শুনছিলাম বিবিসি বাংলায় রাত সাড়ে দশটার খবর। ছিট্-মহলের উপর বিবিসি্র সাংবাদিক কাদির কল্লোলের করা এক রি্পোর্ট এ জনৈক ছি্টমহলবাসী এক প্রশ্নের উত্তরে এ ধরনের মন্তব্য করেন।
হতে পারে এটা একজন ব্যক্তির নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি। কিন্তু সার্বিক ভাবে চিন্তা করলে এই মন্তব্যের ভিতর দিয়ে তাদের বাস্তব দুর্দশার চিত্রই ধরা পড়ে।
বাংলাদেশ-ভারত সরকার যৌথ উদ্যোগে সীমান্তবর্তী ছিটমহলগুলোয় আদমশুমারি নিঃসন্দেহে একটি ভাল প্রচেষ্টা।
কিন্তু এরকম হাজারো সুযোগ-সুবিধা যা মূল-ভূখন্ডের বাসিন্দা হিসেবে আমরা ভোগ করি কিন্তু শুধুমাত্র ছিটমহলের বাসিন্দা হওয়ায় নিজ দেশের প্রতি আনুগত্য থাকা সত্ত্বেও তারা তা পারেনা।এরকম অন্যান্য বিষয় গুলোর প্রতিও সরকারের মনযোগ দেওয়া উচিৎ।
বাংলাদেশ কিম্বা বিভিন্ন দেশের ছিটমহল সম্বন্ধে আমার জ্ঞান খুবই সামান্য। সরল বাক্যে স্বীকার করলে আমার কাছে পূর্নাঙ্গ তথ্য নেই তারা কোন কোন অধিকার থেকে বঞ্ছিত ।
কিন্তু এটা জানি তারা প্রকৃতপক্ষেই আমাদের থেকে অনেক বেশি অবহেলিত দুই দেশের সরকারের কাছেই।
তাহলে প্রশ্ন উঠতে পারে এই অপূর্ণ জ্ঞান নিয়ে এরকম একটা দীর্ঘস্থায়ী এবং আন্তর্জাতিক সমস্যা নিয়ে লেখার ভিত্তি কী।
এর উত্তরে আমি একটা কথাই বলতে পারি তাহল এ ধরনের গায়ে না লাগানো ব্যাপারই আমার কাছে পীড়াদায়ক হয়ে উঠে আমি যখন চিন্তা করি আমি যদি জন্মাতাম এরকম কোন একটা ছিটমহলে তাহলে আর দশজন ছিটমহলওবাসীর মত আমিও থাকতাম অধিকার বঞ্ছিত, নিগৃহীত।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ছিটমহলের ব্যাপারে না গিয়ে শুধু মাত্র বাংলাদেশ ভারত ছিটমহল সম্বন্ধে বলতে পারি অন্যান্য দেশের মত আমাদের দুই দেশের সাংস্কৃতিক, নৃতাত্ত্বিক, ভোগৌলিক পরিবেশ প্রায় একই রকম। এইরকম একটা পরিবেশে ছিটমহলের জায়গা বা অধিবাসী স্থানান্তর একটা ভাল সমাধান হতে পারে। কিম্বা এর চেয়ে আরও গ্রহনযোগ্য, আরও কার্যকর সমাধানও হয়তো বা থাকতে পারে। সকলে সচেতন হলে এই সমস্যর সমাধান করা কঠিন কিছু না।
আমার এই লেখাটা অন্যান্য সম্পর্কিত বিষয় সম্বন্ধে আগ-পিছু বিবেচনা না করেই সম্পূর্ন আবেগ নির্ভর লেখা। আর আমার আবেগের জায়গা থেকে একটা কথাই জানি , একবিংশ শতাব্দীর মানুষ হিসেবে সভ্যতার সকল সুবিধা ভোগ করে কিছু মানুষকে স্থুল কিছু অজুহাতের দোহাই দিয়ে সভ্যতার অগ্রযাত্রা থেকে বিছিন্ন করে রাখার কোন অধিকার আমাদের নেই।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১২:২৩