আরেকটু বড় হওয়ার পর ম্যাচ খেলতাম। মাঠে এমনি গিয়ে খেললে বাসায় কোন সমষ্যা ছিল না কিন্তু ম্যাচ খেলতে গেলেই দোষ। তাই খেলতে যেতে হত লুকিয়ে লুকিয়ে। তবুও খুব বেশী দূর যেতাম না। কাছেই কোথাও হয়ত যেতাম। একবার অনেক দূরে খেলতে গিয়েছিলাম। তারপর যতবার আমি ঐ রাস্তা দিয়ে যেতাম বিষ্ময়ে-আনন্দে তাকিয়ে থাকতাম ঐ মাঠের দিকে। কখনও কখনও খেলার জন্য বাসায় রাগ দেখাতাম। তারপর এই রাগের উছিলা দিয়ে খেলতে চলে যেতাম। স্কুল থাকলে স্কুলের নাম দিয়ে যেতাম। এক ইনিংস খেলার পর টিফিনে বাসায় এসে আবার স্কুলের নাম দিয়ে গিয়ে পরের ইনিংস খেলতাম। এভাবেই আমাদের সময় কেটেছে।
মিরশরাইয়ের ছোট ছোট বাচ্চারা না জানি কে কিভাবে খেলতে গিয়েছিল। খেলার আনন্দে তারা কতই না মজা হয়ত করছিল। না জানি কত কত প্ল্যান। বাসায় গিয়ে কিভাবে সবাইকে খেলার গল্প করবে তার প্ল্যান করছিল। মাকে কিভাবে গল্প করবে বা কিভাবে খেলতে গিয়েছিল তা না বলে থাকা যায় তার কথাই হয়ত অনেকে ভাবছিল। অনেকেই হয়ত ভাবছিল ক্লাসে তারা এখন হিরো! এই ভাবনাতেই যখন তারা আবিষ্ট তখনই তাদের প্রান কেড়ে নিল। এই দোষটা কার? অন্যের দোষে এই যে কচি প্রান ঝরে গেল কে এর দায়িত্ব নিবে?
ভাই আমার, তোমাদের নিরাপদে বাড়ি ফিরতে দেয়া গেল না। তোমাদের আনন্দময় দিনগুলি কেড়ে নিলাম। সরি ভাই। তোমরা ভাল থেকো। তোমাদের হারিয়ে আজ আমরা সত্যিই শোকাহত। ভাই হারানোর বেদনায় মর্মাহত। আমরা লজ্জিত আমরা আমাদের ছোট ভাইদের জন্য, সন্তানদের জন্য একটি নিরাপদ জীবন রেখে যেতে পারছি না বলে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ১১:৩৮