এ্যাস কবুতর গুলোও কেমন যেন ফ্যাকাশে
পথের বাক আধ ভেজা আধ বোজা ওনেক খানি
বৃষ্টি ধুষর অরন্য- আরন্যেকের পানে
আমি গামছা বিছিয়ে রোদে শুকিয়ে চৌকাঠ
অস্তগামি সুর্য্যের দিকে তাকিয়ে মায়ের দিন গোনা
কাল যে ভোর দু দিন পর সবে বরাত
খোকা সাদা শুভ্র পেখম মেলে ঘুরে বেড়াবে মসজিদে
ফিরনি মিষ্টি শ্বেত শুভ্র হাজার কথন
একদল শুভ্র পাখি নিড়ের পানে তাকিয়ে
গতকাল ওই যে পুকুর ঘাটে হুঠ ফুঠি
গা ছাড়া আড্ডা ডাংগোলা আর গোল্লাছুট
লাল নোনতা স্বাদ আজ চোখে মুখে হাজার শ্রাবণ
হাওয়ায় উড়ছে দারুচিনি দ্বীপ
জন্ম নেয়া শিশুটি বেড়ে উঠেছে লাশের সমুদ্রে
গাঙ্গপাড়ের শাবকটি বসে- কবে আসবে
লিলুয়া বাতাসের পাড় ভেঙ্গে উড়াল দিবে
বাতাসে শিশের শব্দ ভেসে আসে তার
ওরে মিঠু ওরে আমার শ্রান্ত সন্ধ্যা
মেঘমাল্লারের দুয়ার খুলে আসবে সে
মাগো ভাত দে- ক্ষুধা লাগছে;
শুভ্র পাখি আর বলেনা নিশ্চল চাওয়া বুকের ভেতর
শ্বেত শুভ্র পাখিরা হারিয়ে গেছে শুভ্র কাফনের আড়ালে।
দল বেধে পাখি গুলো খেলতে গেছে খেলার ছলে
উদাম গলা গানের পানে লাঠি খেলনা
হায় শিশু হায় কিশোর ফিরছে তারা নিরের পানে
হঠাৎ এক দমকা হাওয়া রক্ত বয়ে যায়
চুরি যায় শৈশব- খুবলে খায় রক্ত
শকুনের চোখ সমাজ সংসার।
অতপর তারা ৪১ টি শুভ্র লাশ................................
কিলবার্ন........লন্ডন
তারিখ:১১/০৭/২০১১
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৯:২৭