somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হরপিদ দত্ত

১৫ ই জুলাই, ২০১১ বিকাল ৫:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



পলাশীর পতন ও বাঙালি মানস

পলাশীর তথাকথতি যুদ্ধ এবং নবাব সরিাজরে পতনকাল থকেে আজকরে সমকালরে দর্ঘ্যৈ হচ্ছে আড়াইশ বছর। এ আড়াই শতাব্দীর ইতহিাসরে দকিে তাকালে বাঙালরি মানস বশৈষ্ট্যি যমেনি স্পষ্ট হয়ে ওঠ,ে তমেনি এ জনপদরে রাজনতৈকি বাস্তব চত্রিও উš§োচতি হয়। পলাশীর পতনকালে বাংলার রাষ্ট্রশক্তরি অভ্যন্তরভাগরে যে অবস্থা ছলি আজকরে বাস্তবতার সঙ্গে তার আর্শ্চয মলিটাও দখো যায়। রাষ্ট্রশক্তরি ববিচেনার আগে আমরা তাকাতে চাই বাঙালি জাতসিত্তার দকি।ে বষিয়টি খুবই জরুর।ি
বাঙালি জাতরি উদ্ভব-ইতহিাস যতটা কৌতূহলোদ্দীপক ততটাই নর্মিম। নৃ-তাত্ত্বকি বর্বিতন, গঠন-পুর্নগঠনরে ভতের দয়িে আফ্রো-এশীয় কংিবা ইঙ্গ-ইউরোপীয় জাতসিমূহরে উদ্ভব প্রক্রয়িার চয়েে অনকে জটলি বাঙালরি উদ্ভব। ইতহিাসরে এ হঁেয়াল-িপ্রহলেকিার বশৈষ্ট্যি এবং জাতটিরি ভাব আর আচরণরে দকিে তাকয়িইে মধ্যপ্রাচ্যরে মুসলমানরো বাঙালি মুসলমানদরে প্রতি যমেনি নতেবিাচক ধারণা পোষণ কর,ে ঠকি একই ধারণা বাঙালি হন্দিুর প্রতি ভারতীয় হন্দিবিলয়রে র্আয্য-রক্তরে দাবদিার হন্দিুদরে। র্ধমগ্রন্থ বদে তো নয় কবেল, মহাকাব্য মহাভারতও বাঙালি নন্দিায় ভরপুর।
এ কথা মথ্যিা নয় য,ে বাঙালি একটি সংকরজাত।ি হাজার হাজার বছররে নানারকম বপিরীত-বরিুদ্ধমুখী ঘাত-অভঘিাতরে ফলে কখনও শুদ্ধ কখনও বা অশুদ্ধ মশ্রিণ-অভমিশ্রিণে ইতহিাসরে নানা ভাঙনরে ভতের দয়িইে বাঙালরি উদ্ভব। জাতটিরি সংকর রক্তে নয় কবেল, তার সংস্কৃততি,ে বশ্বিাসবোধ আর চন্তিা-চতেনা-আচার-আচরণে পরস্পর বরিুদ্ধ মত ও পথরে মশ্রিণ ঘটছেে বলইে সে এক সংকর সংস্কৃতরিও বাহক-ধারক।
এমনি এক জাতরি সামনইে পলাশীর যুদ্ধে সরিাজরে পতন ভবষ্যিতরে জন্য যে ইঙ্গতি দয়িে যায় তা মোটইে স্পষ্ট হয়ে ওঠনেি জাতটিরি সামন।ে ইতহিাসরে ওই মহাবর্পিযয়কে বাঙালি দখেছেলি উদাস বাউলরে চোখ,ে বোধবুদ্ধশিূন্য চতেনায়। সরিাজরে পরাজয় যে মুসলমানরে পরাজয় নয় কবেল, হন্দিুরও বর্পিযয় তা তৎকালরে হন্দিু সমাজও বুঝতে চায়ন।ি যে ভয়ংকর ভবষ্যিৎ এগয়িে এসছেে ১৯৪৭ সালে দশে ভাঙনরে ভতের দয়ি,ে তার ইতহিাস তো পলাশীর প্রান্তরইে লখো হয়ে যায় সরিাজরে রক্ত।ে সইে রক্তপাতকে তৎকালরে বাঙালি হন্দিু যদি বুঝত তবে ঘটনাটকিে মুসলমানরে পরাজয় বলে নর্বিােধরে তৃপ্তি পতে না। বাংলা বভিক্তরি বীজ তো ইংরজে রোপণ করে দয়ে পলাশীর প্রান্তরইে।
তৎকালরে র্মুশদিাবাদরে, র্বতমানে নদীয়া জলোর প্রান্ত থানা পলাশীর পথ কটেে আমরা ইতহিাসরে র্কাযকারণরে আরও গভীরে যতেে চাই। মীথপ্রয়ি বাঙালরি মীথ ছড়েে ঘটনার অভ্যন্তরে তাকানোই যুক্তযিুক্ত। নবাব সরিাজ বা পলাশীর পতনরে কারণ যে কবেল ব্যক্তবিশিষেরে ষড়যন্ত্র আর বশ্বিাসঘাতকতা নয়, অতরিক্তি কছিু, তাও ভাবতে হব।ে ব্যক্তি এখানে উপলক্ষ, আসল ব্যাপার হচ্ছে বহুমাত্রকি দূরগামী র্কায-কারণ। বুঝতে হব,ে ব্যক্তরি বশ্বিাসঘাতকতা এবং ষড়যন্ত্র কখন সফল হয়। নশ্চিয়ই এসবরে ক্ষত্রে আগইে তরৈি হয়ে থাক।ে ষড়যন্ত্ররে কারণ তো রাজশক্তরি ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, যা রাষ্ট্রযন্ত্ররে অভ্যন্তরীণ ভতিে গভীর থকেে অদৃশ্য-গোপন খাদ তরৈি করে রাখ,ে ঝাঁকুনি খলেইে তা ধসে পড়।ে
আমরা দখেতে পাব অভ্যন্তরীণ বশিৃঙ্খলা, ইংরজেদরে কারণে যুদ্ধ ব্যয়বৃদ্ধি এবং নানা অপচয়ে ঋণগ্রস্ত নবাব আপন অমাত্য সুদব্যবসায়ী অবাঙালি জনৈ র্ধমাবলম্বী জগৎ শঠেরে কাছে হাত পাতছনে দল্লিরি কন্দ্রেীয় সরকারকে কর দয়োর টাকার জন্য। সঙ্গত কারণে প্রথম অসফল ষড়যন্ত্ররে সময় হাতনোতে ধরা পড়লওে নবাব শঠেজকিে পদচ্যুত করতে সক্ষম হনন।ি অন্যদকিে ব্যবসায়কি কর নয়িে নবাবরে সঙ্গে ইস্ট ইন্ডয়িা কোম্পানরি সংঘাত যখন চলছলি, দল্লিরি মুঘল সম্রাট তখন তাদরে বাংলায় বনিা করে ব্যবসার অনুমতি দয়িে রখেছেনে। কন্দ্রেরে এ হঠকারী নীতি পলাশীর বর্পিযয়রে আর একটি কারণ। দল্লিরি মুঘলরো নজিদেরে র্দুবলতা আর চরম অবক্ষয়রে ভতের দয়িে বাংলা-ভারতে ইংরজে বজিয়রে বীজ বপন করে দয়ে।
