somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

খালেদা জিয়ার স্ববিরোধী বক্তব্য

১৪ ই জুলাই, ২০১১ বিকাল ৫:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত ১৩ জুলাই বিরোধী দলীয় নেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের সামনে বিএনপি আয়োজিত গণঅনশন কর্মসূচিতে ’৭২-এর আদলে সংশোধিত সংবিধান প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, এই সংবিধান আওয়ামী লীগের ইশতেহার। যেদিন জনগণের সরকার তথা বিএনপি ক্ষমতায় আসবে সেদিন এই সংবিধানকে ছুঁড়ে ফেলে দেয়া হবে। সামনে আরো দিন আছে। এই সরকার শেষ সরকার নয়। তাই র্যাব-পুলিশ প্রশাসনকে বলতে চাই, যারা এসব করছেন এগুলো বন্ধ করুন। নইলে বিএনপি ক্ষমতায় এলে চাকরি করবেন না? চাকরিতো করতে পারবেনই না।
ধর্মীয় গ্রন্থ তথা কোরআন, বেত, বাইবেল এর পরেই একটি জাতির জীবনবিধান হলো সঙবিধান। আর বেগম জিয়া সেই সঙবিধানকে কিনা ছুড়ে ফেলার কথা বললেন। হরতালে আইন শৃংখলা রক্ষা করা, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা পুলিশের দায়িত্ব বিএনপিকে ভারচুর অগ্নিসঙযোগ করতে না দেয়াই তিনি পুলিশ বাহিনীকে ক্ষমতায় গেলে চাকুরিচ্যুত করার হুমকি দিলেন। ইতিপূর্বে বিএনপি জাতীয় সঙসদে জিহ্বা কেটে নেয়ার মতো সন্ত্রাসী কথা বলেছে।
এসব সবই অগণতান্ত্রিক মন্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহী বক্তব্য। এদেশের রাজনীতিকদের মন্তব্য, বক্তব্যে রাষ্ট্রদ্রোহীতার যে পরিচয় মেলে তা দিয়ে তাদের দ্বারা জাতি কিছু আশা করতে পারে না। আমরা বিএনপি'র শাসন আমল দেখেছি এখন আ'লীগের কর্মকাণ্ড দেখছি। বিএনপির কর্মকাণ্ডে দগ্ধ হয়েই আ'লীগকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছি। ফলে সময় হলেই জনগণ সব অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে। তার জন্য জনগণের মানসিকতাকে পুজি করে প্রতিহিঙসার আগুন জ্বালিয়ে দেবেন না। আমরা আপনাদের দেশ সেবার ধরন সম্পর্কে সম্পূর্ন রূপে অবগত।
আপনী স্বাধীনতা পরবর্তী ৭২'এর রক্ষী বাহিনীর কথা বলেছেন, তারা তো ছিল এদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু তারা তাদের সহকর্মী যোদ্ধাদের রক্ত বন্যা সহ্য করতে না পেরে পাকিস্তানের মিত্রবাহিনীর সদস্য এদেশের মীরজাফরদের ধরে ধরে হত্যা করেছিল। আপনী গণতন্ত্রের কথা বলেছেন। কিন্তু আপনাদের দলের জন্মইতো দখলদারিত্বের ভিত্তিতে।
ড. মোহাম্মদ হাননান তার ‘বাংলাদেশের সামরিক ইতিহাস ও ট্রাজেডির সেনানিবাসে শেখ হাসিনা’ গ্রন্থে ‘জেনারেল জিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনীতে বেশি বিদ্রোহ হয়’ অধ্যায়ে উল্লেখ করেছেন, ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর ঢাকায় সামরিকবাহিনীর একটি ক্ষুদ্রাংশের অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তৎকালীন সেনাশাসক জেনারেল জিয়াউর রহমানের নির্দেশে বিশেষ সামরিক ট্রাইব্যুনালের কথিত বিচারে সেনা ও বিমানবাহিনীর যে সকল সদস্যকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল তাদের মধ্যে ১৯৩ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়। ওই ঘটনায় পূর্বাপর মৃত্যের সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় এটা স্পষ্ট যে, বিচারের আওতার বাইরে অনেককে মরতে হয়েছে। অভ্যুত্থান-পরবর্তী ২ মাসে ১১০০ থেকে ১৪০০ সৈনিককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে কিংবা ফায়ারিং স্কোয়াডে হত্যা করা হয়েছিল। ঢাকায় ১২১ জন আর কুমিল্লায় ৭২ জনের ফাঁসি হয়। ১৯৮৭ সালে বিমানবাহিনী থেকে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ইতিহাস’ পুস্তিকার একটি অধ্যায়ে বলা হয়েছে, ওই ঘটনার পর প্রশাসনিক ব্যবস্থায় ৫৬১ জন বিমানসেনা প্রাণ হারায়। ওই পুস্তিকাটি পরবর্তীতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। লন্ডন টাইমস-এর ১৯৭৮ সালের ৫ মার্চ সংখ্যায় এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কথোপকথনের বরাত দিয়ে বলা হয়Ñ ওই ঘটনায় সামরিকবাহিনীর ৮ শতাধিক সদস্যের সাজা হয় এবং প্রায় ৬০০ জনকে ফাঁসির মাধ্যমে কিংবা ফায়ারিং স্কোয়াডে হত্যা করা হয়, যার অধিকাংশই বিমানবাহিনীতে ছিলেন।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×