somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একসাথে দুজন

১৩ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ১১:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



-আচ্ছা বলতো আমরা কতদিন একসাথে আছি?
-তুমিই ভাল জান আমার চেয়ে, আমিতো ভাবুক একজন আর তুমি হচ্ছ চীফ একাউন্ট্যান্ট। হিসেব নিকেশ নিয়েই তোমার কাজ কারবার, তুমিই বল।
-তুমি আসলেই বেশি কথা বল, আমরা দেখতে দেখতে ২৬ টি বছর একসাথে কাটিয়ে দিলাম।
-আচ্ছা তুমি কি আমাকে নিয়ে সুখি?
-এতো দিন পর এসব বলছ কেন?
-কারন তোমার মনের ভাষা আমি বুঝি, আজ সব বের করে আনব, বল আমাকে নিয়ে সুখি না হলেও কেন আমায় ধরে রেখেছ?
-এভাবে কখনও ভাবিনি, আসলে তোমাকে ছেড়ে দেওয়ার কথা কখনও আমার মাথায় আসেনি, তবে এইটা ঠিক তোমাকে আমার সময় সময় অসহ্য লাগে মনে হয় তোমাকে ছেড়ে চলে যাই দুরে, বহু দুরে।
-যেমন গতো তিন মাস আগে একবার চলে যেতে গিয়েছিলে?
-তুমি আমার সব এতো নিখুত ভাবে কিভাবে বুঝ?
-আমি তোমার সব বুঝি, কেও তোমাকে আমার চেয়ে বেশি বুঝতে পারে না।
-তুমি ভুল বললে, খুকি আমাকে তোমার চেয়ে বেশি বুঝে।
-হুম, ঐ একজনকে নিয়ে তোমার সাথে আমি কোন আর্গুমেন্টে যাব না।
-কেন?
-কারন ওকে নিয়ে কিছু বললেতো তুমি কন্ট্রোল হারিয়ে ফেল, শেষে ঝগড়া টগড়া করে লেখাটাই থামিয়ে দিবে, তার চেয়ে লেখ আমি তোমার লেখা পড়ছি।
-কচু পড়ছো, দেখ না আমি শুধু বানান ভুল করি একটু ধরিয়ে দিতে পার না?
-তোমাকে আর কিছু ধরিয়ে দিব না, সব ধরিয়ে দেই বলে এত বড় হয়েও তুমি শুধু অন্যের উপর ডিপেন্ডেন্ট হয়ে যাও, এখন তোমাকে নিজের পায়ে দাড়াতে হবে।
-আমিতো নিজের পায়েই দাড়িয়ে আছি এই যে আমার আই প্যাড ২-৬৪ জিবি, কিনলাম এটা কি আমাকে অন্য কেও কিনে দিয়েছে? আমার গ্যালাক্সি এস ২, আই ফোন ৪, কি অন্য কেও কিনে দিয়েছে? নিজের টাকায় কিনেছি তাহলে কেন বল আমি অন্যের উপর নির্ভরশীল?
-তুমি আসলেই অন্যের উপর নির্ভরশীল!
-বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু, যাও আমি আর লিখবই না, এই কী বোর্ড সরিয়ে রাখলাম।
-এইতো দেখ তুমি কেমন পরাধীন, আমার কথায় লেখা ছেড়ে দিচ্ছ, তাহলে কি করে বল তুমি ইন্ডিপেন্ডেন্ট? খুকি যদি একটু কষ্ট দেয় আমি শিওর তুমি লেখা টেখা ছেড়ে দিবে কম্পিউটারও ভেঙ্গে ফেলতে পার। মনে নেই খুকির সাথে রাগ করে তুমি কি করেছিলে? যদি ব্লগের একাউন্ট, ফেস বুকের মতো ডিএক্টিভেট করা যেত তাহলেতো তুমি ঐ দিনই তোমার ব্লগ আইডি অবশ্যই ডিএক্টিভেট করে দিতে।
-ঐটা তো ভিন্ন ইস্যু, খুকি নিয়ে ইস্যু ভিন্ন।
-আচ্ছা তাহলে খুকির কাছে পরাধীন থাকতে চাচ্ছ?
-আপাততো কিছু দিন!
-হুম, আচ্ছা ঠিক আছে, এবার বল আমাকে অপছন্দ করো কেন?
-অপছন্দ করিনাতো, মাঝে মাঝে তোমাকে সহ্য হয় না?
-কেন?
-কারন তোমাকে আমি কনট্রোল করতে পারিনা, উলটো তুমিই আমাকে প্রভাবিত করে কাজ করিয়ে নাও।
-আমাকে ছাড়া কি তুমি বাঁচবে?
-বাঁচব না বলেইতো তোমাকে এখনও ধারন করে রেখেছি নাহলে কবেই আমি তোমাকে দুরে নিক্ষেপ করতাম।
-তুমি আমার সাথে এ ভাবে কথা বলতে পারলে!
-আমি খুব দুঃখিত, তুমিতো আমার সব কথাই জান, আমি না বল্লেওতো তুমি জান আমি কি ভাবি।
-তার পরেও ভদ্রতা বলে একটা বিষয় আছে না? অর্নব শোন!
-হুম বল
-আমিও চাই তুমি আমার প্রভাব মুক্ত হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াবে, দৌড়াবে, আলো খুজবে, দেখ আমাদের প্রিয় দেশে আজ কতো ক্রোন্দল আমার প্রভাব থেকে মুক্ত হতে না পারলে তুমি নিজেকে দেশের জন্য উৎসর্গ করতে পারবে না।
-তোমার প্রভাব থেকে মুক্ত হলে কি আমি খুকির প্রভাব থেকেও মুক্ত হতে পারব?
-হ্যা, পারবে, খুকির জন্য আলো এনে দিতে পারাইতো মুল স্বার্থকতা! শুধু মুখে খুকি খুকি করলেই হবে?
-সরি!
-অর্নব?
-বল?
-আমাকে ধারন করেই তোমাকে আমার প্রভাব মুক্ত থাকতে হবে, আমাকে ছাড়াতো তুমি একা হয়ে যাবে, থাকতে পারবে না!