প্রকৃতপক্ষে পতনরে আগে নবাব সরিাজ-উদ্-দৌলা চারপাশ থকেইে নঃিসঙ্গ হয়ে পড়নে। দল্লিরি মুঘলদরে ভ্রান্ত আচরণ, বাংলার রাজপাটে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে অভ্যন্তর ভাগে ভাঙন-ফাটল এবং নবাবরে প্রজাবচ্ছিন্নিতা কোনটাই মথ্যিা নয়। নবাব সরিাজ বয়সে তরুণ হলওে তার মাতামহ আলীওর্য়াদীর চয়েে যে রাজ্যপাট পরচিালনায় অদক্ষ, অদূরর্দশী ছলিনে, এমন মনে করা নর্রিথক। বরং মৃত্যুর আগে আলীওর্য়াদীর তরৈি বাংলার মসনদরে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব-সংঘাতরে আগুনরে ভতেরে পা ফলেইে মাতামহ কৃত সংকটরে দায়ভার নজিরে কাঁধে নয়িে সরিাজকে নবাব হতে হয়। সরিাজরে ব্যক্তগিত র্শৌয-সাহসরে যে অভাব ছলি না তার প্রমাণ মলেে বশে ক’টি যুদ্ধে ইংরজেদরে পরাজতি করায়। নবাবরে র্দুভাগ্য এই য,ে মাতামহ তাকে এমন এক জনগোষ্ঠীর শাসক করে গলেনে যারা চরত্রিবলে অদৃঢ়, আÍকন্দ্রেকি, সংসার-উদাসীন এবং রক্তধারায় বহন করছে পরস্পরবরিোধী কৌমচতেনার অনক্যৈ বশৈষ্ট্যি।
নবাবরে সনোবাহনিীতে ভীতু, যুদ্ধে অনাসক্ত ভাবুক বাঙালরিা স্থান পায়ন।ি সনোবাহনিীর সঙ্গে স্থানীয় বাঙালরি সুসর্ম্পক বা যোগাযোগও গড়ে ওঠনে।ি নবাবরে অবাঙালি সনোবাহনিীর সঙ্গে যদি স্থানীয় প্রজা বাঙালরি যোগাযোগ স্থাপতি হতো তবে বাংলার ইতহিাস হয়তো অন্যরকম হতো। অবাঙালি পাঠান, জাট, মারাঠী, রাজপুত ইত্যাদি জনগোষ্ঠীর হন্দিু-মুসলমান সনৈকিরো বাঙালি প্রজার কাছে ছলি দূররে মানুষ, অনাÍীয়। তাছাড়া বৃদ্ধ-প্রাচীন মন্ত্রণাদাতা অমাত্যরা তথা রাজকীয় আমলাতন্ত্র ছলি নবাব আলীওর্য়াদী যুগরে। তরুণ নবাব সরিাজরে সঙ্গে তাদরে মতান্তর ছলি অনবর্িায। মাতামহরে রখে-েযাওয়া প্রশাসনকি এই প্রবীণ আমলাতন্ত্রই ছলি সরিাজরে সবচয়েে বড় শত্র“। বনেয়িা ইংরজেকে আলীওর্য়াদী যতটা বুঝতে পরেছেলিনে তার চয়েওে স্পষ্ট বুঝছেলিনে নবাব সরিাজ। মাতামহরে জীবদ্দশাতইে যে ওই ঔপনবিশেকি শক্তি বনেয়িা ছদ্মবশেে জাল বছিয়িে বাংলাকে ঘরিে ফলেছে,ে তা ছলি সরিাজরে কাছে পরষ্কিার। এটাও তনিি বুঝতে পারনে য,ে উপনবিশেবাদ অমাত্যদরে মাধ্যমে তার ঘরে ঢুকে গছে।ে কন্তিু তার কছিুই করার ছলি না। একদকিে দল্লিরি অপর্দাথ কন্দ্রেীয় শক্ত,ি অন্যদকিে আলীওর্য়াদীর রখে-েযাওয়া চতুর র্স্বাথবাদী ইংরজেরে দালাল আমলারা তরুণ নবাবকে রাষ্ট্রযন্ত্র থকেে বচ্ছিন্নি করে ফলে।ে
এ কথাও পরম সত্য য,ে উচ্চর্বগরে হন্দিু সমাজরে যমেন,ি ঠকি তমেনি উচ্চশ্রণেীর মুসলমান সমাজরে প্রভাব ছলি নবাব দরবার।ে কন্তিু বৃহৎ বাঙালি সমাজরে হন্দিু-মুসলমানরে সঙ্গে নবাব সরিাজরে সর্ম্পক ছলি করদাতা আর গ্রহীতার, এর বাইরে নয়। কবেল হন্দিু নয়, মুসলমান কৃষক-প্রজা সমাজও নবাবকে আপন ভাবতে পারনে।ি বাঙালি প্রজারা তো চরিকালই রাজশক্তি সর্ম্পকে ছলি নরিাসক্ত। রাজার র্ধম, র্বণ, ভাষা, সংস্কৃতি নয়িে তারা ভাবতি ছলি না। কে রাজা, সইে পরচিয়রে বাইরে র্বণবভিক্ত বাঙালি হন্দিু সমাজে রাজা বা শাসক হচ্ছনে ঈশ্বররে অবতার। বখতয়িার খলিজকিওে ভাবা হতো জগতরে শষে অবতার, কল্কি অবতার রূপ।ে রাজার ওপর ঐশী শক্তি বা দবেত্ব আরোপ করইে তারা প্রশান্তি খুঁজত। এ বশ্বিাসইে শাসককে শাসতিরা অনাÍীয় করে দূরে সরয়িে রখেছেলি। অন্যদকিে মুসলমান প্রজারাও বশ্বিাস করত শাসক বা আমীর হচ্ছনে খোদা র্কতৃক মোমনেদরে জন্য নর্বিাচতি। তাই তনিি শ্রদ্ধার বট,ে কন্তিু দূররে অনাÍীয়।
এ বাংলায় অতীতে রাজা-প্রজা তথা শাসক আর শাসতিরে বচ্ছিন্নিতা বৃদ্ধি করার প্ররোচনা দয়ে ভাষার অনক্যৈ। পলাশীর সহজ পতন এবং পরর্বতী সময়ে গণ বা প্রজাপ্রতরিোধ সংগঠতি না হওয়ার পছেনে রাজা-প্রজার এই ভাষা র্পাথক্যরেও বশে র্কাযকর ভূমকিা ছলি। প্রজার ভাষা বাংলা, নবাবরে ভাষা ফারস,ি অমাত্যদরেও তাই। নবাবরে সন্যৈদরে ভাষাও ফারসি কংিবা বকিাশমান হন্দি-ির্উদু। নবাবরে প্রশাসনকিমণ্ডলীতে যে অভজিাত হন্দিু-মুসলমানরো ছলি তারা তার কথা বুঝলওে জনগণ ছলি স-েভাষায় অজ্ঞ। ভাষার এ অনাÍীয়তা শাসক থকেে শাসতিকে বচ্ছিন্নি করে রাখ।ে পলাশফুল গাছে আচ্ছাদতি পলাশীর আমবাগানে শবিরি স্থাপন-করা ইংরজে সন্যৈদরে ভাষার মতোই নবাবরে সপোইদরে ভাষাও অবোধ্য ছলি স্থানীয় বাঙালরি কাছ।ে
