somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নিরবিচ্ছিন্নভাবে প্রেম করতে দেওয়ার স্বপক্ষে যুক্তি !!

১৬ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১০:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজকালকার তরুণ-তরুণীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা মুঠোফোনে জেনারেটরের মত ফটফট ফটফট করিয়া কথা বলিতে দেখা যায়। যদিও মুরুব্বিরা এহেন কর্মকাণ্ডের ঘোর বিরোধী তারপরও তাহাদের কাছে আমাদের কর্মের সপক্ষে যুক্তি তুলিয়া ধরছি ।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে বর্তমানে আমাদের জনসংখ্যার ৭ কোটি ১২ লক্ষ ৫৫ হাজার জন ছেলে। আর ৭ কোটি ১০ লক্ষ ৬৫ হাজার জন মেয়ে। এক বধু এক স্বামী নীতি গ্রহন করিলে দেখা যাচ্ছে ১ লক্ষ ৯০ হাজার ছেলের ( খোদা তুমি আমারে এই ১ লক্ষ্য ৪০ হাজার এর ভেতর রাখিও না) কপালে বউ না জুটিয়া লাউ জোটার সম্ভাবনা দেখা দিয়াছে। তাহলে কি এই ১ লক্ষ ৯০ হাজার ছেলেকে অফিসিয়ালি gay বলিয়া ঘোষণা করা হইবে ? আশা করি মুরুব্বীরা এহেন পাপকর্মের লাইসেন্স প্রদান করিবেন না। তাই রিয়েল-এস্টেট কোম্পানিগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে আগে আসলে আগে পাইবেন ভিত্তিতে এখন থেকে বউ বুকিং দেওয়ার কোন বিকল্প নাই।

এবার দেখি আমাদের অফুরন্ত পেয়ার-মহাব্বাতের স্বপক্ষে যুক্তি উপাস্থাপন :

বেকার সমস্যার সমাধান : বাংলাদেশে এমনিতেই বেকারের সংখ্যা হাতে গুনে শেষ করার মতো নয়। প্রথমে আসি ফুল ব্যাবসায়ীদের কথায়। আমরা বয়ফ্রেন্ড- গার্লফ্রেন্ডদের দানের নিমিত্তে প্রত্যাহ অসংখ্য পুষ্প ক্রয় করিয়া থাকি। যদি আমাদের ভালবাসা বন্ধ হইয়া যাই তাহলে আমাদের আর পুষ্প ক্রয় করিতে হইবে না। আর এর ফলে পুষ্পের দোকান সমূহ বন্ধ হইয়া বেকারের সংখ্যা বাডিয়া যাইবে।

সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি : বর্তমানে প্রায় সাতটি মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রয়েছে । যাহারা সারাক্ষন আমাদের "জারা জারা টাচ মি টাচ মি, জারা জারা কিস মি কিস মি কিস মি" শ্লোগানে অনুপ্রানিত করিয়া রাত-দিন সুলভ মুল্যে ইটিশ-পিটিশ করিতে প্রেরনা দান করিয়া যাইতেছে। যেহেতু এসব কোম্পানির দেওয়া বিপুল পরিমান রাজস্ব সরকারের আয়ের অন্যতম খাত বলিয়া বিবেচ্য হইয়া আসিতেছে , তাই আমরা প্রেম-পিরিতি বন্ধ করিয়া দিলে সরকারও রাজস্ব আয় হারিয়ে বেকায়াদায় পরিবে বলিয়া আমাদের বিশ্বাস। দেশের জন্য আমাদের কিছু দায় আছে বৈকি। তাই এহেন ক্ষতি আমরা হইতে দিতে পারিনা।

মাদকমুক্ত সমাজ গঠন : তরুন সমাজকে ধূমপান তথা মাদকের হাত থেকে বাঁচাতে ভালবাসার বিকল্প নাই। লক্ষ্য করিলে দেখা যাইবে , আম্মাজান-আব্বাজানের শত ক্যাচাম্যাচিতেও বীরপুরুষদের ধূমপান কিঞ্ছিত না কমিলেও তার জানেমানের মানে তার দেবীরুপী (ডেকচির তলার
মতো কালা হইলেও ওইটা দেবী) গার্লফ্রেন্ড হুশ করিয়া নিঃশ্বাস ফেলিয়া বারণ করিলেই সুবোধ বালকের মতো ধূমপান ছাড়িয়া দিয়া মুখে আটানা দামের মিল্ক ক্যান্ডি পুরিয়া দিতে দেখা যায়। সুতরাং দেখা যাইতেছে মাদকমুক্ত সমাজ গডিয়া তুলিতে প্রেমিকারা অসামান্য অবদান রাখিয়া
চলিতেছেন ।