বিকেলের মোলায়েম রৌদ্রে চিন্তিত অর্নব বসে আছে সামনে ধানমন্ডি লেকের পাড়ে, কপোত কপোতীরা নৌকায় ঘুরছে, দায়িত্ব এড়িয়ে গেলে কি সুন্দর জীবন কাটান যায়, নিশ্চিন্তে কল্পনার সঙ্গি নিয়ে পরিভ্রমণ করা যায় কিন্তু কিভাবে মাথায় এক রাশ বোঝা নেমে এল, আলোর পেছনে ছুটছে অর্নব, আলো আনতেই হবে পেছনে অপেক্ষমান হাজারো প্রান আর তার প্রিয় খুকি। কিছুই মাথায় ধরে না, মানুষ আসলে একের ভেতরে দু্‌ই, সারাদিন নিজের ভেতরের আমির সাথে কতো বোঝা পড়া করে, নিজের দুই রকম চিন্তা খেলে যায় মস্তিষ্কের নিউরন সেলে, একজন রঙিন পৃথিবীর মায়া জালে আবদ্ধ হয়ে রঙের পেছনে ছুটে চলে যা আসলে দুর থেকেই রঙিন কিন্তু কাছে গেলে পুরটাই কালো, আর আরেক জন আলো দিয়ে এই কালো পৃথিবীকে আলোকিত করতে চায়। একই শরীরে দুই স্বত্বার বসবাস। ভেবে কোন কিনারাই পায়না অর্নব। তবে কি সেও অতলে ডুবে যাবে।

পিঠে আলতো স্পর্শ, না তাকিয়েই অর্নব চিরপরিচিত সিল্কি চুলের ঘ্রানে বুঝে যায় কে এসেছে! এতো দেরি করলে! অবাক অর্নব, কল্পলোকের খুকি বেড়িয়ে এলো কি করে?