অন্যদকিে বষিয়টকিে দখেতে হবে এভাবওে য,ে যুদ্ধক্ষত্রেে ব্যবহƒত হোক চাই না হোক, এ কথা মথ্যিে নয়, ইংরজেরে অস্ত্র ছলি আধুনকি। কামান, গোলা, বারুদ, বন্দুক নবাবরেও ছলি, অথচ নবাব নজিে ছলিনে তরবারধিারী, যা তার যুদ্ধরে পোশাকরে সঙ্গইে মানায়, যুদ্ধরে সঙ্গে নয়। দশেীয় র্কমকারদরে তরৈি কামান যে ইংরজেরে কামানরে চয়েে শক্তশিালী ছলি না, এ তো বাস্তব সত্য। তাছাড়া নবাবরে যৎসামান্য বন্দুকও ফরাসদিরে কাছ থকেে কনো। এ বাস্তবতার পরও যুদ্ধটা যদি প্রকৃতই হতো তা হল নবাববাহনিীর সংখ্যাধক্যিরে কারণে ইংরজেরে পরাজয় ছলি অনবর্িায।
পলাশীর বর্পিযয়রে ভতের দয়িে বাংলার অবধৈ শাসনরে বধৈ শাসন-সনদ তো ইংরজেরো লাভ করে মুঘলদরে হাত থকেইে, পরাজতি বাঙালরি হাত থকেে নয়। বদিশেী ইংরজে শক্তি দ্বারা বাংলা যখন আক্রান্ত এবং বর্পিযস্ত হল, তখন দল্লিরি মসনদে বসে মুঘলরা কি করছলি? সংবাদ পয়েওে তারা কনে সন্যৈ পাঠাল না ইংরজে প্রতরিোধ?ে বদ্রিোহ দমনরে নামে তারা যদি ঈশা খাঁর বরিুদ্ধে বশিাল বাহনিীসহ মানসংিহকে পাঠাতে পারে তবে সরিাজরে পক্ষে পাঠাল না কনে?
বাঙালি তখন কি করছলি? স্বাধীনতা হারয়িে গলে, কন্তিু ভাবরে জগতে ডুবে আÍভোলা বাঙালি গাইছে পদাবলী র্কীতন, রাধার বরিহে ফলেছে চোখরে জল। রাম প্রসাদরে কণ্ঠে কণ্ঠ মলিয়িে গঙ্গা-ভাগীরথীর বটরে তলায় বসে গাইছে তারা শ্যামা সঙ্গীতÑ ‘চাই না মা রাজা হত.ে..।’ ইংরজেরে হাতে যখন বাংলার রাজা আর রাজ্য চলে গলে তখন অন্যদল বাউলরে ভাবরে জগতে ডুবে অনুসন্ধান করছÑে ‘মারফতরে ভদে জানি না মাওলা, শরয়িত খুঁজে মর.ি..।’ অথচ কি মহাবর্পিযয় ঘটে যাচ্ছে রাষ্ট্রজীবন,ে বাঙালি টরেও পলে না। এ জনগোষ্ঠী তো অনুগত প্রজা হয়ইে শান্ততি,ে নর্বিরিোধ,ে নরিাপদ দূরত্বে পালয়িে বাঁচতে চায়। মাতৃভূমি স্বাধীন কি পরাধীন, রাজা হন্দিু না মুসলমান, সাদা না কালো, ইংরজে না র্পতুগজি, সইে বোধ তো ডুবে ছলি সংসার নরিাসক্তরি অন্ধকার।ে কখনও যদি নরিুপায় হয়ে আÍরক্ষার কথা ভাবত তবে তারা আশ্রয় নতি যন্ত্ররে বদলে তন্ত্র-মন্ত্র।ে মন্ত্ররে ‘বাণ’ মরেে শত্র“ নধিনরে র্ব্যথ চষ্টো করে যতে। আরকে দল আশ্রয় নতি কুফরি কালাম,ে শয়তানকে বশীভূত করে র্কাযসাধন।ে
ওই যে ইতহিাসরে খলনায়ক, পলাশীর অভনিতোরা, তারা কি ছলি বাঙালরি আÍার আÍীয়? অবাঙালি শয়িা মুসলমান মীর জাফর, অবাঙালি জনৈর্ধমী জগৎ শঠে এবং অবাঙালি হন্দিু রাজবল্লভ কোন দোষে ভাবতে যাবে বাঙালরি সুখ-দুঃখরে কথা? ব্যক্তস্বর্িাথরে বাইরে সমষ্টগিত র্স্বাথকে ওরা চনেে না। তাদরেই তো উত্তরসূরি আজকরে বাংলাদশেরে শাসকশ্রণেীর রাজনীতকি এবং প্রশাসনকি আমলার দল, যারা দশেরে র্স্বাথ বকিয়িে বদিশেীদরে হাতে তুলে দতিে চায় তলে-গ্যাসসহ সামুদ্রকি বন্দর। সদেনি যমেনি ছলি সামনে ক্লাইভ আর ইস্ট ইন্ডয়িা কোম্পান,ি পছেনে ব্রটিশি উপনবিশেবাদ, আজকওে তলে-গ্যাস প্রশ্নে সামনে বদিশেী ব্যবসায়ীশ্রণেী, পছেন-েআড়ালে রয়ছেে র্মাকনি সাম্রাজ্যবাদ।
একাত্তররে যুদ্ধ, এত বড় জাতীয় বর্পিযয়, দুঃখ-কষ্ট, তারপরও যদি জাতীয় দায়ত্বি সর্ম্পকে বাঙালি এতটা উদাসীন হয়ে থাকল, তবে তার ভবষ্যিৎ ক?ি পলাশী যুগরে আমলাতন্ত্র আর আজকরে আমলাতন্ত্ররে মধ্যে সাম্রাজ্যবাদ কি কোন র্পাথক্য খুঁজে পায়? পায় না। সদেনিরে বাংলার মসনদরে পাশে যে মীর জাফর আর জগৎ শঠেরো ছলি, আজও তো তারাই আছ।ে সইে আমলাতন্ত্র তথা অমাত্যশ্রণেীকে সাম্রাজ্যবাদ ভালো করইে চনে-েজান।ে বাঙালি সর্ম্পকওে তাদরে জানাজানি বাকি থাকনে।ি সদেনি বাংলার ঘাটে ঘাটে বাণজ্যিতরী ভড়িয়িে নগর-েবন্দরে গাঁয়-েগঞ্জে বাণজ্যি করতে গয়িে বাঙালরি র্দুবলতার জায়গাটি তারা জনেে যায়। ইংরজে বণকিরো দখেতে পায় বাঙালি কূপমণ্ডুক এক জাত।ি আপন গ্রামরে বাইররে জগৎ সর্ম্পকে সে কছিুই জানে না। গ্রামান্তরওে যায় না। চনেে না সমুদ্র, জানে না জাহাজ কি বস্তু, তার আছে কাঠরে ডঙিি নৌকা, তালগাছরে ভলো। ওরা চনেে কবেল কৃষভিূমি আর ফসল।