প্রযুক্তিগত উন্নয়ন : বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ নিরক্ষর হলেও মোবাইলের ব্যাবহার তথা এসএমএস লিখতে না জানিয়া এবং মোবাইলের ইংরেজি হরফের ডায়াল নম্বর পডিতে না জানিয়া প্রেম করিতে যাওয়া আর প্রেসিডেন্ট ওবামার স্ত্রীর বাথরুমে উকি দিতে যাওয়ার দুঃসাহস দেখাইতে যাওয়া একই কথা। তাই এক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে মানুষকে সচেতন করিয়া তুলিতে প্রেম-পিরিতির অবদান অনস্বীকার্য ।

অপচয় রোধ : প্রেম করিবার সময় ছেলেমেয়েদের বাবা-মায়ের টাকা পয়সার প্রতি তেমন কোন মায়া আছে বলিয়া দেখা যায় না। তাই বাসায় মাঝে মাঝে শুটকি ভর্তা দিয়া ভাত খাইলেও প্রেমিকাকে ঠিকই বাফেট খাওয়াইয়াতে লইয়া যাইতে দেখা যায়। কিন্তু বিবাহের সময় আসিলেই দেখা যায়,তারা নিজদের ভুল বুঝিতে পারে এবং সিদ্ধান্ত নেয় বাবা-মায়ের টাকার এহেন অপচয় তাহারা আর হইতে দিতে পারেন না। তাই পালিয়ে বিয়ে করাটাই সর্বোত্তম উপায় বলিয়া তারা ঠিক করিয়া নেয় । এতদ্বারা তাহারা অনেকগুলো সমস্যার সমাধান করিয়া দেয়। যেমন- পারিবারিকভাবে বিয়ের আয়োজন করিলে ব্যাপকহারে গরু-খাসী-মুরগি জবাই দেওয়া হইবে। আর তরুন সমাজ কখনোই এইভাবে বন্য প্রাণী ধ্বংস করিয়া তাহাদের বিলুপ্তির পথে ঠেলিয়া দিতে পারেনা । তারপর আছে আলোকসজ্জার নামে তাদের প্রানপ্রিয় দেশের বিদ্যুৎশক্তির অপচয়ের বাডাবাডি। এহেন বাডাবাডি রোধ করিতে হইলেও পালিয়ে বিয়ের কোন বিকল্প নেয়। এইভাবেই যুগে-যুগে আমাদের কপোত-কপোতীরা মুরুব্বীদের শত বাধাকে জয় করিয়া নীরবে নিভৃতে দেশের সেবা করিয়া চলিতেছে... (চলিবে)

৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্যাড গাই গুড গাই

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

নেগোশিয়েশনে একটা কৌশল আছে৷ ব্যাড গাই, গুড গাই৷ বিষয়টা কী বিস্তারিত বুঝিয়ে বলছি৷ ধরুন, কোন একজন আসামীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে৷ পারিপার্শ্বিক অবস্থায় বুঝা যায় তার কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

টান

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২২


কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর
বিচ্যুতি ঠেকা‌তে ছু‌টির পাহাড়
দিগন্ত অদূর, ছ‌বি আঁকা মেঘ
হঠাৎ মৃদু হাওয়া বা‌ড়ে গ‌তি‌বেগ
ভাবনা‌দের ঘুরপাক শূণ্যতা তোমার..
কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর।
:(
হাঁটুজ‌লে ঢেউ এ‌সে ভাসাইল বুক
সদ্যযাত্রা দম্প‌তি... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরী

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৯

স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরীঃ


১। নিজের সিভি নিজে লেখা শিখবেন। প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টোমাইজ করার অভ্যাস থাকতে হবে। কম্পিউটারের দোকান থেকে সিভি বানাবেন না। তবে চাইলে, প্রফেশনাল সিভি মেকারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৫

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না
অহনা বলেছিল, আমি জানি আমি তোমাকে পেয়েছি সবখানি
আমি তাই নিশ্চিন্তে হারিয়ে যাই যখন যেখানে খুশি

অহনা বলেছিল, যতটা উদাসীন আমাকে দেখো, তার চেয়ে
বহুগুণ উদাসীন আমি
তোমাকে পাওয়ার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিয়াল ফিলিস্তিনীরা লেজ গুটিয়ে রাফা থেকে পালাচ্ছে কেন?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১১ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০



যখন সারা বিশ্বের মানুষ ফিলিস্তিনীদের পক্ষে ফেটে পড়েছে, যখন জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে সাধারণ সদস্য করার জন্য ভোট নিয়েছে, যখন আমেরিকা বলছে যে, ইসরায়েল সাধারণ ফিলিস্তিনীদের হত্যা করার জন্য আমেরিকান-যুদ্ধাস্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

×