-কি, ভালইতো বোঝা পড়া করছ!
-আচ্ছা খুকি, বলতো আমাদের মনটা এমন কেন?
-কেমন, এই যে কথা শোনে না! তোমারও কি এমন?
-হু এমন, তবে আমার আমি আমার কথা শোনে?
-কি ভাবে শোনাও?
-চেষ্টা কর তুমিও পারবে!
-খুকি!
-বল
-তোমার “অনুভুতির ইচ্ছামৃত্যু এবং স্বেচ্ছানির্বাসন...” পড়ে প্রথম আমার দ্বিতীয় স্বত্ত্বাকে আবিষ্কার করেছিলাম, তার আগে জানতামই না কি সুন্দর আমার ভেতর আরেকটা আমি বসে আছে!!
-হু!
-তোমাকে আরেকটা কাজ করতেই হবে, বল করবে!
-আমি অন্যের কথায় চলি না, তবুও তোমার কথা একটু ভিন্ন, বল দেখি চেষ্টা করে!
-তোমাকে আরেকটা লেখা দিতে হবে যা পড়ে নিজের আমি টাকে নিয়ন্ত্রণ করা শেখা যাবে, আমার আমিকে যেমন বের করে এনেছ এখন একে কন্ট্রোল করাও শেখাতে হবে, প্লিজ এই নিয়ে একটা লেখা দাও না।
-আচ্ছা দেখি পরীক্ষাটা শেষ হোক, তার পর!
-তোমার পরীক্ষাতো ১৯ তারিখ শেষ হবে কবে পোস্ট করবে?
-দেখি!
-জানো তোমার পরীক্ষার পর দিন আমি তোমাকে একটা গল্প উপহার দেব, এর আগে কোন লেখাতে এতো ভাবিনি জান! আর এতো সময়ও নেই নি! কেমন হবে বলতো?
-আগে দাওতো পড়ে দেখি!

অর্নব একবারও তার কল্পলোকের খুকির দিকে তাকায়নি। অথচ কতো কথা বলে যাচ্ছে, ভেতরের আমিটা বলে উঠল এই সুযোগ কল্পলোকের খুকিকে একটু দেখে নাও, অর্নব প্রভাবিত হয়ে গেল, যেই চাইতে গেল অমনি খুকি বুঝে গেল খুকিতো অর্নবের ভেতরের আমির চেয়েও অর্নবকে বেশি বুঝে, ফুরুত করে উড়ে গেল আকাশের ঐ আলোর দেশে। অর্নব ঘাড় না ঘুড়িয়েই বুঝল খুকি চলে গিয়েছে, সুন্দর সিল্কি চুলের ঘ্রান টা আর নেই। বসে বসে নিজের আমিকে শাসাতে লাগল, তোর জন্য খুকি চলে গেল। তুই কি শুধু আমার ক্ষতিই করে যাবি!