বস্মিতি ইংরজে বণকিরো দখেছেে বাঙালি কবেল ক্রতো। ব্যবসায়ী নয়। ব্যবসা জগৎ শঠেদরে হাত।ে বাঙালরি প্রাচীন বন্দরে যারা বাণজ্যি করছেে ওরা অবাঙাল,ি বাঙালি কবেল কাঁচামাল বা কৃষপিণ্য উৎপাদনকারী। ইংরজেরা দখেছেে তাদরে বাষ্পীয় ইঞ্জনিচালতি জাহাজ যখন বাণজ্যি পণ্য নয়িে নদীর ঘাটে ভড়িছেে কংিবা সদ্যতরৈি রলেলাইন ধরে স্টশেনে থমেছেে বাষ্পচালতি গাড়,ি ন্যাংটো আধা-ন্যাংটো বাঙালি তখন নরিাপদ দূরে দাঁড়য়িে গাছরে আড়াল থকেে ঈশ্বররে অলৌককি মহমিার কথা ভবেে হাতজোড় করে জানাচ্ছে প্রণাম। নশ্চিয়ই তখন ভর্য়াত-বস্মিতি বাঙালরি চোখরে ভতের, স্বপ্নরে ভতের ভসেে বড়োচ্ছলি র্স্বগীয় অলৌককি পঙ্খীরাজ ঘোড়া কংিবা বোররাখ।
এই বাঙালি আবার বড় রসকি। লজ্জার কথা ভুলে নজিরোই নজিদেরে নয়িে প্রবাদ-প্রবচন তরৈি কর।ে প্রাচীন সইেসব প্রবাদ আজও টকিে আছ।ে ‘ব্যাঙ যমেনি পাল্লায় তুলে একত্র করে মাপা যায় না, বাঙালকিওে ঐক্যবদ্ধ রাখা যায় না।’ নশ্চিয়ই এই প্রবাদটি আঞ্চলকি ভাষায় তরৈি হয়ছেলি, আধুনকি ভদ্রলোক বাঙালি এর ভাষাটা বদলে দয়িছে।ে কনে এমন বশৈষ্ট্যি হল জাতটিরি? হয়তো এর মূলে রয়ছেে তাদরে প্রাচীন আঞ্চলকি কৌম বা গোষ্ঠীচতেনা। বচিত্রি বশৈষ্ট্যিরে বচিত্রি নানা কৌম-গোষ্ঠীর বংশানুক্রমকি জনি বশৈষ্ট্যি তাদরে চরত্রি বা মননকে নয়িন্ত্রণ কর।ে এ অনক্যৈ বা বচ্ছিন্নিতা কবেল যে রাষ্ট্র বা সমাজজীবন,ে এমন নয়। ব্যক্তজিীবনওে। এমন আÍ-বচ্ছিন্নি নরগোষ্ঠী দুষ্প্রাপ্য। যুক্তরি খাতরিে বলতে হয়, যে জাতি র্ধমরে প্রশ্নে ’৪৭-এর পরস্পর থকেে বচ্ছিন্নি হয়ে গলে, সে জাতইি ভাষার প্রশ্নে আবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে যায়। ’৭১-এ আÍরর্ক্ষাথে মাত্র ক’মাসরে জন্য বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হয়ছেলি। ক্ষণস্থায়ী হলওে ঐক্যরে ব্যাপারে এমন ঘটনা জাতটিরি হাজার বছররে ঠকিুজতিে নইে। ’৭০-এর নর্বিাচনে যে ঐক্যটা দখেতে পাই তা অংকরে হসিাবে শতকরা ৬০-৭০ জনমতরে ঐক্য। ’৭১-এ ঐক্যরে পারদ ওঠে যায় শতকরা ৯০-এ। আবার ’৭৪-এ ঐক্যরে পারদটাই মনে হল অদৃশ্য হয়ে গছে।ে
ওই অনক্যৈটা আসে স্বাধীনতার নামে লুণ্ঠন করতে গয়ি।ে এই রাষ্ট্র-লুণ্ঠনস্পৃহা তো বাঙালি লাভ করছেে তার সাবকে শাসক ব্রটিশি ঔপনবিশেকি এবং পরে পাকস্তিানি আঞ্চলকি লুণ্ঠনকারীদরে দখেশেুন।ে কন্তিু বদিশেীরা বাঙালদিরে সম্পদ লুণ্ঠন করলওে স্বাধীনতা-উত্তর বাঙালি নজিইে নজিরে জাতীয় সম্পদ লুণ্ঠন করতে শুরু কর।ে জাতটিরি তো আর উপনবিশে নইে যখোনে সে তা করতে পার।ে দখেশেুনে মনে হয়, বাঙালরি যদি ঔপনবিশেকি শক্তি হসিবেে আবর্ভিাব ঘটত, তবে সে আজ বশ্বি-লুটরো হসিবেে পরচিতি হতো। আজকরে সামাজকি, রাজনতৈকি, র্অথনতৈকি বাস্তবতা তো তা-ই বল।ে
তবে কি বাঙালরি অনক্যৈরে বশৈষ্ট্যি নৃ-তাত্ত্বকি সূত্রে আবদ্ধ? এই জাতরি প্রাচীন ইতহিাস সাক্ষ্য দয়ে, উত্তর, দক্ষণি, র্পূব আর পশ্চমি ভূ-সীমানা র্অথাৎ গৌড়, পুণ্ড্র, রাঢ় জনপদগুলোর গঠন বা ঐতহিাসকি উপাদান এক নয়। তাই ইতহিাসরে বশিষে আর্বতে বশিষে উদ্দশ্যেে বচ্ছিন্নি জনপদগুলো শাসক নৃপতদিরে তরবাররি দাপটে একত্রতি হয়ে বৃহৎ রাজ্যে রূপ নলিওে, আজও বাঙালি আপন আঞ্চলকি সত্তাকে বৃহৎসত্তায় বলিীন করে দতিে নারাজ। এই আঞ্চলকি সত্তার বচ্ছিন্নিতাই বাঙালরি অনক্যৈরে মূল।ে দৃশ্য-অদৃশ্য অর্ন্তবরিোধ চলছে হাজার হাজার বছর ধরে আজও। রাষ্ট্রনায়করো বা জাতরি মধো-মনন-প্রজ্ঞার নায়করো যতই স্বপ্ন দখেুন বৃহৎ জাতসিত্তার সাংস্কৃতকি ঐক্যরে, তা র্অজতি হচ্ছে না। আঞ্চলকি জাতসিত্তার কথা বাদই দলিাম, এই বাংলাদশেে কত প্রকার আঞ্চলকি বাংলা, উচ্চারণরীত,ি আঞ্চলকি শব্দ রয়ছে?ে বহু থকেে বহুতর। যদি বলা যায়, ভাষা কনে, আচার-আচরণ, খাদ্যাভ্যাস, কৃষ,ি শল্পি এবং সাংস্কৃতকি আচরণ অনুষ্ঠান কি এক? সলিটে, চট্টগ্রাম, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসংিহ, যশোর খুলনার মানুষ কি আপন আঞ্চলকি সত্তাকে বর্সিজন দবে?ে আঞ্চলকি এই চতেনা তো রাজনীততিওে র্বতমান। নতো বা প্রতনিধিি নর্বিাচনে অংশগ্রহণকারীর জš§স্থানরে জনগণ কনে আর্দশরে চয়েে ব্যক্তকিইে বড় মনে কর?ে আঞ্চলকিতা কি শুনতে চায় রাজনীতরি বড় বড় বুল?ি
