"প্রথম আলো" বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় সংবাদপত্র । নিজেদের "নিরপেক্ষ সংবাদপত্র" বলে আখ্যায়িত করা এই সংবাদপত্র কি সত্যিই নিরপেক্ষ...??!!
প্রায় ৬ লক্ষ মানুষের সকাল শুরু হয় এই সংবাদপত্র হাতে নিয়ে । কিন্তু ক'জনই পাচ্ছেন সত্যের সন্ধান ? এখন প্রথম আলোই কি "সত্যকে মিথ্যা বানানোর হাতিয়ার নয়"...??
পরিমলের মত এক পশুকে কি তারাই প্রশ্রয় দিচ্ছে না ?
তারা কেন বারবার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীদের দাবিকে রাজনৈতিক চক্রান্ত হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা করছে??
তারা নির্যাতিতার পাশে না দাড়িঁয়ে বরং ধর্ষণকারী ও তার সহযোগীকে সাহায্য করছে...!!
দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা হিসাবে কোথায় তারা একটা ছোট মেয়েকে ন্যায় বিচারে সাহায্য করবে, তারা বরং এমন খবর ছাপানো শুরু করেছে যাতে পরিমলের প্রতি মানুষের সমবেদনা তৈরি হয় ... ধিক্কার ধিক্কার ...
এই কথা উল্লেখ করে প্রথম আলো আসলে কি প্রমান করতে চাইলো?
“২৮ মে মেয়েটি টি-শার্ট ও স্কার্ট পরে একা পড়তে আসে।” এই কথা উল্লেখ করে প্রথম আলো আসলে কি প্রমান করতে চাইলো? মেয়েটার দোষ নাকি পোশাকের দোষ- পোশাকের দোষ হবার কথা না কারণ এরাই তো সাপ্তাহিক সাপ্লিমেন্টে ‘চিপা জিন্স’ এর উপর কাভার স্টোরি করে ।
তাহলে এসবের মানে কি..??!!
"ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা ব্যবস্থায় রাজনৈতিক বা অন্য কোনো মহলের প্রভাব বা হস্তক্ষেপ থেকে থাকলে তা দূর করা প্রয়োজন। পরিচালনা পর্ষদ ও শিক্ষকমণ্ডলীর মধ্যে ক্ষমতা, প্রভাব, প্রতিপত্তি ইত্যাদি নিয়ে দলাদলি বা কায়েমি স্বার্থবাদী ঐক্যবদ্ধতা—কোনোটাই গ্রহণযোগ্য নয়। এটা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্যই প্রযোজ্য। আমাদের মনে রাখা উচিত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আমরা আমাদের সন্তানদের গড়ে তুলছি। দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে তাদের ওপর। কেবল পাঠ্যপুস্তকের বিদ্যা থেকেই তারা শিক্ষা গ্রহণ করছে না, আমাদের প্রতিটি আচরণই তারা লক্ষ করছে। বিদ্যালয় পরিচালনায়, শিক্ষকের দায়িত্ব পালনে—কোনো ক্ষেত্রেই কোনো অন্যায্য, অনৈতিক আচরণ করার সুযোগ যেন না থাকে, তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। অচলাবস্থা কাটিয়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে, সেটাই প্রত্যাশিত। " - প্রথম আলো !!!
মূলত এই "নিরপেক্ষ সংবাদপত্র"-এর সাংবাদিকগণ ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১০০ মিটারের মধ্যেই যায়নি,তাই এই ধরনের মন্তব্য ।
যে পত্রিকাটি বিরোধী দলীয় চীফ হুইপের বায়বীয় ঢিল নিক্ষেপের ছবিটি পর্যন্ত তীক্ষ্ন নজরে রাখার মত সতর্ক, তারা তাদের ৭/৭/২০১১ তারিখের সম্পাদকীয়তে এই নরপশুটির নামটিও ভুলভাবে পরিমল জয়ধরের পরিবর্তে পরিমল মজুমদার লেখে।
আসলে প্রথম আলোর উপরে কোন ধরনের রাজনৈতিক বা অন্য কোনো মহলের প্রভাব বা হস্তক্ষেপ থেকে থাকলে তা দূর করা প্রয়োজন ।