-হা হা বোকা অর্নব যতদিন আমার কথায় ঊঠবে আর বসবে ততো দিন বিভ্রান্তিতে থাকবে!
-দাঁড়াও খুব তাড়াতাড়ি খুকি আমাকে নিজের আমিকে কন্ট্রোল করা শেখাবে তখন আর তুমি আমাকে কষ্ট দিতে পারবে না!
-দেখি তোমার খুকি লিখে কিনা!
-লিখবে তুমি দেখ অবশ্যই লিখবে! আমার জন্য লিখবে! খুকির পরীক্ষাটা শেষ হোলেই খুকি লিখবে!
-আচ্ছা বলতো আমরা কতদিন একসাথে আছি?
-তুমিই ভাল জান আমার চেয়ে, আমিতো ভাবুক একজন আর তুমি হচ্ছ চীফ একাউন্ট্যান্ট। হিসেব নিকেশ নিয়েই তোমার কাজ কারবার, তুমিই বল।
-তুমি আসলেই বেশি কথা বল, আমরা দেখতে দেখতে ২৬ টি বছর একসাথে কাটিয়ে দিলাম।
-আচ্ছা তুমি কি আমাকে নিয়ে সুখি?
-এতো দিন পর এসব বলছ কেন?
-কারন তোমার মনের ভাষা আমি বুঝি, আজ সব বের করে আনব, বল আমাকে নিয়ে সুখি না হলেও কেন আমায় ধরে রেখেছ?
-এভাবে কখনও ভাবিনি, আসলে তোমাকে ছেড়ে দেওয়ার কথা কখনও আমার মাথায় আসেনি, তবে এইটা ঠিক তোমাকে আমার সময় সময় অসহ্য লাগে মনে হয় তোমাকে ছেড়ে চলে যাই দুরে, বহু দুরে।
-যেমন গতো তিন মাস আগে একবার চলে যেতে গিয়েছিলে?
-তুমি আমার সব এতো নিখুত ভাবে কিভাবে বুঝ?
-আমি তোমার সব বুঝি, কেও তোমাকে আমার চেয়ে বেশি বুঝতে পারে না।
-তুমি ভুল বললে, খুকি আমাকে তোমার চেয়ে বেশি বুঝে।
-হুম, ঐ একজনকে নিয়ে তোমার সাথে আমি কোন আর্গুমেন্টে যাব না।
-কেন?
-কারন ওকে নিয়ে কিছু বললেতো তুমি কন্ট্রোল হারিয়ে ফেল, শেষে ঝগড়া টগড়া করে লেখাটাই থামিয়ে দিবে, তার চেয়ে লেখ আমি তোমার লেখা পড়ছি।
-কচু পড়ছো, দেখ না আমি শুধু বানান ভুল করি একটু ধরিয়ে দিতে পার না?
-তোমাকে আর কিছু ধরিয়ে দিব না, সব ধরিয়ে দেই বলে এত বড় হয়েও তুমি শুধু অন্যের উপর ডিপেন্ডেন্ট হয়ে যাও, এখন তোমাকে নিজের পায়ে দাড়াতে হবে।
-আমিতো নিজের পায়েই দাড়িয়ে আছি এই যে আমার আই প্যাড ২-৬৪ জিবি, কিনলাম এটা কি আমাকে অন্য কেও কিনে দিয়েছে? আমার গ্যালাক্সি এস ২, আই ফোন ৪, কি অন্য কেও কিনে দিয়েছে? নিজের টাকায় কিনেছি তাহলে কেন বল আমি অন্যের উপর নির্ভরশীল?
-তুমি আসলেই অন্যের উপর নির্ভরশীল!
-বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু, যাও আমি আর লিখবই না, এই কী বোর্ড সরিয়ে রাখলাম।
-এইতো দেখ তুমি কেমন পরাধীন, আমার কথায় লেখা ছেড়ে দিচ্ছ, তাহলে কি করে বল তুমি ইন্ডিপেন্ডেন্ট? খুকি যদি একটু কষ্ট দেয় আমি শিওর তুমি লেখা টেখা ছেড়ে দিবে কম্পিউটারও ভেঙ্গে ফেলতে পার। মনে নেই খুকির সাথে রাগ করে তুমি কি করেছিলে? যদি ব্লগের একাউন্ট, ফেস বুকের মতো ডিএক্টিভেট করা যেত তাহলেতো তুমি ঐ দিনই তোমার ব্লগ আইডি অবশ্যই ডিএক্টিভেট করে দিতে।
-ঐটা তো ভিন্ন ইস্যু, খুকি নিয়ে ইস্যু ভিন্ন।
-আচ্ছা তাহলে খুকির কাছে পরাধীন থাকতে চাচ্ছ?
-আপাততো কিছু দিন!
-হুম, আচ্ছা ঠিক আছে, এবার বল আমাকে অপছন্দ করো কেন?
-অপছন্দ করিনাতো, মাঝে মাঝে তোমাকে সহ্য হয় না?
-কেন?
-কারন তোমাকে আমি কনট্রোল করতে পারিনা, উলটো তুমিই আমাকে প্রভাবিত করে কাজ করিয়ে নাও।
-আমাকে ছাড়া কি তুমি বাঁচবে?
-বাঁচব না বলেইতো তোমাকে এখনও ধারন করে রেখেছি নাহলে কবেই আমি তোমাকে দুরে নিক্ষেপ করতাম।
-তুমি আমার সাথে এ ভাবে কথা বলতে পারলে!
-আমি খুব দুঃখিত, তুমিতো আমার সব কথাই জান, আমি না বল্লেওতো তুমি জান আমি কি ভাবি।
-তার পরেও ভদ্রতা বলে একটা বিষয় আছে না? অর্নব শোন!
-হুম বল
-আমিও চাই তুমি আমার প্রভাব মুক্ত হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াবে, দৌড়াবে, আলো খুজবে, দেখ আমাদের প্রিয় দেশে আজ কতো ক্রোন্দল আমার প্রভাব থেকে মুক্ত হতে না পারলে তুমি নিজেকে দেশের জন্য উৎসর্গ করতে পারবে না।
-তোমার প্রভাব থেকে মুক্ত হলে কি আমি খুকির প্রভাব থেকেও মুক্ত হতে পারব?
-হ্যা, পারবে, খুকির জন্য আলো এনে দিতে পারাইতো মুল স্বার্থকতা! শুধু মুখে খুকি খুকি করলেই হবে?
-সরি!
-অর্নব?
-বল?
-আমাকে ধারন করেই তোমাকে আমার প্রভাব মুক্ত থাকতে হবে, আমাকে ছাড়াতো তুমি একা হয়ে যাবে, থাকতে পারবে না!