বাঙালি একান্তভাবইে কৃষি বা ভূমনির্ভির জাত।ি কৃষভিূমরি অভাব, উদ্বৃত্ত শ্রম, বকোরত্ব গ্রামীণ মানুষকে বাঁচার তাগদিে গ্রাম পরত্যিাগ করে শহর কংিবা দূর প্রবাসজীবনরে প্রতি আকৃষ্ট করছ।ে কন্তিু ভূমরি প্রতি আর্কষণ শথিলি হয় না। তাই তো নাগরকি বত্তি-র্অথরে গ্রামযাত্রা আজও কমনে।ি বাঙালরি ভতের যে হতাশা আর আÍবচ্ছিন্নিতা দখো যায় তার সূত্রপাত প্রাচীনকালরে সইে ভূমহিীন অবস্থা বা ভূমবিচ্ছিন্নিতা। আধুনকি বাঙালরি নতোভক্তি ও ব্যক্তশিাসকরে প্রতি বশ্বিাস-শ্রদ্ধা-আনুগত্য-বশ্যতা প্রাচীন গোত্রতন্ত্র, রাজতন্ত্র, সামন্ততন্ত্ররে স্মৃতবিাহী। ওই যে দস্যু-ডাকাত-নর্দিয়-নষ্ঠিুর-স্বজাত-িবজিাত-িয-েই হোক, রাজার প্রতি আনুগত্য তো র্ধমরে মতোই পবত্রি র্কতব্য। এই র্দুবলতা র্অথাৎ প্রাচীনকালরে রাজা বা সামন্ত প্রভুর প্রতি অন্ধ আনুগত্যরে আধুনকি রূপান্তর হচ্ছে আঞ্চলকি বা জাতীয় নর্বিাচনে অঞ্চলসীমানার ভতের থকেে দস্যুকে জননায়ক হসিবেে নর্বিাচতি করা। কৌম চতেনার এই জটলি বন্ধন কি কোন কালে ছন্নি হব?ে
কূপমণ্ডুকতা এবং ভোগবাদ চরিকালই বাঙালরি বড় আশ্রয়। একান্ত কৃষনির্ভিরতাই এর প্রধান কারণ। কৃষনির্ভির, জীবনযুদ্ধে পরাজতি, ভাগ্যনর্ভির, ঈশ্বর-শাসনে ভীত এই জাতরি সবটুকু র্দুবলতাই জনেে যায় ইংরজেরো। এই আধুনকি যুগে আজও সংখ্যাগরষ্ঠি বাঙালরি কাছে মাটি আর ফসল ছাড়া আÍরক্ষা আর আÍপ্রতষ্ঠিার অন্যপথ অজ্ঞাত। জীবন যখোনে মাটসিংলগ্ন সখোনে আÍকন্দ্রেকিতা বৃদ্ধি পাবইে, নঃিশষে হবে না ভাগ্যনর্ভিরতা। আÍশক্তি বা উদ্যম তো দূর স্বপ্নলোকরে। সীমাহীন দারদ্র্যি, ক্ষুধা, অকাল মৃত্যু আর ঈশ্বর ছাড়া যার চন্তিা ও অভজ্ঞিতার জগত শূন্য, তার তো দ্বতিীয় বা বকিল্প আশ্রয়রে সংবাদ জানার কথা নয়। তাই যাকে কর হসিবেে শস্য বা পণ্য দান করতে বাধ্য ছলি অতীতে এই জনগোষ্ঠী, সইে শাসকরে জাত-র্ধম-ভাষা বা নতৈকি চরত্রি নয়িে কোন ভাবনাই ছলি না বাঙালরি। যে বাঙালি আপন ভটিরে বাইরে গ্রামান্তরে যায়ন,ি রাজনগররে পথ ছলি যার অজানা, সে যখন শুনল সাতসমুদ্দুর তরে নদী পরেয়িে সাদা র্বণরে এক মানব জাতি এসছেে এই ভূমতি,ে যার মুখরে বুলি মানুষরে নয়, র্স্বগরে ঈশ্বররে মতো, সে তখন বস্মিয়ে বমিূঢ় হয়ে পড়ল। দুশমন ভবেে প্রতরিোধ করা তো দূররে কথা। তারা তাই সইে সাদা র্বণরে মানুষগুলোর ওপর দবেত্ব, প্রভুত্ব, আনুগত্য আরোপ করতে দরেি করনে।ি
এই বাঙালি তাদরে রাজা (নবাব) সরিাজরে ভাষা বুঝতে না পারলওে, নবাব যে প্রজার ভাষা বুঝতনে না এমন নয়। না-বুঝলে কমেন করে তনিি সাধক কবি রামপ্রসাদরে গানরে কথা ও সুরে মুগ্ধ হয়ছেলিনে? একান্ত কাছে পাওয়ার জন্য র্মুশদিাবাদরে রাজনগরইে সাধকরে জন্য কালীমন্দরি তরৈি করে দতিে রাজি ছলিনে তনি।ি গঙ্গায় বজরায় ভ্রমণরে সময় ঘাটে øানরত রামপ্রসাদরে কণ্ঠে শ্যামা সঙ্গীত শুনে যে নবাব বমিুগ্ধ হয়ছেলিনে, তনিি যে বাংলাভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছলিনে, এ তো মথ্যিে নয়। যার দরবার র্পূণ ছলি হন্দিু অমাত্য,ে তার র্ধমনরিপক্ষে উদার মনোভাবরে পরচিয়রে জন্য ইতহিাস ঘাঁটতে হবে ক?ি অথচ জীবন নরিাসক্ত, সংসারযোগী বাঙালি চয়েে চয়েে দখেল তাদরে নবাবকে হত্যা কর,ে হাতরি পঠিে লাশ ঝুলয়িে ধীর, অতি ধীরগততিে নগর প্রদক্ষণি করানো হচ্ছ।ে না, বাঙালরি কোন প্রতক্রিয়িাই হল না। সরিাজরে রক্তরে প্রতি যে বাঙালি কাপুরুষ আর অপৌরুষ, গোলামী আর নষ্ক্রিয়িতার দৃষ্টান্ত রাখল, তার ভাবীকাল তো অতীতরে ইতহিাসইে লখো রয়ছে।ে তা না হলে কনে বারবার ইতহিাসরে পুনরাবৃত্তি ঘটবে আজও?
