চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় গানসু প্রদেশে দুটি ভূমিকম্পে অন্তত ৮৯ জন নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন ৫শ’রও বেশি মানুষ।
Published : 22 Jul 2013, 10:30 AM
চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়, সোমবার স্থানীয় সময় সকাল পৌনে ৮টায় গানসু প্রদেশের রাজধানী ল্যানঝউ থেকে ১৭০ কিলোমিটার দূরে, মিনজিয়ান ও ঝ্যাংজিয়ান জেলায় ৬ দশমিক ৬ মাত্রার এ ভূমিকম্পটি হয়।
অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ভূমিকম্পের মাত্রা ৫ দশমিক ৯৮ ছিল বলে জানিয়েছে।
সকাল সোয়া ৯টার দিকে একই এলাকায় ৫ দশমিক ৬ মাত্রার আরেকটি পরাঘাত অনুভূত হয় বলে জানিয়েছে সিনহুয়া।
মাত্র আধ ঘন্টার ব্যবধানে সংঘটিত দুটি ভূমিকম্পে দুর্গম পার্বত্য জেলা মিনজিয়ান ও ঝ্যাংজিয়ানের আটটি ছোট শহর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
শহরগুলোর ১২শ’ ভবন ধসে পড়েছে এবং ২১ হাজার ভবন মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানিয়েছে সিনহুয়া।
মিনজিয়ানেই সবচেয়ে বেশি ৭২ জন নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে সিনহুয়া।এলাকাটিতে নিখোঁজ রয়েছে আরো ১৪ জন এবং আহত হয়েছে ৫৮৪ জন।নিহতদের বেশির ভাগই বয়স্ক মানুষ এবং শিশু।
মিনজিয়ান নগর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভূমিকম্প এক মিনিট স্থায়ী হয়।এতে শহরের অধিকাংশ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে মেইচুয়ান ও পুমা এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অপর ক্ষতিগ্রস্থ শহর দিঙশির স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষ সোমবার জানিয়েছে, ভূমিকম্পে ২৭ হাজার মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়েছেন।
গানসুর সরকারি কর্মকর্তারা জানান, ঝ্যাংজিয়ান এলাকায় অন্তত ৫ হাজার ৬০০ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৩৮০টি পুরোপুরি ধসে পড়েছে।
ভূমিকম্পের ফলে বিভিন্ন এলাকায় পোল ভেঙে ও তার ছিড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অনেক স্থানে মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কও কাজ করছে না।
ডিংশি শহরেরও বহু ঘরবাড়ি ভূমিকম্পে ভেঙে পড়েছে বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। অগ্নিনির্বাপক বাহিনী, ৩ হাজার পুলিশ, সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর প্রায় ৩০০ সদস্য এবং হেলিকপ্টার দুর্গত এলাকায় উদ্ধারকাজে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় আরো ৪শ’ ২২টি পরাঘাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিনহুয়া। এর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালীটি ছিল ৫ দশমিক ৬ মাত্রার।
বৃষ্টির কারণে উদ্ধারকাজ বিঘ্নিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর কর্মকর্তারা।
২০০৮ সালে চীনের সিচুয়ান প্রদেশে শক্তিশালী এক ভূমিকম্পে প্রায় ৯০ হাজার মানুষ নিহত হয়।