লিখেছেন শায়মা, ৩১ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫


এই যে চারিদিকে এত শত কাজ কর্ম, ঝামেলা ঝক্কি, ক্লান্তি শ্রান্তি সব টপকে আমার মাথায় আজও চাপে নানান রকম ভূত। এক ভূত না নামতেই আরেক ভূত। ভূতেদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিজের পাসওয়ার্ড অন্যকে দিবেন না ;)

লিখেছেন অপু তানভীর, ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৭



কথায় আছে যে পাসওয়ার্ড এবং জাঙ্গিয়া অন্যকে দিতে নেই । মানুষ হিসাবে, বন্ধু হিসাবে প্রেমিক/প্রেমিকা হিসাবে অথবা আজ্ঞাবহ হওয়ার সুবাদে আমরা অন্যকে ব্যবহার করতে দিই বা দিতে বাধ্য হই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×