মনে করা হয়ছেলি ইসলামরে আগমনরে ভতের দয়িে এই বাংলায় এমন এক সংস্কৃতমিনস্ক জাতরি আবর্ভিাব ঘটবে যে পাল্টে দবেে হাজার বছররে সব র্জীণতা। অথচ তা ঘটল না। ইসলাম এমন এক বাঙালি নৃ-গোষ্ঠীর মুখোমুখি এসে দাঁড়াল, যারা জীবন সর্ম্পকে উদাসীন, একান্তই গৃহাশ্রয়ী এবং দুঃখবলিাসী। অথচ এরাই ইন্দ্রয়ি আসক্ত সংর্কীণ ভোগকাতর। র্বণবাদে শতধাবভিক্ত। র্ধম-বদলরে পরওে র্বণাশ্রয়ীই থকেে যায়। ইসলাম গ্রহণ করল বট,ে ছাড়ল না র্বণবশ্বিাস, আশরাফ আর আতরাফরে প্রশ্ন। তথাকথতি আরব আভজিাত্য, গোত্র শ্রষ্ঠেত্ব, যা মহানবী (সাঃ) তাঁর শষে হজরে দনি আরাফাতরে ময়দানে দাঁড়য়িে বাতলি বলে ঘোষণা করে সাম্যরে পতাকা উড়য়িছেলিনে, তাঁর পরর্বতী সময়ে যা আবার ফরিে আস,ে তারই ধারাবাহকিতা বাংলায় মুসলমি র্বণবাদ।
হন্দিু-মুসলমান নর্বিশিষেে বাঙালরি যে জবৈবশৈষ্ট্যি, তা হচ্ছে জীবনউদাসীনতা, পতিৃতান্ত্রকিতা এবং নারীর প্রতি আসক্ত।ি এই ইন্দ্রয়ি আসক্তরি প্রাচীন নর্দিশন হচ্ছে র্ধম আর আধ্যাÍবাদরে নামে কায়াসাধন, তন্ত্রসাধন। উদ্দশ্যে দুঃখ থকেে মুক্তলিাভ। ওই সাধন-মুক্তরি নামে নারীর প্রতি আসক্তি মধ্যযুগে বাউল বা সহজয়িা নানা মতরে সাধন পদ্ধততিে স্পষ্ট। সব সাধন প্রক্রয়িায়ই নারী হয়ে ওঠে সাধন-সঙ্গনিী। ববিাহ কংিবা ববিাহবহর্ভিূত এই তান্ত্রকি সর্ম্পকে নারী কখনও পুরুষ সাধকরে মায়রে স্থান দখল কর,ে কখনও দবেীর স্থান, কন্তিু যৌনতাই প্রধান।
সম্ভোগরে ভতের এই যে মুক্তি লাভরে কুহক, তা থকেে বাঙালি আজও মুক্তি পায়ন।ি আÍবরৈাগ্য বলিাসী এই জাতি কন্তিু সংসারবরৈাগ্য গ্রহণে অনচ্ছিুক। যে র্ধম-র্দশন মানবজীবনকে র্সবদুঃখরে হতেু এবং অন্ধমায়া মনে করে সংসার জীবনকে ঘৃণা এবং অস্বীকার করে পরত্যিাগ করছে,ে সইে আÍনগ্রিহরে জনৈ এবং বৌদ্ধর্ধম কন্তিু গ্রহণ করল না বাঙাল।ি গৌতম বুদ্ধরে মহানর্বিাণ তাই বাঙালি চত্তিে কৌতূহল সৃষ্টি করলওে গ্রহণে আগ্রহ জাগায়ন।ি
প্রচণ্ড হƒদয়াবগে এবং ইন্দ্রয়ি আসক্ততিে ডুবন্ত এই জাতি ব্রাহ্মণ্যবাদরে নর্দিয় র্বণবাদী অপমানকর জীবনে প্রশান্তরি আশ্রয় খুঁজছেে ইন্দ্রয়িভোগরে সামাজকি আর পারবিারকি অধকিার।ে ব্রাহ্মণ্যবাদী মনুষ্যত্ববরিোধী র্বণাশ্রমশ্রণেীর ঘৃণ্য জীবন থকেে মুক্তরি জন্য বাঙালরিা ইসলাম র্ধম গ্রহণ করছে,ে তা একটি মাত্র সত্য। অপর সত্যটি হচ্ছে ইসলামরে বরৈাগ্যবরিোধতিা এবং পরকালরে পাশাপাশি ইহকালরে স্বীকৃত।ি ইসলামরে ইহকালবাদ, তথাকথতি মুক্তরি নামে আÍনগ্রিহরে বরৈাগ্যরে প্রতি অনাস্থা, সংসার বন্ধন এবং ইন্দ্রয়ি পরতিৃপ্তরি মধ্য দয়িে র্ধমসাধন পদ্ধতি র্বণবাদে নষ্পিষেতি বাঙালরি একাংশকে আকৃষ্ট করছে।ে ওদকিে বষ্ণৈবরে রাধাকৃষ্ণরে দহেলীলা, বাউলরে দহোশ্রয়ী সাধন পদ্ধতি আজও বাঙালকিে আর্কষণ কর।ে এসব তো এমন এক র্ধম পদ্ধতি যা জীবনকে দয়ে ইন্দ্রয়ি সুখভোগরে অধকিার, কন্তিু উদাসীন করে রাখে এবং অমনোযোগী হতে উৎসাহ যোগায় সামাজকি ও রাষ্ট্রীয় র্কতব্য।ে
উনশি শতকে কলকাতাকন্দ্রেকি বাঙালরি জ্ঞান-বজ্ঞিান তথা বুদ্ধবিৃত্তরি র্চচা মূলত কন্দ্রেীভূত ছলি উচ্চর্বগরে হন্দিুশ্রণেীর ভতের। এক্ষত্রেে সংখ্যাগরষ্ঠি নচিু বা মধ্যমর্বগ হন্দিুরা যমেন, তমেনি বঞ্চতি ছলি মুসলমান সমাজ, বশিষে করে র্পূববঙ্গরে মুসলমান। র্অথনতৈকি কারণ তো বটইে, তার ওপর আশরাফ মুসলমিরে ইংরজেি ভাষাবদ্বিষেও এর জন্য দায়ী। আরও একটি বাস্তব সত্য হচ্ছে জাতবিরৈী হন্দিু মানসকিতা। উচ্চর্বগরে হন্দিু সম্প্রদায় দখল করছেলি শক্ষিাপ্রতষ্ঠিানগুলো। সইে সমাজ নচিুর্বণরে হন্দিু এবং মুসলমানদরে শক্ষিার অধকিারকে অস্বীকার কর।ে মুসলমান এবং নুির্বণরে হন্দিুর শক্ষিার কৌতূহল এবং প্রত্যাশার প্রতি বদ্রিƒপ করে তৎকালে উঁচুর্বণরে শক্ষিতি হন্দিুরা যসেব প্রবচন ও ছড়া তরৈি করছেলি, তা আজও প্রবীণদরে অনকেরেই স্মরণে আছ।ে এমন একটি প্রবচনÑ‘হ্যাক আর চাড়ালরে পুতে শলিট হাতে ইসকুলে যায়/ বামুন আর কায়তেরে ক্ষতেরে ধান ছাগলে খায়।’