বিকেলের মোলায়েম রৌদ্রে চিন্তিত অর্নব বসে আছে সামনে ধানমন্ডি লেকের পাড়ে, কপোত কপোতীরা নৌকায় ঘুরছে, দায়িত্ব এড়িয়ে গেলে কি সুন্দর জীবন কাটান যায়, নিশ্চিন্তে কল্পনার সঙ্গি নিয়ে পরিভ্রমণ করা যায় কিন্তু কিভাবে মাথায় এক রাশ বোঝা নেমে এল, আলোর পেছনে ছুটছে অর্নব, আলো আনতেই হবে পেছনে অপেক্ষমান হাজারো প্রান আর তার প্রিয় খুকি। কিছুই মাথায় ধরে না, মানুষ আসলে একের ভেতরে দু্‌ই, সারাদিন নিজের ভেতরের আমির সাথে কতো বোঝা পড়া করে, নিজের দুই রকম চিন্তা খেলে যায় মস্তিষ্কের নিউরন সেলে, একজন রঙিন পৃথিবীর মায়া জালে আবদ্ধ হয়ে রঙের পেছনে ছুটে চলে যা আসলে দুর থেকেই রঙিন কিন্তু কাছে গেলে পুরটাই কালো, আর আরেক জন আলো দিয়ে এই কালো পৃথিবীকে আলোকিত করতে চায়। একই শরীরে দুই স্বত্বার বসবাস। ভেবে কোন কিনারাই পায়না অর্নব। তবে কি সেও অতলে ডুবে যাবে।

পিঠে আলতো স্পর্শ, না তাকিয়েই অর্নব চিরপরিচিত সিল্কি চুলের ঘ্রানে বুঝে যায় কে এসেছে! এতো দেরি করলে! অবাক অর্নব, কল্পলোকের খুকি বেড়িয়ে এলো কি করে?

-কি, ভালইতো বোঝা পড়া করছ!
-আচ্ছা খুকি, বলতো আমাদের মনটা এমন কেন?
-কেমন, এই যে কথা শোনে না! তোমারও কি এমন?
-হু এমন, তবে আমার আমি আমার কথা শোনে?
-কি ভাবে শোনাও?
-চেষ্টা কর তুমিও পারবে!
-খুকি!
-বল
-তোমার “অনুভুতির ইচ্ছামৃত্যু এবং স্বেচ্ছানির্বাসন...” পড়ে প্রথম আমার দ্বিতীয় স্বত্ত্বাকে আবিষ্কার করেছিলাম, তার আগে জানতামই না কি সুন্দর আমার ভেতর আরেকটা আমি বসে আছে!!
-হু!
-তোমাকে আরেকটা কাজ করতেই হবে, বল করবে!
-আমি অন্যের কথায় চলি না, তবুও তোমার কথা একটু ভিন্ন, বল দেখি চেষ্টা করে!
-তোমাকে আরেকটা লেখা দিতে হবে যা পড়ে নিজের আমি টাকে নিয়ন্ত্রণ করা শেখা যাবে, আমার আমিকে যেমন বের করে এনেছ এখন একে কন্ট্রোল করাও শেখাতে হবে, প্লিজ এই নিয়ে একটা লেখা দাও না।
-আচ্ছা দেখি পরীক্ষাটা শেষ হোক, তার পর!
-তোমার পরীক্ষাতো ১৯ তারিখ শেষ হবে কবে পোস্ট করবে?
-দেখি!
-জানো তোমার পরীক্ষার পর দিন আমি তোমাকে একটা গল্প উপহার দেব, এর আগে কোন লেখাতে এতো ভাবিনি জান! আর এতো সময়ও নেই নি! কেমন হবে বলতো?
-আগে দাওতো পড়ে দেখি!