মূলত পাকস্তিান প্রতষ্ঠিার পরই এই অঞ্চলে আধুনকি শক্ষিার সুযোগ সৃষ্টি হয়। কন্তিু এই শক্ষিার চালকিা শক্তি সর্ম্পূণই দখলে ছলি বভিাগর্পূব মুসলমান শক্ষিতি বত্তিবান গোষ্ঠীর হাত।ে প্রকৃত র্অথে র্পূববঙ্গ তথা বাংলাদশেে সাধারণ মানুষরে কাছাকাছি শক্ষিা এগয়িে আসে একাত্তররে পর। একাত্তররে যুদ্ধটা শক্ষিার পুরনো বৃত্তকে ভঙেে দয়ে। স্বাধীনতার পরপর রাতারাতি যত্রতত্র অবশ্বিাস্য গততিে স্কুল-কলজে গড়ে উঠতে থাক।ে কন্তিু অচরিইে স্বাধীনতার স্বপ্নভঙ্গরে ভতের দয়িে চরায় এসে আটকে যায় স্বপ্নরে ভাঙা তরী। সইে শূন্যতা ঝড়োগততিে র্পূণ করে মাদ্রাসা শক্ষিা। শক্ষিা দখলে চলে যায় র্ধমরে।
একাত্তররে যুদ্ধরে অন্যতম প্রতক্রিয়িাটি হচ্ছে শ্রণেীবর্বিতন। একদল লোক অবশ্বিাস্য দৃষ্টান্ত রখেে দরদ্রি থকেে মধ্যবত্তি কংিবা মধ্যবত্তি থকেে ধনীতে পরণিত হল। অন্যদকিে উদ্ভব ঘটল বুদ্ধবিৃত্তি র্চচার একটি নতুন শ্রণেীর। জ্ঞানর্চচা, শল্পি-সাহত্যি অনুশীলন তথা মধোর্চচার সুযোগ সৃষ্টি হলওে বাস্তবে তার অপচয়ই ঘটছ।ে স্বাধীনতার ভতের দয়িে যতটা এগয়িে যাওয়ার কথা ছলি বাঙালরি, তা আর হল না। সৃষ্টশিীল সাধনায় দীপ্তমিয় হয়োর পরর্বিতে ইন্দ্রয়ি তাড়না তথা আÍপ্রতষ্ঠিার লোভ, খ্যাতরি মোহ, ক্ষমতার প্রতি লপ্সিা বাঙালকিে আচ্ছন্ন করে দয়ে। সৃষ্টশিীল র্কমে যুক্ত,ি বুদ্ধি এবং প্রাণশক্তি যতটা ব্যয় হওয়ার কথা, প্রাণর্ধমরে র্দুবলতার কারণে তা অর্নাজতিই থকেে গলে। প্রাচীন বাঙালি রাষ্ট্র আর সমাজ সর্ম্পকে যে দায়ত্বিজ্ঞানহীন, উদাসীন বরৈাগ্য মনরে র্চচা করত, আজকরে বাঙালওি তাই কর।ে বাঙালরি রাজনীতর্চিচা মোটইে রাষ্ট্রকন্দ্রেকি নয়, বরং আÍকন্দ্রেকি র্অথাৎ আÍপ্রতষ্ঠিামুখী। যে প্রাণর্ধম জাতটিরি শক্তরি র্উবর ভূমি হওয়ার কথা ছলি, তা আর্দশকি র্দুবলতায় মুখ থুবড়ে পড়।ে
শত শত বছররে উত্থান-পতন, র্অজন-বর্সিজনরে ভতের দয়িে যে জাতরি নব রূপান্তর ঘট,ে বাঙালরি তা ঘটল না। তাদরে র্পূবপুরুষ যমেনি জীবনরে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সুখ-দুঃখ আর অনুভবক,ে হƒদয়াবগেকে প্রতস্থিাপন করত পদাবলী গান,ে ভাওয়াইয়া-ভাটয়িালীর মায়াবী সুর ও কথায়, কংিবা গীতি কবতিায় এবং রূপকথার কুহক,ে তমেনি অর্নাজতিই থকেে গলে উত্তরপুরুষরে হাতে মহাকাব্য আর বশ্বিমানরে সাহত্যি। সাংসারকি জীবনরে সংর্কীণ সুড়ঙ্গরে পথে নমেে যাওয়ার দরুন পারল না মননরে গভীরতায় পৗেঁছাত।ে দু’চোখে শস্যরে স্বপ্ন নয়িে ঋতুর আর্বতে বমিোহতি হয়ে রইল য,ে সে তো ভীরু মন নয়িে গলে না রাজ্যবজিয়,ে ভাবল না দগি¦িজয়রে কথা। যে জাতি শাসক হসিবেে বরণ করে নয়ে বারে বারে বহরিাগত রাজ্যলপ্সিুক,ে তার কাছে তো মহাকাব্য-মহাকবি স্বপ্নরেও অতীত। অথচ সে কবেল সংর্কীণ সংসাররে সুখ-দুঃখরে গান গাইল। আপন ঘরে ক্ষুধা-দারদ্র্যি আর অন্তহীন শোকরে ভতের রূপকথার রাজপুত্র আর রাজকন্যার দুঃখে ফলেল চোখরে জল, সাধন-ভজন সঙ্গীতরে কুহকে রইল ডুব।ে
এত দারদ্র্যি, এত দুঃখ, এত কষ্ট তবু বাঙালি ইন্দ্রয়িকাতরতা থকেে মুক্তরি পথ খুঁজল না। যে জাতি মহাকাব্য রচনা করতে পারল না, সে জাতইি কন্তিু হাস্যরস কৌতুক, রঙ্গরস, রগড় করে সৃষ্টি করল হাজার লাখ অশ্লীল ছড়া, প্রবাদ, গান এবং কাহনিী। হাজার বছররে প্রাচীন সসেব সৃষ্টি বাঙালি আজ স্মৃতি এবং জনশ্র“ততিে টকিয়িে রখেছে।ে সংগ্রহ করে বই আকারে প্রকাশ করলে লাখ লাখ পৃষ্ঠা ভরে যাব।ে সে সৃষ্টি আজ চলছে প্রকাশ্য,ে অপ্রকাশ্য।ে আড্ডায়, পারবিারকি-র্গাহস্থ্য পরবিশেে সসেবরে র্চচা চলে শক্ষিতি-অশক্ষিতি সবার মধ্যইে। বাঙালরি অপভাষা, অশ্লীল শব্দ সংগ্রহ করলে হাজার বশ্বিকোষ র্পূণ হয়ে যাব।ে এতে বস্মিয়রে কছিু আছে ক?ি
এ কথা ঠকি নয় য,ে প্রাকৃতকি পরবিশে, জলবায়ু, পললভূমরি সহজ কৃষ-িউৎপাদন বাঙালকিে অলস আÍকন্দ্রেকি করে রখেছে।ে পৃথবিীর বহু দশে আছে যখোনে পললভূমরি অভাব নইে, কৃষওি ক্লশেকর নয়। জলবায়ুও অর্পূব, চরিবসন্ত। সসেব দশেরে জনগোষ্ঠী তো বাঙালরি মতো অলস কামকাতর নয়? তাদরে উদ্ভাবনী শক্তি এবং রাষ্ট্রভাবনা ব্যক্তসিংর্কীণতায় আচ্ছন্ন নয়। অথচ বাঙালরি রাষ্ট্রভাবনা তার সংর্কীণ ব্যক্তভিাবনাকে ডঙিয়িে যতেে পারে না। যুদ্ধবগ্রিহরে প্রতি অনীহা অনচ্ছিুক এই জাতকিে ইতহিাসরে ক্রান্তলিগ্ন কোন কোন সময় বাধ্য করছেে অস্ত্র হাতে তুলে নতি।ে অবশ্যই সসেব অগ্নবিলয়রে সঙ্গে তুলনীয় নয়, তারা বরং ক্ষুদ্র ক্ষণস্থায়ী স্ফুলঙ্গি-ফুলকরি মতো।
পলাশীর যুদ্ধে ক্লাইভরে বাহনিীতে কবেল ইংরজে সন্যৈই ছলি না, কছিুসংখ্যক অবাঙালি ভারতীয় বভিন্নি যোদ্ধাজাতরি ভাড়াটে সন্যৈও ছলি। ওরা র্ধমে হন্দিু-মুসলমান উভয়ই ছলি এ কথা মথ্যিে নয়। আর্শ্চয এই, বাংলার নবাবরে বাহনিীতে কোন বাঙালি সপোই ছলি না। অধকি বস্মিয় এই, নরিাপদ দূরত্বে দাঁড়য়িে যুদ্ধ-দখো কংিবা কামানরে শব্দে গ্রাম ছড়েে পালয়ি-েযাওয়া, স্মৃতি ও শ্র“ততিে ধারণ করা অলস ভীতু ইন্দ্রয়িপরবশ অথচ করুণরসরে মহারসকি বাঙালি নবাব সরিাজরে বীরত্ব-সাহস নয়িে লখিল না ইতহিাস, নাটক কংিবা মহাকাব্যÑ বীররসরে। বাঙালি লখিল নবাবরে পতনরে কল্পকথার করুণ রসরে সাহত্যি এবং যুগ যুগ ধরে পলাশীর করুণরসে সক্তি করল নজিদেরে অন্তর। সইে করুণরসই যনে বাঙালরি আশ্রয় এবং বলিাসী দুঃখবাদী সুখ-প্রশান্ত।ি অথচ যুদ্ধশষেে পলাতক নবাব এবং তার অনুগত সন্যৈদরে ইংরজেরে হাতে ধরয়িে দয়িছেে গুপ্তচররে মতো বাঙালরিাই। কী ভয়ংকর দ্বচিারতিা!
এই বাংলায় প্রথম যনিি নবাব সরিাজরে র্শৌয-ের্বীয,ে পতন,ে দশেপ্রমেে অনুপ্রাণতি হয়ে ইংরজেরে বরিুদ্ধে অস্ত্র ধরছেলিনে, সইে সুভাষচন্দ্রকে ‘নতোজী’ পদবী দয়িে যনে ইর্য়াকী করল বাঙাল।ি সুভাষ প্রর্বততি ২৩ জুন ‘পলাশী দবিস’কওে জাতীয় দবিস হসিবেে তারা গ্রহণ করল না। বাঙালরি কলংক এই য,ে যদেনি ইংরজে-শাসতি ভারতর্বষে নতোজী সুভাষচন্দ্র মছিলি নয়িে ইংরজে বজিয়রে স্মারক কলকাতার মনুমন্টে ভাঙতে গলেনে কুড়াল কাঁধে তুল,ে সদেনি বাংলার প্রাদশেকি সরকাররে পুলশি দশেপ্রমেকি জনতার ওপর ঝাঁপয়িে পড়ছেলি। তখন মুখ্যমন্ত্রী ছলিনে ফজলুল হক, বাংলার কি হন্দিু কি মুসলমান, কউে আস্থা স্থাপন করতে পারনেি তার নতেৃত্ব।ে গান্ধী-মুগ্ধ আর মোহাচ্ছন্ন বাঙালি হন্দিুর কউে সুভাষচন্দ্ররে র্সাবক্ষণকি যুদ্ধসঙ্গী হওয়ার যোগ্যতা র্অজন করতে পারনে,ি তাই সুভাষকে যুদ্ধসঙ্গী করতে হয় অবাঙালি মুসলমানক।ে অস্ত্র আর রাজনতৈকি সর্মথনরে জন্য সুভাষচন্দ্রকে যখন আÍগোপন করে এশয়িা-ইউরোপ ছুটে বড়োতে হয়, তখনও তার সঙ্গী ছলিনে অবাঙালি মুসলমান। বাঙালি হন্দিু-মুসলমান কউে নয়। তার রহস্যজনক মৃত্যুর আগওে এই ছলি বাস্তব সত্য। তার ফৌজে কত শতাংশ বাঙালি সন্যৈ ছলি?
বাঙালরি সবচয়েে বড় র্কীতি হল তার উত্তরাধকিারবোধ। সইে প্রাচীনকালইে সে ভূমরি উত্তরাধকিারকে নশ্চিতি করে নয়িছে।ে উত্তরাধকিার সম্পত্তকিে র্ধমরে সঙ্গে যুক্ত করতে পরেে বাঙালরি বড় স্বস্ত।ি মৃতরে পরত্যিক্ত সম্পত্তি প্রাপ্তরি প্রত্যাশা রক্তে যনে প্রশান্তরি জোয়ার আন।ে কোন কারণে যদি সইে ‘হক’ অন্যকে স্বচ্ছোয় ছড়েে দতিে হয়, তখন বাঙালি ভাবে তার এই আÍত্যাগরে মহান দৃষ্টান্ত বুঝি ধরাধামে নইে। একবারও ভাবে না, যে ‘হক’ সে ত্যাগ করল তা তার নজিরে শ্রম,ে ঘাম,ে মধোয় র্অজতি নয়। নছিক পররে ধন। পরশ্রিম, অধ্যবসায় এবং মধোশক্তরি দ্বারা আপন র্অজতি সম্পদরে বদলে পর্রাজতি সম্পদরে প্রতি বাঙালরি উত্তরাধকিারকি লোভ, এ যনে তার ঐতহ্যিরে
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×