অর্নব একবারও তার কল্পলোকের খুকির দিকে তাকায়নি। অথচ কতো কথা বলে যাচ্ছে, ভেতরের আমিটা বলে উঠল এই সুযোগ কল্পলোকের খুকিকে একটু দেখে নাও, অর্নব প্রভাবিত হয়ে গেল, যেই চাইতে গেল অমনি খুকি বুঝে গেল খুকিতো অর্নবের ভেতরের আমির চেয়েও অর্নবকে বেশি বুঝে, ফুরুত করে উড়ে গেল আকাশের ঐ আলোর দেশে। অর্নব ঘাড় না ঘুড়িয়েই বুঝল খুকি চলে গিয়েছে, সুন্দর সিল্কি চুলের ঘ্রান টা আর নেই। বসে বসে নিজের আমিকে শাসাতে লাগল, তোর জন্য খুকি চলে গেল। তুই কি শুধু আমার ক্ষতিই করে যাবি!

-হা হা বোকা অর্নব যতদিন আমার কথায় ঊঠবে আর বসবে ততো দিন বিভ্রান্তিতে থাকবে!
-দাঁড়াও খুব তাড়াতাড়ি খুকি আমাকে নিজের আমিকে কন্ট্রোল করা শেখাবে তখন আর তুমি আমাকে কষ্ট দিতে পারবে না!
-দেখি তোমার খুকি লিখে কিনা!
-লিখবে তুমি দেখ অবশ্যই লিখবে! আমার জন্য লিখবে! খুকির পরীক্ষাটা শেষ হোলেই খুকি লিখবে!
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

প্রজাতির শেষ জীবিত প্রাণ !

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৩ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫১



বিবিসির একটা খবর চোখে এল সেদিন । উত্তরাঞ্চলীয় সাদা গন্ডার প্রজাতির শেষ পুরুষ গন্ডারটি মারা গেছে । তার নাম ছিল সুদান । মৃত্যুর সময় তার বয়স ৪৫। বিবিসির সংবাদটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে সবচেয়ে ক্রিয়েটিভ এবং পরিমার্জিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর মধ্যে সে একজন ।।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ১৩ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯



আপনারা কতজন Umma Kulsum Popi চেনেন, আমি ঠিক জানি না। আমার পর্যবেক্ষণ মতে, বাংলাদেশে সবচেয়ে ক্রিয়েটিভ এবং পরিমার্জিত কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের একজন হলেন উনি। যদি বলি দেশের সেরা পাঁচজন কনটেন্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিস অস্বীকার করে রাসূলের (সা.) আনুগত্য সম্ভব

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৩ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আর আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

=কবিতাগুলো যেনো এক একটি মধুমঞ্জুরী ফুল=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:২০



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনের মাধুরী মিশিয়ে যে কবিতা লিখি
কবিতাগুলো যেনো আমার এক একটি মঞ্জুরী লতা ফুল,
মনের ডালে ডালে রঙবাহারী রূপ নিয়ে
ঝুলে থাকে কবিতা দিবানিশি
যে কবিতার সাথে নিত্য বাস,
তাদের আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পোষ্টে যদি ক্রমাগতভাবে ০ কিংবা ২/১'টি মন্তব্য পেতে থাকে, বুঝবেন যে, সোনাগাজী সেমি-ব্যানে আছে!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



আপনার পোষ্ট যদি ক্রমাগতভাবে ০ কিংবা ১'টি মন্তব্য পেতে থাকে, তখন খোঁজ নিলে দেখবেন যে, সোনাগাজী সেমি-ব্যানে আছে!

কোন বিষয়ের উপর অনেক মানসম্পন্ন পোষ্ট লিখলেও সামুতে আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×